চলতি সপ্তাহে পারস্য উপসাগরে সামরিক কসরতের সময় নৌবাহিনীর ফ্রেন্ডলি ফায়ারে নিজেদের আরেকটি সামরিক সহায়ক জাহাজ ধ্বংসের কথা অস্বীকার করেছে ইরানের সেনাবাহিনী। খবরে বলা হচ্ছে, সেনাবাহিনী দাবি করছে এটি দুর্ঘটনা, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। খবর- ইয়েনি শাফাক
বুধবার ইরানি সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শাহিন তাগিখানি বলেন, কনারেক জাহাজটিকে ইরানি নৌবাহিনীর ফ্রিগেট লক্ষবস্তুতে পরিণত করেছিল এমন প্রতিবেদনগুলো সঠিক নয়। এটি দুর্ঘটনা দাবি করে তিনি বলেন, ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনাকে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শাহিন তাগিখানি বলেন, বিদেশি মিডিয়া গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে।এই গুজব খুবই অপ্রাসাঙ্গিক ও সেকেলে।
তিনি বলেন, বিদেশি শত্রু মিডিয়া আইআরজিসি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে দুর্বল করার জন্য এমন গুজব ছাড়চ্ছে।
বিগ্রেডিয়ার জেনারেল বলেন, কয়েক মাস আগে দুটি বৃহৎতম শক্তি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছিল নৌবাহিনী। যা ইরানের জন্য সম্মানের ও নৌবাহিনীর প্রস্তুতি বাড়াতে সহায়তা করেছে।
তিনি বলেন, সামরিক কসরত যুদ্ধের মতো, সেখানে স্বাভাবিকভাবেই কিছু বিপদ ও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে পারে।
গত রোববার সামরিক মহড়া চালানোর সময় সামরিক সহায়তা জাহাজ করনাকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে ১৯ নাবিক নিহত হন। এ ছাড়া ১৫ জন আহত হন। বলা হচ্ছে, এ ঘটনায় ইরানের নৌবাহিনীর জড়িত রয়েছে।
এ মর্মান্তিক ঘটনাটি সোমবার দেশটির নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়।
তুর্কি সংবাদ মাধ্যম স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে জানায়, ওই সময়ে করানাক জাহাজটিতে ৩০-৪০ জন নাবিক ছিলেন। যা সম্প্রতি ইরানি নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত হয়েছিল। সংবাদে বলা হয়েছিল, করানাক জাহাজটির কমান্ডারও হামলায় নিহত হয়েছিল।