ভারতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন পরিযায়ী শ্রমিক নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে উত্তর প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভি ও জিনিউজের।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় দেশটিতে চলমান লকডাউনের মধ্যে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তারা দুর্ঘটনার শিকার হন।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বুধবার রাতে উত্তর প্রদেশে বাসচাপায় ৬ পরিযায়ী শ্রমিক নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার ভোরে মধ্যপ্রদেশের গুনায় শ্রমিক বহনকারী একটি ট্রাক ও দ্রুতগতির একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৮ জন নিহত ও ৫৪ জন আহত হয়েছেন।
মহারাষ্ট্র থেকে উত্তর প্রদেশের দিকে যাওয়া ট্রাকটিতে অর্ধশতাধিক পরিযায়ী শ্রমিক ছিল; যাদের বেশিরভাগই উন্নাও জেলার। আর গুনা থেকে আহমেদাবাদগামী বাসটিতে চালক ও এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী ছাড়া আর কেউ-ই ছিল না।
দুর্ঘটনায় আহত সোনু নামে এক শ্রমিক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন,ঘটনার সময় আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। ট্রাকে ৫৫-৬০ জন ছিল। রাত ৩টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, গুনা বাইপাস সড়কে দুর্ঘটনাটি হয়েছে। শ্রমিকরা মুম্বাই থেকে তাদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে যাচ্ছিলেন। বাসটি গুনা থেকে আহমেদাবাদ যাচ্ছিল। ৩ জন সামান্য আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার কয়েকঘণ্টা আগে বুধবার রাতে উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার মহাসড়কে দ্রুতগতির একটি সরকারি বাস ৬ পরিযায়ী শ্রমিককে চাপা দেয়।
নিহত শ্রমিকরা করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় দেয়া লকডাউনের মধ্যে পাঞ্জাব থেকে হেঁটে বিহারে নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন। শ্রমিকদের চাপা দেয়া বাসটি পুলিশ উদ্ধার করেছে। চালক পলাতক।
এর আগে গত সপ্তাহে মহারাষ্ট্রের অওরঙ্গবাদে একটি মালবাহী ট্রেনে কাটা পড়ে রেললাইনের উপর ঘুমিয়ে থাকা ১৬ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সেসময় একটি মালগাড়ি চলে যায় ঘুমন্ত শ্রমিকদের উপর দিয়ে। সেই ঘটনায় ১৬ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। এর পরেও ঘটে বেশ কিছু পথ দুর্ঘটনা। তাতেও মৃত্যু হয় বেশ কয়েক জন পরিযায়ী শ্রমিকের।