বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন মামলায় সাক্ষী থেকে আসামি হওয়া রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে এবং মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট একটি বেঞ্চে এর ওপর শুনানি হতে পারে বলে সোমবার দেশ রূপান্তরকে জানান মিন্নির আইনজীবী মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম।
তিনি জানান, বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে মামলাটি বদলির আরজি জানানো হয়েছে।
অ্যাডভোকেট মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম বলেন, ‘বরগুনার আদালতে খুব দ্রুত গতিতে সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ জনের মতো সাক্ষ্য দিয়েছেন। প্রতিটি কার্যদিবসে ৪ থেকে ৫ জন করে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। আমাদের মনে হচ্ছে খুব দ্রুত সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে এবং ওই আদালতে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না। সে জন্য ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে মামলাটি বদলির আবেদন জানানো হয়েছে।’
এর আগে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ ও আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির ক্ষেত্রে মামলায় তার নাম বাতিলের আবেদন ২১ জানুয়ারি খারিজ করে দিয়েছিল বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ১ জানুয়ারি মিন্নিসহ প্রাপ্ত বয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় বরগুনার সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে ও স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে রিফাত শরীফ খুন হওয়ার পরদিন ১২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। এরপর ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যায় রিফাত শরীফ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতায় প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রিমান্ডে নেয়ার পর ১৯ জুলাই পুলিশ জানায়, রিফাত হত্যার সংশ্লিষ্টতায় মিন্নি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন দাবি করেন জবরদস্তি ও তড়িঘড়ি করে মিন্নির কাছ থেকে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।