মহামারী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে ৫টি উড়োজাহাজ নিয়ে কাজ করছে স্পাইসজেট ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান এমজিএইচ গ্রুপ। এমজিএইচ গ্রুপ স্পাইসজেটের গ্লোবাল কার্গো জিএসএ।
তাদের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, চিকিৎসক ও বিভিন্ন ফার্মা সংস্থার ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ঠাণ্ডাজনিত রোগের জরুরি ওষুধ পরিবহন অন্যতম।
ভারতে লকডাউন চালু হওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত মোট ৪৪০টি ফ্লাইটের মাধ্যমে প্রায় ৫ হাজার টন জরুরি পণ্য বহন করেছে এয়ারলাইন্সটি। যেটি কিনা ভারতীয় বিমানবাহিনীর বহন করা মোট পণ্যের ৭০ শতাংশেরও বেশি।
বৈশ্বিক মহামারীর এই ক্রান্তিকালীন সময়ে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম এয়ারলাইন্স স্পাইসজেট আকাশপথে সাংহাই, হংকং, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, কুয়েত, আবুধাবি, হো চি মিন সিটি, কলম্বো, কাবুল দুবাই এবং অন্যান্য স্থানে জরুরি চিকিৎসা সরবরাহ গ্রহণ করতে ও পৌঁছে দিতে সাহায্য করছে। ই৭৩৭ এবং ছ ৪০০ এর মতো নিজেদের যাত্রীবাহী বিমানগুলোকে মালবাহী বিমানে রূপান্তরিত করে বর্তমান সময়ে জরুরি পরিস্থিতিতে নিজেদের কার্যক্ষমতা অনেকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে এয়ারলাইন্সটি।
এমজিএইচ, স্পাইজেটের গ্লোবাল কার্গো জিসিএ হিসেবে এ ব্যাপারে এয়ারলাইন্সটিকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে চলেছে। হ্যানয় এবং ব্যাংককে এয়ারলাইন্সটির জরুরি মালবহনের কার্যক্রমকে বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি সিঙ্গাপুর থেকে চেন্নাই ও ব্যাঙ্গালুরুতে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা যন্ত্র পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রেও স্পাইসজেটের পাশে থেকেছে এমজিএইচ।
এ প্রসঙ্গে এমজিএইচ গ্রুপের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা আনিস আহমেদ বলেন, বিশ্বজুড়ে জরুরি পণ্য এবং চিকিৎসা সহায়তার ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে লক্ষ্য করে ইতিমধ্যেই এমজিএইচের সঙ্গে একজোট হয়ে স্পাইসজেট মালবহনের কার্যক্রম বাড়ানোর এবং বিমানের যাত্রাপথকে বিশ্বব্যাপী আরও বেশি ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা প্রহণ করেছেন তারা। ইতিমধ্যেই স্পাইসজেট দেশে ও দেশের বাইরে ফেস মাস্ক, স্যানিটাইজার, জরুরি সার্জিক্যাল মাস্ক সরবরাহ, কোভিড-১৯ চিহ্নিত করার জন্য আইআর থার্মোমিটার, হ্যাজম্যাট স্যুট, করোনাভাইরাস র্যাপিড টেস্ট কিট ইত্যাদি সরবরাহ করেছে।
এছাড়াও জাতীয় দায়িত্ব পালনে কোয়ারেন্টিনে থাকা যাত্রীদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনতে নিজস্ব বিমান, বিমান পরিচালনাকারী এবং কর্মীদের দ্বারা বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে বলেও জানান