অণুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য বাঙালি শিক্ষাবিদ। অণুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্যের জন্ম৩১ জানুয়ারি, ১৯৪১ জান্তারী, সিলেট, আসাম,ব্রিটিশ ভারত(বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা)।
পিতা-মাতাদ্বিজেন্দ্র চন্দ্র ভট্টাচার্য।তাঁর মায়ের নাম রাজলক্ষ্মী ভট্টাচার্য। তাদের পরিবার ছিল সম্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবার। তিন ভাই ও তিন বােনের মধ্যে অনুদ্বৈপায়ন ছিলেন সবার বড়। তাঁর ডাকনাম ছিল ঝুনু।
অণুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য ১৯৬১ সালে নবীগঞ্জ জে.কে. হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক এবং ১৯৬৩ সালে সিলেট এম.সি. কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আই.এসসি, পাস করেন। ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়থেকে পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণীতে বি.এসসি, অনার্স এবং ১৯৬৭ সালে ফলিত পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণীতে এম.এসসি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েফলিত পদার্থবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৬৯ সালে জগন্নাথ হলেরহাউস টিউটর হন।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালোরাতে জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে পাকিস্তানি সৈন্যদের গুলিতে নিহত হন।
ছাত্রজীবনের কৃতিত্ব আর পেশাগত জীবনের দক্ষতার কারণে তিনি কলম্বো প্ল্যানের অধীনে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তাঁর লন্ডন যাওয়ার ফ্লাইট নির্ধারিত ছিল।
বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৫ সালের ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে তার স্মৃতির সম্মানে একটি ডাকটিকেটের অবমুক্তি করা হয় এবং জগন্নাথ হল পাঠাগারকে শহীদ অনুদ্বৈপায়ন পাঠাগারে নামকরণ করা হয়।
২০০০ সালে নবীগঞ্জ গণপাঠাগারের উদ্যোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রব সাদী ও সিলেট মদন মোহন কলেজের অধ্যক্ষ আবুল ফতেহ ফাত্তাহর প্রচেষ্টায় এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক উজ্জ্বলকুমার দাশের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় মৃত্যুঞ্জয়ী প্রজ্ঞাবান শহিদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য স্মারকগ্রন্থ। সেই গ্রন্থে অনুদ্বৈপায়নকে নিয়ে লিখেছেন তাঁর শৈশব থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানা সময়ের কাছের মানুষেরা।
তথ্যসূত্র: ইউকিপিডিয়া/বাংলাপিডিয়া।