Dhaka , Monday, 2 December 2024

মন্ত্রীসভায় ২০২০-২১অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : 09:47:10 am, Friday, 12 June 2020
  • 572 বার

দর্পণ ডেক্স : ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ বাজেট অনুমোদনের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আগামী বাজেটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে।

করোনার নাজুক পরিস্থিতিতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশায় আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি হবে দেশের ৪৯তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট উপস্থাপন।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ‘সমৃদ্ধ আগামীতে’ পৌঁছানের লক্ষ্য স্থির করে যে পথযাত্রা বাংলাদেশ শুরু করেছিল করোনভাইরাসের প্রবল গ্রাসে তা থমকে গেছে।

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ভাবতে হয়েছে আগের উন্নয়ন দর্শনের বাজেটের চেয়ে ভিন্নরূপে। ব্যয়ের খরচ ও জমার ফর্দ সাজাতে গিয়ে তাকে মাথায় রাখতে হয়েছে করোনাকালে স্বাস্থ্য খাত যেন মহামারি সামাল দেয়ার সক্ষমতা পায়, উৎপাদন যেখানে বড় ধাক্কা খেয়েছে, সেখানে কৃষক যেন অন্তত ফসল ফলাতে পারেন, ১৬ কোটি মানুষের এ দেশে খাদ্য সংকট যেন না হয়,হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের মানুষকে যেন সামাজিক নিরাপত্তা দেয়া যায়, বেকারত্ব যেন সমাজকে নতুন সংকটের পথে নিয়ে যেতে না পারে।এসব দিক সামাল দিয়ে আগামী একবছরে সরকারের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল মোটামুটি ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা খরচের একটি পরিকল্পনা বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন।যা আকারে গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস(কোভিড-১৯) মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে এবারের বাজেট গতানুগতিক আর নেই।বরং সরকারের অতীতের অর্জন ও উদ্ভূত পরিস্থিতির সমন্বয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে।

চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।এ বছর মানুষের জীবন রক্ষা আর জীবিকার নিশ্চয়তা দিতে বাজেটের শিরোনাম করা হয়েছে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যত পথ পরিক্রমা’।

সঙ্গত কারণেই এবারের বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্যখাতে। পাশাপাশি কৃষিখাত, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা এবং কর্মসংস্থানকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

আগামী অর্থবছরে নানা ধরনের কৃষি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা সম্প্রসারণ, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরুদ্ধার করাসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বাজেটে বিভিন্ন প্রস্তাবনা রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আসছে বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয়বাবদ খরচ ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেতন-ভাতাবাবদ ব্যয় রাখা হচ্ছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। সরবরাহ ও সেবা বাবদ ব্যয়ে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধবাবদ রাখা হচ্ছে ৬৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। সরকারি প্রণোদনা, ভর্তুকি ও অনুদানবাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ থাকছে ২ লাখ পাঁচ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।

আসছে বাজেটে সরকারের আয়ের মূল উৎস্য রাজস্ব আহরণ। বাজেটে সরকারের মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে আসবে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২০ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা কাটছাঁট করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে সংশোধিত আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৫৭ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআর আহরণ করবে তিন লাখ ১৩ হাজার ৭০ কোটি টাকা এবং এনবিআর বহির্ভূত উৎস থেকে আসবে ৪৪ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা।

এদিকে করোনাভাইরাসকালীন এই দুঃসময়ে আয়ের মূল উৎস রাজস্ব আদায় তলানিতে ঠেকলেও বেড়েছে ব্যয়ের খাত। এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও এবার বাজেটের যে আকার ধরা হচ্ছে তা চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের মত বাজেটের জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। নতুন বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন- জিডিপিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য রেকর্ড জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির এই হার এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাজেটে মোট ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণ খাতে বরাদ্দও বাড়াচ্ছে সরকার। এ খাতে এবারই প্রথম বারের মত ৫২ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হচ্ছে, যা চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের থেকে পাঁচ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা বেশি।

একইসঙ্গে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত ছয় অর্থবছর ধরে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ছে। তবে এবার পরিমাণ অন্যবারের তুলনা অনেক বেশি বাড়ছে।

বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। আয় ও ব্যয়ের এ বিশাল তফাৎ এবারই প্রথম দেশের ইতিহাসে মোট বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগের বছরগুলোতে সাধারণত জিডিপির ৫ শতাংশ হারে ঘাটতি ধরে বাজেট প্রণয়ন করা হতো।তাছাড়া আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ। এডিপির জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে এক লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা এবং বহিঃসম্পদ থেকে ৭০ হাজার ৫০২ কোটি টাকার জোগান দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জানাযায়, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রতিরক্ষাসহ ৯টি খাতে। আসছে বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। ফলে নতুন বাজেটে এ খাতে ব্যয় করা হবে ৩২ হাজার ১১৬ কোটি টাকা। এটি মোট বাজেটের ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। অবশ্য চলতি বছরে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ হচ্ছে ৩১ হাজার ১০০ কোটি টাকা।এরপরে রয়েছে স্বাস্থ্য খাত। আসন্ন বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়বে ৫ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা। এ খাতে মোট বরাদ্দ থাকছে ২৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। এটি মোট বাজেটের ৫ দশমিক ১ শতাংশ। চলতি বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ হচ্ছে ২৩ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা। নতুন বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। আসছে বাজেটে এ খাতে মোট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা, এটি মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার ২৩ কোটি টাকা। অন্যান্য বছরের মতো এবারও বরাদ্দ বাড়ছে প্রতিরক্ষা খাতে। নতুন বাজেটে এ খাতে ব্যয় করা হবে ৩৪ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা, চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৩ হাজার ১০৬ কোটি টাকা।
এদিকে জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আসন্ন বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৮ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা, এটি মোট বাজেটের ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এ খাতে চলতি বছরে বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা।সে হিসাবে বরাদ্দ বাড়ছে ১ হাজার ২৩১ কোটি টাকা। বর্তমান প্রায় ১৩ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে সরকারের। এজন্য নতুন বাজেটে জনপ্রশাসনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা, এটি মোট বাজেটের ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। এ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ৪০ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ আছে ১ লাখ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা।

এছাড়া আগামী বছর শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে পরিচালনা ও উন্নয়ন উভয় খাতে সরকার ৮৫ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে, এটি মোট বাজেটের ১৫ শতাংশ। এ ব্যয় চলতি বছরের তুলনায় ৮ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। চলতি বছরে ব্যয় করার লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৭৭ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে মোট বরাদ্দ থাকছে ২৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা, যা চলতি বছরে আছে ২৬ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা। সবশেষ বরাদ্দ বাড়ানোর তালিকায় আছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত। এ খাতে পরিচালনা ও উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বাড়ছে ৬ হাজার ৯১ কোটি টাকা। নতুন বাজেটে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬৪ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা এবং চলতি বছরে এ খাতে বরাদ্দ আছে ৫৮ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা।
আসছে বাজেটে যেসব খাতে বরাদ্দ কমছে : ২০২০-২১ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে ৯০০ কোটি টাকা। চলতি বছরে এ খাতে ৪০ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও আগামী বছরে বরাদ্দ থাকছে ৩৯ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। একইভাবে বরাদ্দ কমানো হয়েছে গৃহায়ন খাতে। ২০২০-২১ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ কমছে ৫১০ কোটি টাকা। নতুন বছরে এ খাতে মোট বরাদ্দের পরিমাণ হচ্ছে ৬ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা, যা চলতি বছরে রয়েছে ৭ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। সর্বশেষ বরাদ্দ কমার তালিকায় আছে শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিস খাত। এ খাতে মোট বরাদ্দ কমছে ৭৯৮ কোটি টাকা।চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে বরাদ্দের প্রস্তাবনা ৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে থাকছে জরিমানা ছাড়াই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ। আগামীতে উৎপাদনশীল শিল্প ও আবাসন খাতে কোনো ধরনের জরিমানা ছাড়াই কালো টাকা (অপ্রদর্শিত অর্থ) বিনিয়োগের সুযোগ দিতে যাচ্ছে সরকার। ফলে যে কেউ অপ্রদর্শিত আয়ের ঘোষণা দিয়ে যেকোনো অঙ্কের অর্থ বৈধ করতে পারবেন। ‘ভলান্টারি ডিসক্লোর অব ইনকাম’ নামে পরিচিত এই নিয়মটি ২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রবর্তন করা হয়। এ সুযোগ নিতে হলে প্রযোজ্য করহার ও তার সঙ্গে ১০ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়। আসছে বাজেটে এ জরিমানা তুলে দেয়ার প্রস্তাব আসতে পারে। ফলে জরিমানা ছাড়াই শুধু ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের প্রস্তাব থাকতে পারে আসছে বাজেটে।তাছাড়া করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হয়েছে। টানা ৫ বছর পর করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ছে। বর্তমানে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা রয়েছে। এটি বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হবে। করোনাকালীন সময়ে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের কষ্ট লাঘবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে জানাগেছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার বিষয়ক রেজুলেশন গৃহীত

মন্ত্রীসভায় ২০২০-২১অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন

আপডেট টাইম : 09:47:10 am, Friday, 12 June 2020

দর্পণ ডেক্স : ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ বাজেট অনুমোদনের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আগামী বাজেটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে।

করোনার নাজুক পরিস্থিতিতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশায় আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি হবে দেশের ৪৯তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট উপস্থাপন।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ‘সমৃদ্ধ আগামীতে’ পৌঁছানের লক্ষ্য স্থির করে যে পথযাত্রা বাংলাদেশ শুরু করেছিল করোনভাইরাসের প্রবল গ্রাসে তা থমকে গেছে।

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ভাবতে হয়েছে আগের উন্নয়ন দর্শনের বাজেটের চেয়ে ভিন্নরূপে। ব্যয়ের খরচ ও জমার ফর্দ সাজাতে গিয়ে তাকে মাথায় রাখতে হয়েছে করোনাকালে স্বাস্থ্য খাত যেন মহামারি সামাল দেয়ার সক্ষমতা পায়, উৎপাদন যেখানে বড় ধাক্কা খেয়েছে, সেখানে কৃষক যেন অন্তত ফসল ফলাতে পারেন, ১৬ কোটি মানুষের এ দেশে খাদ্য সংকট যেন না হয়,হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের মানুষকে যেন সামাজিক নিরাপত্তা দেয়া যায়, বেকারত্ব যেন সমাজকে নতুন সংকটের পথে নিয়ে যেতে না পারে।এসব দিক সামাল দিয়ে আগামী একবছরে সরকারের ব্যয় নির্বাহের জন্য অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল মোটামুটি ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা খরচের একটি পরিকল্পনা বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন।যা আকারে গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস(কোভিড-১৯) মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে এবারের বাজেট গতানুগতিক আর নেই।বরং সরকারের অতীতের অর্জন ও উদ্ভূত পরিস্থিতির সমন্বয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে।

চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।এ বছর মানুষের জীবন রক্ষা আর জীবিকার নিশ্চয়তা দিতে বাজেটের শিরোনাম করা হয়েছে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যত পথ পরিক্রমা’।

সঙ্গত কারণেই এবারের বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্যখাতে। পাশাপাশি কৃষিখাত, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা এবং কর্মসংস্থানকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

আগামী অর্থবছরে নানা ধরনের কৃষি ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা সম্প্রসারণ, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য পুনরুদ্ধার করাসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বাজেটে বিভিন্ন প্রস্তাবনা রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আসছে বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয়বাবদ খরচ ধরা হচ্ছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেতন-ভাতাবাবদ ব্যয় রাখা হচ্ছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। সরবরাহ ও সেবা বাবদ ব্যয়ে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ঋণের সুদ পরিশোধবাবদ রাখা হচ্ছে ৬৩ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা। সরকারি প্রণোদনা, ভর্তুকি ও অনুদানবাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ থাকছে ২ লাখ পাঁচ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।

আসছে বাজেটে সরকারের আয়ের মূল উৎস্য রাজস্ব আহরণ। বাজেটে সরকারের মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত অন্যান্য ক্ষেত্র থেকে আসবে ৪৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২০ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা কাটছাঁট করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে সংশোধিত আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৫৭ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআর আহরণ করবে তিন লাখ ১৩ হাজার ৭০ কোটি টাকা এবং এনবিআর বহির্ভূত উৎস থেকে আসবে ৪৪ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা।

এদিকে করোনাভাইরাসকালীন এই দুঃসময়ে আয়ের মূল উৎস রাজস্ব আদায় তলানিতে ঠেকলেও বেড়েছে ব্যয়ের খাত। এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও এবার বাজেটের যে আকার ধরা হচ্ছে তা চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের মত বাজেটের জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। নতুন বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন- জিডিপিতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এতে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য রেকর্ড জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির এই হার এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাজেটে মোট ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণ খাতে বরাদ্দও বাড়াচ্ছে সরকার। এ খাতে এবারই প্রথম বারের মত ৫২ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকার বরাদ্দ রাখা হচ্ছে, যা চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের থেকে পাঁচ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা বেশি।

একইসঙ্গে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত ছয় অর্থবছর ধরে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ছে। তবে এবার পরিমাণ অন্যবারের তুলনা অনেক বেশি বাড়ছে।

বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। আয় ও ব্যয়ের এ বিশাল তফাৎ এবারই প্রথম দেশের ইতিহাসে মোট বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগের বছরগুলোতে সাধারণত জিডিপির ৫ শতাংশ হারে ঘাটতি ধরে বাজেট প্রণয়ন করা হতো।তাছাড়া আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ। এডিপির জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ থেকে এক লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা এবং বহিঃসম্পদ থেকে ৭০ হাজার ৫০২ কোটি টাকার জোগান দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

জানাযায়, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রতিরক্ষাসহ ৯টি খাতে। আসছে বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। ফলে নতুন বাজেটে এ খাতে ব্যয় করা হবে ৩২ হাজার ১১৬ কোটি টাকা। এটি মোট বাজেটের ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। অবশ্য চলতি বছরে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ হচ্ছে ৩১ হাজার ১০০ কোটি টাকা।এরপরে রয়েছে স্বাস্থ্য খাত। আসন্ন বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়বে ৫ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা। এ খাতে মোট বরাদ্দ থাকছে ২৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। এটি মোট বাজেটের ৫ দশমিক ১ শতাংশ। চলতি বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ হচ্ছে ২৩ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা। নতুন বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। আসছে বাজেটে এ খাতে মোট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা, এটি মোট বাজেটের ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার ২৩ কোটি টাকা। অন্যান্য বছরের মতো এবারও বরাদ্দ বাড়ছে প্রতিরক্ষা খাতে। নতুন বাজেটে এ খাতে ব্যয় করা হবে ৩৪ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা, চলতি বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৩ হাজার ১০৬ কোটি টাকা।
এদিকে জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আসন্ন বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৮ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা, এটি মোট বাজেটের ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এ খাতে চলতি বছরে বরাদ্দ ছিল ২৭ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা।সে হিসাবে বরাদ্দ বাড়ছে ১ হাজার ২৩১ কোটি টাকা। বর্তমান প্রায় ১৩ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে সরকারের। এজন্য নতুন বাজেটে জনপ্রশাসনে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা, এটি মোট বাজেটের ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। এ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ৪০ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ আছে ১ লাখ ৪০ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা।

এছাড়া আগামী বছর শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে পরিচালনা ও উন্নয়ন উভয় খাতে সরকার ৮৫ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে, এটি মোট বাজেটের ১৫ শতাংশ। এ ব্যয় চলতি বছরের তুলনায় ৮ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। চলতি বছরে ব্যয় করার লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৭৭ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে মোট বরাদ্দ থাকছে ২৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা, যা চলতি বছরে আছে ২৬ হাজার ১৫৪ কোটি টাকা। সবশেষ বরাদ্দ বাড়ানোর তালিকায় আছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত। এ খাতে পরিচালনা ও উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বাড়ছে ৬ হাজার ৯১ কোটি টাকা। নতুন বাজেটে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৬৪ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা এবং চলতি বছরে এ খাতে বরাদ্দ আছে ৫৮ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা।
আসছে বাজেটে যেসব খাতে বরাদ্দ কমছে : ২০২০-২১ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে ৯০০ কোটি টাকা। চলতি বছরে এ খাতে ৪০ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও আগামী বছরে বরাদ্দ থাকছে ৩৯ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। একইভাবে বরাদ্দ কমানো হয়েছে গৃহায়ন খাতে। ২০২০-২১ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ কমছে ৫১০ কোটি টাকা। নতুন বছরে এ খাতে মোট বরাদ্দের পরিমাণ হচ্ছে ৬ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা, যা চলতি বছরে রয়েছে ৭ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। সর্বশেষ বরাদ্দ কমার তালিকায় আছে শিল্প ও অর্থনৈতিক সার্ভিস খাত। এ খাতে মোট বরাদ্দ কমছে ৭৯৮ কোটি টাকা।চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে বরাদ্দের প্রস্তাবনা ৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে থাকছে জরিমানা ছাড়াই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ। আগামীতে উৎপাদনশীল শিল্প ও আবাসন খাতে কোনো ধরনের জরিমানা ছাড়াই কালো টাকা (অপ্রদর্শিত অর্থ) বিনিয়োগের সুযোগ দিতে যাচ্ছে সরকার। ফলে যে কেউ অপ্রদর্শিত আয়ের ঘোষণা দিয়ে যেকোনো অঙ্কের অর্থ বৈধ করতে পারবেন। ‘ভলান্টারি ডিসক্লোর অব ইনকাম’ নামে পরিচিত এই নিয়মটি ২০১২-১৩ অর্থবছরে প্রবর্তন করা হয়। এ সুযোগ নিতে হলে প্রযোজ্য করহার ও তার সঙ্গে ১০ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়। আসছে বাজেটে এ জরিমানা তুলে দেয়ার প্রস্তাব আসতে পারে। ফলে জরিমানা ছাড়াই শুধু ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের প্রস্তাব থাকতে পারে আসছে বাজেটে।তাছাড়া করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হয়েছে। টানা ৫ বছর পর করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ছে। বর্তমানে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকা রয়েছে। এটি বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হবে। করোনাকালীন সময়ে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের কষ্ট লাঘবে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে জানাগেছে।