ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের চিনাব নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেল সেতু।
সেতুটির কাটরা-বানিহাল সেকশনের ১৭৪ কিলোমিটার টানেলের মধ্যে ইতোমধ্যে ১২৬ কিলোমিটারের নির্মাণ কাজও শেষ হয়েছে।
সেতুটি ২০২১ সালের মধ্যে চলাচলের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে রোববার জানিয়েছেন দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা।
সেতুটি নির্মিত হলে ২০২২ সালের মধ্যে প্রথমবারের মতো ট্রেনযোগে ভারতের অন্যান্য অংশের সঙ্গে ভূস্বর্গ কাশ্মীরের যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
সেতুটির ওপর নির্মিত রেললাইন প্রসঙ্গে কোঙ্কন রেলওয়ে জানিয়েছে, প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের উচ্চতার (৩২৪ মিটার) চেয়েওরেললাইনটি ৩৫ মিটার দীর্ঘ হবে।
এর আগে সেতুটির বিষয়ে কোঙ্কন রেলওয়ের চেয়ারম্যান সঞ্জয় গুপ্ত জানিয়েছিলেন, সেতুটির নির্মাণ কাজ হচ্ছে স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাসে ভারতের রেলের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প। এটি শেষ হলে একে ভারতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটি দুরন্ত কাজ বলে ইতিহাস লিখবে।
তিনি জানান, প্রতিকূল ভূখণ্ডে তৈরি করা হচ্ছে বিশাল খিলান আকৃতির কাঠামো। সেতুটির কেন্দ্রীয় স্প্যান রয়েছে ৪৬৭ মিটারের। যা চিনাব নদীর তলদেশ থেকে ৩৫৯ মিটার উচ্চতায় নির্মিত হচ্ছে। এই খিলান তৈরিতে নদীর উপর ৩৫৯ মিটার উচ্চতায় ৫ হাজার ৪৬২ টন স্টিল ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাসের গতি সহ্য করতে ১ দশমিক ৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ইঞ্জিনিয়ারিং মার্ভেল’ বাক্কাল (কাটরা) এবং কৌরীকে (শ্রীনগর) সংযুক্ত করবে।
দেশটির সরকারের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নির্মিত হলে এটিই হবে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু সেতু। ইতিমধ্যে উধমাপুর-কাটরা (২৫ কিলোমিটার), বানিহাল-কাজিগুন্দ (১৮ কিলোমিটার) এবং কাজিগুন্দ-বারামুল্লা (১১৮ কিলোমিটার) সেকশনকে সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত করার কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মাইনাস ২০ ডিগ্রি তাপমাত্রাতেও যাতে সেতুটি ঠিক থাকতে পারে সেজন্য সম্পূর্ণ সেতুটি স্টিল দিয়ে তৈরি হচ্ছে।
অবশিষ্ট ১১১ কিলোমিটারের কাটরা-বানিহাল সেকশনের কাজ সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।