Dhaka , Monday, 2 December 2024

‘পাটশিল্পের সম্প্রসারণে সব ধরনের সহায়তা করবে সরকার’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : 04:09:47 pm, Monday, 3 August 2020
  • 500 বার

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী জানিয়েছেন, সরকার কৃষকের উৎপাদিত পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। এ জন্য বর্তমান সরকার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, পাট ক্রয়-বিক্রয় সহজিকরণের জন্য এসএমএসভিত্তিক পাট ক্রয়-বিক্রয় ব্যবস্থাকরণ, কাঁচাপাট ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ, পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রণোদনা ও অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধিকরণ কাজ করছে। এ ছাড়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাট চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি পাটশিল্পের সম্প্রসারণে সব ধরনের সহায়তা করবে সরকার।

আজ সোমবার সচিবালয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জুট মিলস্ করপোরেশন-বিজেএমসি’র বন্ধ ঘোষিত মিল পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়েছে। অবসায়নের পরে দেশের পাটকলগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) যৌথ উদ্যোগ জি টু জি বা লিজ মডেলে পরিচালনার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব আবার উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা হবে।

পাট শ্রমিকদের অবসরে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শ্রমিকদের চাকরি অবসান এবং পাটকলসমূহ বন্ধ ঘোষণার ক্ষেত্রে শ্রম আইনের সংশ্লিষ্ট সকল বিধান অনুসরণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের পাওনার পরিমাণ নির্ধারণ এবং তা পরিশোধের ক্ষেত্রেও যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের চাকরি ১ জুলাই, ২০২০ হতে অবসান করায় শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী ৬০ দিনের অর্থাৎ নোটিশ মেয়াদের মজুরি ব্যতিত ঐ তারিখের পর তাদের আর কোনো দাবি বা পাওনা নেই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, এনডিসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার বিষয়ক রেজুলেশন গৃহীত

‘পাটশিল্পের সম্প্রসারণে সব ধরনের সহায়তা করবে সরকার’

আপডেট টাইম : 04:09:47 pm, Monday, 3 August 2020

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী জানিয়েছেন, সরকার কৃষকের উৎপাদিত পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। এ জন্য বর্তমান সরকার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, পাট ক্রয়-বিক্রয় সহজিকরণের জন্য এসএমএসভিত্তিক পাট ক্রয়-বিক্রয় ব্যবস্থাকরণ, কাঁচাপাট ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ, পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রণোদনা ও অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধিকরণ কাজ করছে। এ ছাড়া দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাট চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি পাটশিল্পের সম্প্রসারণে সব ধরনের সহায়তা করবে সরকার।

আজ সোমবার সচিবালয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জুট মিলস্ করপোরেশন-বিজেএমসি’র বন্ধ ঘোষিত মিল পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়েছে। অবসায়নের পরে দেশের পাটকলগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) যৌথ উদ্যোগ জি টু জি বা লিজ মডেলে পরিচালনার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব আবার উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা হবে।

পাট শ্রমিকদের অবসরে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শ্রমিকদের চাকরি অবসান এবং পাটকলসমূহ বন্ধ ঘোষণার ক্ষেত্রে শ্রম আইনের সংশ্লিষ্ট সকল বিধান অনুসরণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের পাওনার পরিমাণ নির্ধারণ এবং তা পরিশোধের ক্ষেত্রেও যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের চাকরি ১ জুলাই, ২০২০ হতে অবসান করায় শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী ৬০ দিনের অর্থাৎ নোটিশ মেয়াদের মজুরি ব্যতিত ঐ তারিখের পর তাদের আর কোনো দাবি বা পাওনা নেই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, এনডিসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।