রাজধানীর চকবাজারের সোয়ারীঘাট এলাকায় তিনটি ফ্যাক্টরি ও দুটি ট্রান্সপোর্ট এজেন্সিতে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ৪২ টন পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-রাফসান এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. ফারুক, ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. সোহেল, কারিগর রাব্বি হোসেন, আরিফ হোসেন ও বাহার, রানা এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার মো. বিল্লালসহ প্রত্যেককে দুই মাস করে এবং মধুমতি ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির ম্যনেজারকে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর থেকে শুরু হয় র্যাব-১০ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় অভিযান। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম বাংলানিউজকে বলেন, চকবাজারের দেবীদাস লেনে একইভবনে অবস্থিত রাফসান এন্টারপ্রাইজ, ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ এবং রানা এন্টারপ্রাইজ নামক ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন নিষিদ্ধ পলিথিন ও পলিথিনের শপিং ব্যাগ উৎপাদন করছে। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পরীক্ষা করে দেখেন যে উৎপাদিত পলিথিনের পুরুত্ব ৫-১০ মাইক্রন। অথচ আইন অনুযায়ী ৫৫ মাইক্রনের নিচে উৎপাদন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ অপরাধের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাত জনকে জেল দেওয়া হয়েছে। মালিকদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পলিথিন বিপণনের দায়ে রহমানিয়া ট্রান্সপোর্ট এবং মধুমতি ট্রান্সপোর্টের মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে। অভিযানে ৪২ টন পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।