যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মাঝে ছয় হাজার ২০০ কোটি ডলারের বিশাল অস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় ওয়াশিংটনের কাছ থেকে ৯০টি এফ-১৬ জঙ্গিবিমান কিনবে তাইওয়ান। তবে এ চুক্তির কারণে দেশ দুটির সঙ্গে চীনের উত্তেজনা বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গনমাধ্যম পার্সটুডের খবরে বলা হয়েছে, নতুন এ চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে ৯০টি এফ-১৬ জঙ্গিবিমান বিক্রি করবে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে এগুলো তাইয়ানকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। শুক্রবার এ ঘোষণা দেয় ওয়াশিংটন।
তাইওয়ানকে যে বিমানগুলো দেয়া হবে তা হবে এফ-১৬ প্রযুক্তির সর্বাধুনিক ভার্সন।
ওয়াশিংটনের এমন ঘোষণার পর বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, তাইওয়ানকে এফ-১৬ বিমান সরবরাহ করা হলে এর কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
এর আগে ২০১৯ সালেই তাইওয়ানকে ৬৬টি এফ-১৬ বিমান সরবরাহ করার ইঙ্গিত দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তখন এ চুক্তি করা থেকে বিরত থাকতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানায় বেইজিং। কিন্তু চীনের সেই আহ্বান তোয়াক্কা না করেই চুক্তি সম্পাদন করলো দেশ দুটি।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে তাইওয়ানকে সর্বপ্রথম আধুনিক ও উন্নতমানের জঙ্গিবিমান সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও চীনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাইওয়ান তাদের ভূখণ্ড। ফলে আলাদা করে অস্ত্র সরবরাহ করা চীনা নীতির লঙ্ঘন এবং এটিকে চীন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বলে মনে করে।