পাট পণ্যসহ কৃষিপণ্যের রফতানি বাড়াতে আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এসব পণ্যের নতুন বাজার খোঁজার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।মহামারীর মধ্যে বিশ্বে পাটসহ বাংলাদেশের কৃষি পণ্যের বাজারে সম্প্রসারণের পদক্ষেপ নিতে বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “গত এক বছরে বিশেষ করে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেশের রপ্তানির কী অবস্থা হল, ধারণা ছিল ম্যাসিভ ডিজাস্টার হবে, কিন্তু দেখা গেল এ সময়ে (গত বছরের তুলনায়) মাত্র ১৫ শতাংশ রপ্তানি কম হয়েছে।”
মহামারীর মধ্যে পাট রপ্তানি বেড়ে যাওয়ার তথ্য তুলে ধরে আনোয়ারুল বলেন, “আমাদের জন্য এটা একটা নতুন দিগন্ত। এ সময়ে পাট পণ্যের রপ্তানি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই মন্ত্রিসভা থেকে বিশেষ অবজার্বেশন দেওয়া হয়েছে যে, বিশ্ববাজারে পাট ও কৃষিপণ্যের অবদান বাড়াতে হবে।
“যেহেতু বিশ্ববাজারে জুটের চাহিদা প্রচুর রয়েছে, তাই কেবিনেট থেকে বিশ্বে জুটসহ অন্যান্য কৃষি পণ্যগুলোর বাজার এক্সপ্লোর করার বিষয়ে কাজ করার জন্য বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩৯১ কোটি (৩.৯১ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ১০ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে পাট ও পাট পণ্য রপ্তানি থেকে।
আর গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ মোট ৮৮ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার আয় করেছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।
৫ অগাস্ট উদযাপন হবে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী
এখন থেকে প্রতি বছর ৫ অগাস্ট সরকারিভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে।
এজন্য প্রতি বছর ৫ অগাস্ট ‘শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল’ এর জন্মবার্ষিকী উদযাপন এবং দিবসটিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত এ সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এ বছর ৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়া ও সংস্কৃতি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী প্রথমবারের মত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ ক্ষেত্রে সরকারিভাবে উদযাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
“তারই পরিপ্রেক্ষিতে উনারা (যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়) প্রতি বছর ৫ অগাস্ট শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী সরকারিভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে একটা প্রস্তাব নিয়ে আসে। মন্ত্রিসভা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এটিকে ‘ক’ শ্রেণির দিবস হিসেবে গ্রহণ করেছে।”