‘সবুজ বৃক্ষ নির্মল পরিবেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন কর্তৃক জাতির পিতার স্মরণে বিশেষ বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়েছে।
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ রোডের পাশে বেলাভূমিতে এক লাখ গাছের চারা রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী। এ সময় শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মাহবুব আলম তালুকদার, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, রামু সেনানিবাসে কর্মরত ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দসহ সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সবুজ শ্যামল সৈকতে রূপান্তরিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশন কর্তৃক এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কের পাশে সমুদ্রতটে ১৫ হাজার ফলজ, ১৫ হাজার বনজ, ২০ হাজার ঔষধি ও ৫০ হাজার ঝাউগাছের চারা রোপণ করা হবে। পরবর্তী এক মাস এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে এবং আগস্ট মাসের মধ্যে সব চারা রোপণ সম্পন্ন করা হবে বলে জানান সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়ার মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী।
উল্লেখ্য যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতকে সবুজায়ন করার লক্ষে সমুদ্রতীরে ঝাউবাগান করেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনায় সেনাবাহিনী প্রধানের সার্বিক দিক নির্দেশনায় জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশনের নেতৃত্বে সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে মেরিন ড্রাইভের দুই পাশে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
রামু সেনানিবাস সূত্রে জানা যায় যে,জাতির পিতার জন্মশতার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখতে ও সমুদ্রতীরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার উদ্দেশ্যে এই বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনী প্রধানকে মেরিন ড্রাইভ সড়কের দুই পাশে অধিক পরিমাণে ঝাউগাছ ও অন্যান্য গাছ লাগানোর নির্দেশ দেন। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে ১০ পদাতিক ডিভিশন, প্রধানমন্ত্রীর এই মহতী উদ্যোগকে বাস্তবে রূপ দিতে চলেছে। এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় আগস্ট মাসের মধ্যে সব চারা রোপণ সম্পন্ন করা হবে।