চায়না থেকে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ৩২ ধরনের প্রসাধনী পণ্যের খালি বোতল আমদানি করতো তাকওয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক সাইফুদ্দিন চৌধুরী। তিনি পুরান ঢাকার চকবাজারের মৌলভীবাজার তাজমহল টাওয়ারের একজন প্রসাধনী ব্যবসায়ী।
অবৈধভাবে আমদানি করা এসব খালি বোতল নিজেদের অনুমোদনহীন কারখানায় নিয়ে রিফিল করে স্টিকার লাগিয়ে বাজারজাত করতো। যার মধ্যে শিশুদের ব্যবহার্য জনসন বেবি লোশন, বেবি শ্যাম্পু, জনসন পাউডার, ইউনিলিভারের পন্ডস, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলীসহ ৩২ ধরনের পণ্যের নকল প্রসাধনী আসল বলে বাজারে বিক্রি করতেন প্রতারক সাইফুদ্দিন। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে রাজধানীর চকবাজার থানার মৌলভীবাজারের তাজমহল টাওয়ার ও সোয়ারীঘাটের ৬/১০ চম্পাটুলি লেন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। র্যাব-১০ ও বিএসটিআই’র সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম।
তিনি বলেন, চকরাজারের মৌলভীবাজারের তাজমহল টাওয়ারের তাকওয়া এন্টারপ্রাইজে অভিযান পরিচালনা করে ৩২ ধরনের বিদেশি বিভিন্ন ব্যান্ডের নকল প্রসাধনী পণ্য পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুদ্দিন নিজের অনুমোদনহীন কারখানায় এগুলো তৈরি করতো। এর জন্য সে মিথ্যে ঘোষণা দিয়ে চায়না থেকে এসব প্রসাধনীর বোতল আমদানি করতেন। এরপর প্রতারণার মাধ্যমে এসব পণ্য বাজারে ক্রেতাদের আসল বলে বিক্রি করতেন। এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকওয়া প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুদ্দিন, আব্দুল আলিম নকির, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. আরমান, শেখ সাউদুল ইসলাম ও খায়ের হোসেনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা করে মোট ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অপরদিকে সোয়ারীঘাট এলাকার ৬/১০ চম্পাটুলি লেন এলাকায় নকল কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারখানার মালিক মো. বাসারের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। তিনি বলেন, বিদেশি প্রসাধনী বিক্রির নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রতারণা করে আসছে। এসব প্রসাধনীর মধ্যে শিশুদের ব্যবহার্য পণ্যই বেশি। এতে শিশুদের ত্বকে নানা রোগ দেখা দেয়। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।