Dhaka , Tuesday, 26 September 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

ময়মনসিংহে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : 06:35:59 pm, Thursday, 22 December 2022
  • 23 বার

ময়মনসিংহে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাপড়ের দোকানে ভিড় করছে মানুষ। গরম কাপড় কিনতে নগরীর অভিজাত বিপণি বিতানসহ ফুটপাতে মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। সাধ্যের মধ্যে প্রিয়জনের জন্য পোশাক কিনছেন তারা।নগরীর গাঙ্গিনাপার, স্টেশন রোড, বাসাবাড়ি মার্কেট ও মহারাজা রোড এলাকার ফুটপাত ও মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, দোকানে সোয়েটার, উলের পোশাক, ব্লেজার, ট্রাউজার, জ্যাকেট, চাদর, মাফলার, কানটুপিসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্রের বিপুল সমারোহ। পছন্দমতো দামে গরম শীতের কিনছেন ক্রেতারা। শীতের শুরুতে বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা। নগরীর বারি প্লাজা শপিং মলের ব্যবসায়ী আহসান উল্লাহ বলেন, এখনও তীব্র শীত পড়েনি। তবুও গত এক সপ্তাহ ধরে নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন শীতের পোশাক কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে বেশি। শীত বাড়লে গতবারের চেয়ে বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছি। নগরীর আকুয়া থেকে শীতের কাপড় কিনতে আসছেন আজিজুল ইসলাম বলেন, নিজের জন্য শীতের জন্য জ্যাকেট কিনলাম। তবে দাম গত বছরের চাইতে কিছুটা বেশি নিয়েছে। দাম বেশি থাকলেও কিনতে হবে। স্টেশন রোড এলাকার জাহাঙ্গীর গার্মেন্টসের মালিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নারী-পুরুষদের জন্য লেডিস কোট, জেন্টস জ্যাকেট। বাচ্চাদের জন্য সুয়েটারসহ শীতের সব ধরনের কাপড় রয়েছে। তবে শীত না বাড়ায় বিক্রি কম।নগরীর শানকিপাড়া এলাকা থেকে শীতের কাপড় কিনতে আসা মিতালী রানী সরকার বলেন, মেয়ের জন্য সুয়েটার ও ছেলের জন্য জ্যাকেট কিনেছি। তবে প্রতি বছরের চাইতে এবার সুয়েটার ও জ্যাকেটে ১০০-১৫০ টাকা করে বেশি নিয়েছে। দামটা আরও কম থাকলে ভাল হতো।

সাদ্দাম হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, গত বছর এক ছেলের জন্য জ্যাকেট কিনেছিলাম এক হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে। একই জ্যাকেট এবার আরেক ছেলের জন্য কিনতে এলে দুই হাজার ২০০ টাকায় দাম চান তারা। শীতের শুরুতেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। এতে ক্রেতারা ঠকলেও বিক্রেতাদের পকেট ভারি হচ্ছে।

মানুষী গার্মেন্টস মালিক মো. ফারুক হোসেন বলেন, অর্থমন্দা যতই থাক শীত বাড়লে শীতের কাপড় বেঁচাকেনা বাড়বে। মেয়েদের লং সুয়েটার, শর্ট সুয়েটার, কটি, ছেলেদের জ্যাকেট, হাফ সুয়েটার, ফুল সোয়েটার পর্যাপ্ত পরিমাণ রয়েছি। বিক্রিও মোটামুটি।

মহারাজা রোড এলাকার ফুটপাতে শীতের কাপড় বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, বেঁচাকেনা তেমন একটা হচ্ছে না। শীত বাড়লে বেঁচাকেনা বাড়তে পারে। তবে যে পরিমাণ বেঁচাকেনা হয় তাতে ঢাল-ভাত খেতে পারছি।

স্টেশন রোড এলাকার শীত কাপড় বিক্রেতা রবিন মিয়া বলেন, বেঁচাকেনা চলছে। আগের চাইতে দাম কিছুটা বেড়েছে। আমাদের বেশি দামে কিনতে হয় বলে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

এ বিষয়ে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, নির্ধারিত দামের চাইতে বেশি রাখলে আমরা বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারব। তবে দামাদামি করে কেনাকাটা করলে সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

ময়মনসিংহে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে

আপডেট টাইম : 06:35:59 pm, Thursday, 22 December 2022

ময়মনসিংহে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাপড়ের দোকানে ভিড় করছে মানুষ। গরম কাপড় কিনতে নগরীর অভিজাত বিপণি বিতানসহ ফুটপাতে মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। সাধ্যের মধ্যে প্রিয়জনের জন্য পোশাক কিনছেন তারা।নগরীর গাঙ্গিনাপার, স্টেশন রোড, বাসাবাড়ি মার্কেট ও মহারাজা রোড এলাকার ফুটপাত ও মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, দোকানে সোয়েটার, উলের পোশাক, ব্লেজার, ট্রাউজার, জ্যাকেট, চাদর, মাফলার, কানটুপিসহ নানা ধরনের শীতবস্ত্রের বিপুল সমারোহ। পছন্দমতো দামে গরম শীতের কিনছেন ক্রেতারা। শীতের শুরুতে বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বিক্রেতারা। নগরীর বারি প্লাজা শপিং মলের ব্যবসায়ী আহসান উল্লাহ বলেন, এখনও তীব্র শীত পড়েনি। তবুও গত এক সপ্তাহ ধরে নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন শীতের পোশাক কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে বেশি। শীত বাড়লে গতবারের চেয়ে বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছি। নগরীর আকুয়া থেকে শীতের কাপড় কিনতে আসছেন আজিজুল ইসলাম বলেন, নিজের জন্য শীতের জন্য জ্যাকেট কিনলাম। তবে দাম গত বছরের চাইতে কিছুটা বেশি নিয়েছে। দাম বেশি থাকলেও কিনতে হবে। স্টেশন রোড এলাকার জাহাঙ্গীর গার্মেন্টসের মালিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নারী-পুরুষদের জন্য লেডিস কোট, জেন্টস জ্যাকেট। বাচ্চাদের জন্য সুয়েটারসহ শীতের সব ধরনের কাপড় রয়েছে। তবে শীত না বাড়ায় বিক্রি কম।নগরীর শানকিপাড়া এলাকা থেকে শীতের কাপড় কিনতে আসা মিতালী রানী সরকার বলেন, মেয়ের জন্য সুয়েটার ও ছেলের জন্য জ্যাকেট কিনেছি। তবে প্রতি বছরের চাইতে এবার সুয়েটার ও জ্যাকেটে ১০০-১৫০ টাকা করে বেশি নিয়েছে। দামটা আরও কম থাকলে ভাল হতো।

সাদ্দাম হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, গত বছর এক ছেলের জন্য জ্যাকেট কিনেছিলাম এক হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে। একই জ্যাকেট এবার আরেক ছেলের জন্য কিনতে এলে দুই হাজার ২০০ টাকায় দাম চান তারা। শীতের শুরুতেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। এতে ক্রেতারা ঠকলেও বিক্রেতাদের পকেট ভারি হচ্ছে।

মানুষী গার্মেন্টস মালিক মো. ফারুক হোসেন বলেন, অর্থমন্দা যতই থাক শীত বাড়লে শীতের কাপড় বেঁচাকেনা বাড়বে। মেয়েদের লং সুয়েটার, শর্ট সুয়েটার, কটি, ছেলেদের জ্যাকেট, হাফ সুয়েটার, ফুল সোয়েটার পর্যাপ্ত পরিমাণ রয়েছি। বিক্রিও মোটামুটি।

মহারাজা রোড এলাকার ফুটপাতে শীতের কাপড় বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, বেঁচাকেনা তেমন একটা হচ্ছে না। শীত বাড়লে বেঁচাকেনা বাড়তে পারে। তবে যে পরিমাণ বেঁচাকেনা হয় তাতে ঢাল-ভাত খেতে পারছি।

স্টেশন রোড এলাকার শীত কাপড় বিক্রেতা রবিন মিয়া বলেন, বেঁচাকেনা চলছে। আগের চাইতে দাম কিছুটা বেড়েছে। আমাদের বেশি দামে কিনতে হয় বলে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।

এ বিষয়ে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, নির্ধারিত দামের চাইতে বেশি রাখলে আমরা বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারব। তবে দামাদামি করে কেনাকাটা করলে সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।