প্রবাস ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির রাস্তায় চলছে চালকবিহীন যানবাহন। এর মধ্যে দিয়ে আমিরাতের ভবিষ্যৎ স্মার্ট গতিশীলতা প্রকল্পটি দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করছে। আটটি চালকবিহীন ক্যাব, ছয়টি মিনি রোবো বাস এবং তিনটি দ্রুত ট্রানজিট কার ইয়াস ও সাদিয়াত দ্বীপে যাতায়াত করছে। এ পথে প্রায় ২০টি চার্জিং স্টেশন আছে।
প্রথম পর্যায়ে ট্র্যাকলেস যানবাহনগুলো ইয়াস দ্বীপের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোতে পরিবহন সেবা দেবে। রাইডারগুলোর যাত্রাপথ—ফেরারি ওয়ার্ল্ড আবুধাবি, ওয়ার্নার ব্রস ওয়ার্ল্ড আবুধাবি, ইয়াস ওয়াটারওয়ার্ল্ড, ইয়াস মল, ইয়াস বিচ, ইয়াস প্লাজা ও থিম পার্কগুলো৷
সাদিয়াত দ্বীপে স্বচালিত ক্যাবের রুট হলো—মামশা আল সাদিয়াত, মানারাত আল সাদিয়াত, এনওয়াইইউ আবুধাবি, সেন্ট রেজিস হোটেল, সাদিয়াত বিচ, লাইসি ফ্রাঙ্কাইস ইন্টারন্যাশনাল থিওডোর মনোড স্কুল, সাদিয়াত আইল্যান্ড রিসোর্টের জুমেইরাহ, সাদিয়াত, সমুদ্র সৈকত এবং লুভর যাদুঘর আবুধাবি। পর্যটন এলাকার এই সড়ক পথের দৈর্ঘ্য ৪৭.৫ কিলোমিটার। এসব চালকবিহীন যানবাহন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলাচল করে। সাদিয়াত দ্বীপের জ্যাক শিরাক স্ট্রিটের মাধ্যমে সংযুক্ত নয়টি ভিন্ন রাস্তায় রোবো বাস চলাচল করছে। গ্রাহকরা ট্যাক্সি অ্যাপে রাইড বুকিং করতে পারেন।
আবুধাবিতে মিউনিসিপ্যালিটিস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট (ডিএমটি) বিভাগের ইন্টিগ্রেটেড ট্রান্সপোর্ট সেন্টার (আইটিসি) জানিয়েছে যে, আমিরাতের শহরগুলোকে আরও স্মার্ট এবং টেকসই করার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পটি একটি স্মার্ট মোবিলিটি সিস্টেম গড়ে তোলার প্রচেষ্টার অংশ। আরও পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উপায়ে আমিরাতের বাসিন্দা এবং দর্শনার্থীদের চলাচলের সুবিধা দেবে এ প্রকল্প। এটি কার্বন নির্গমনও হ্রাস করবে।
প্রজেক্ট আল বায়ানাতের সিইও হাসান আল হোসানি বলেছেন, ‘আমরা চিন্তা করি, কিভাবে বায়ানাত বুদ্ধিমান, উদ্ভাবনী সমাধান দিয়ে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমকে শক্তিশালী ও উন্নত করতে পারে। স্বয়ংক্রিয় যানবাহন প্রযুক্তি আবুধাবিকে জনসাধারণের কাছে আকর্ষণীয় করবে। ইন্টিগ্রেটেড ট্রান্সপোর্ট সেন্টারের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা পরিবেশবান্ধব এবং নিরাপদ ট্রানজিটকে সবার জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য করে তুলছি, যাতে জনসাধারণের আরও ভালোভাবে সেবা দেওয়া যায়। দৈনন্দিন জীবনে উন্নত প্রযুক্তির সম্ভাবনা উপলব্ধি করার জন্য এটি শুরু মাত্র।’