আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভয়াবহ শৈত্যঝড়ের কবলে পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এতে দেশটির অধিকাংশ এলাকা তুষারে নিমজ্জিত হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে এ ঘটনায় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর মধ্যে শুধু নিউ ইয়র্কের এরি কাউন্টিতেই মারা গেছে কমপক্ষে ২৭ জন। এই হালনাগাদ মৃতের সংখ্যায় বাফেলো শহরের মৃতদের তথ্যও যোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, ভয়াবহ এই শৈত্যঝড়ে পশ্চিম নিউ ইয়র্কের কয়েকটি এলাকায় ৪৩ ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারপাত হয়েছে। এতে সড়কে যানবাহন আটকা পড়েছে। বড়দিনের ছুটির মধ্যে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার নাগরিক।
এবারের তুষারঝড়কে বাফেলোর ১৯৭৭ সালের ভয়াবহ তুষারঝড়ের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে।
এরি কাউন্টির নির্বাহী মার্ক পোলানকারজ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এবারের ঝড়ের ভয়াবহতা সাতাত্তরের তুষারঝড়ের চেয়ে মারাত্মক। ওই তুষারঝড়ে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যাদের ২২ জনই ছিল এরি কাউন্টির।”
এর আগে গত রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল বলেন, বাফেলোর দীর্ঘ ইতিহাসে এই ঝড় সবচেয়ে বিধ্বংসী। এরি ও জেনেসি কাউন্টিতে কেন্দ্রীয়ভাবে জরুরি অবস্থা জারি করতে সোমবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
পাওয়ারআউটেজ ডট ইউএসের তথ্যানুযায়ী, তুষারঝড়ের কারণে সোমবার বিকাল নাগাদ গোটা আমেরিকায় প্রায় ৭৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন। তুষারঝড় শুরু হওয়ার পর থেকে এই সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
এদিকে, এই তুষারঝড়ের কারণে আমেরিকায় সাপ্তাহিক ছুটির ব্যস্ততম সময়ে ভ্রমণে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। গত শুক্রবার পাঁচ হাজারের বেশি আর শনিবার ৩ হাজার ৪০০টির বেশি উড়োজাহাজ ফ্লাইট বাতিল করা হয়। বড়দিনে ৩ হাজার ১০০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় পূর্বাঞ্চলীয় সময় গতকাল বিকেল ৪টা নাগাদ ৩ হাজার ৭০০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে ফ্লাইটঅ্যাওয়ার ওয়েবসাইটে বলা হয়।