নিউজ ডেস্ক: মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে টিকিট লাগবে। টিকিটের ক্ষেত্রে দেওয়া হবে দুই ধরনের কার্ড। একক যাত্রা কার্ড ও স্থায়ী কার্ড। একক যাত্রা কার্ড প্রতিটি ভ্রমণের সময় টিকিট কাউন্টার এবং টিকিট বিক্রয় মেশিন থেকে নেওয়া যাবে। আর যারা মেট্রোরেলে চলাচলের জন্য বারবার কার্ড নেওয়ার ঝামেলা এড়াতে চান তারা নিতে পারবেন এমআরটি পাস বা র্যাপিড পাস।
এ পাস নেওয়ার প্রক্রিয়া খুবই সহজ। ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ওয়েবসাইট থেকে অথবা টিকিট কাউন্টার থেকে ফরম পূরণ করতে হবে। নাম, বাব-মায়ের নামসহ সাধারণ কিছু তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করে মেট্রোরেলের যে কোনো একটি স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে যেতে হবে। টিকিট কাউন্টারে কার্ড মূল্য ও জামানত বাবদ ২০০ করে মোট চারশ টাকা জমা দিয়ে নেওয়া যাবে র্যাপিড পাস।
ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একটি র্যাপিড পাস কার্ডের মেয়াদ ১০ বছর। আর এতে ১০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে।
তারা আরো জানিয়েছেন, র্যাপিড কার্ডের রিচার্জ টিকিট ও টিকিট বিক্রয় মেশিন থেকেও করা যাবে। যারা নিজেরাই রিচার্জ করতে সক্ষম তারা বিক্রয় মেশিন থেকে টপআপ অপশনে গিয়ে রিচার্জ করবেন আর যারা অক্ষম তাদের টিকিট কাউন্টার থেকে রিচার্জ করিয়ে দেওয়া হবে।
মেট্রোরেল লাইন-৬-এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া বলেন, র্যাপিড পাস শুধু একজন ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারবেন। তার সঙ্গে পরিবারের সদস্য থাকলে তাদের একক যাত্রার টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। আগামী ছয় মাস পরে বিকাশ, ইউপেসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এ কার্ডে রিচার্জ করা যাবে। সে লক্ষ্যে একটি অ্যাপ তৈরির কাজ চলমান।