প্রবাস ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়া ২০২২ সালে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) প্রোগ্রামের মাধ্যমে পাঁচ হাজার ৮৯১ জন ‘নিম্ন ও মাঝারি’ দক্ষ বাংলাদেশি কর্মী নিয়েছে।
কোরীয় দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রথম ব্যাচের ৯২ জন শ্রমিকের মধ্যে ৬৯ জন নতুন এবং ২৩ জন পুনঃভর্তি কর্মী রয়েছেন।
ইপিএস কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের প্রথম ব্যাচের প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের আজ রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কোরিয়ান এয়ার কোম্পানির চার্টার্ড ফ্লাইটে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
করোনা মহামারিজনিত কারণে বিদেশি ইপিএস কর্মীদের ভর্তি প্রায় দেড় বছর বন্ধের পর, কোরীয় সরকার ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ইএসপি কর্মীদের নেওয়া আবার শুরু করে।
২০০৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ২৮ হাজার ৬৯৭ বাংলাদেশি কর্মী ইপিএস প্রোগ্রামের মাধ্যমে কোরিয়ায় নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে যে, এই বছর প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ জন প্রবাসী কর্মী কোরিয়ায় নেওয়া হবে।
দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য কোরিয়া একটি অধিক পছন্দের গন্তব্য কারণ তারা কোরিয়ার আইনত ন্যূনতম মজুরি লাভ করতে পারে।
কোরীয় সরকার অবশ্য ঢাকার ইপিএস সেন্টারের মাধ্যমে শ্রমিকদের এই অর্থ ফেরত দেওয়ার লক্ষ্যে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে শ্রমিকদের বীমার অর্থ দেওয়ার সক্রিয় চেষ্টা চালিয়েছে।