Dhaka , Tuesday, 26 September 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

বিশ্বের যে স্থানে রাত হয় না!

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 02:53:45 pm, Friday, 6 January 2023
  • 36 বার

ভ্রমণ ডেস্ক: বিশ্বের বেশ কয়েকটি স্থোন আছে যেখানে সূর্যের দেখা পাওয়াই মুশকিল। আবার এমনও কিছু স্থান আছে যেখানে সূর্য অস্ত যেতেই ভুলে যায়। বিশ্বে এমন কয়েকটি স্থান আছে, যেখানে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্তই কখনো কখনো দিন থাকে।

সেসব স্থান কখনো পুরোপুরি অন্ধকার হয় না। দিনের পরিমাণই হয় সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ টানা ২৪ ঘণ্টাই সেখানে আপনি কেবল দিন দেখতে পাবেন। জেনে নিন সেসব অদ্ভুত জায়গার তালিকা-

ইউমা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

ওয়ার্ল্ড মেটিওরো লজিক্যাল অর্গানাইজেশনের মতে, ইউমা (অ্যারিজোনা) হলো পৃথিবীর দীর্ঘতম দিনযুক্ত স্থান। এখানে শীতকালে মোট ১১ ঘণ্টা ও গ্রীষ্মে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত সূর্যের আলো দেখা যায়।

এর মানে হলো, ইউমা বছরে গড়ে চার হাজার ১৫ ঘণ্টা সূর্যালোক পায়। এখানকার ৯০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা শুষ্ক জলবায়ুর সম্মুখীন হন।

এই স্থানে বৃষ্টিপাত ২০০ মিলি মিটারের বেশি হয় না ও তাপমাত্রা বেশিরভাগ সময়ে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকে।

ফিনিক্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

পৃথিবীর দ্বিতীয় রৌদ্রজ্জ্বল স্থান হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিনিক্স। সেখানেও সূর্য অস্ত যায় না। ফিনিক্স কিন্তু আসলে অ্যারিজোনার রাজধানী।

এই স্থান বছরে ৩ হাজার ৮৭২ ঘণ্টা সূর্যালোক পায়। এ কারণে স্থানটি সূর্যের উপত্যকা নামে পরিচিত। এই স্থানের জনসংখ্যা প্রায় দেড় মিলিয়ন।

জুন ও সেপ্টেম্বর মাসে এখানকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে চলে যায়। ১৯৯০ সালে এখানকার তাপমাত্রা রেকর্ড ৫০ ডিগ্রিতে গিয়ে পৌঁছেছিল।

আসওয়ান, মিশর

নীল নদী উপত্যকা সম্পর্কে কথা বলা জরুরি। মিশরের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত আসওয়ান আফ্রিকার সবচেয়ে রৌদ্র করোজ্জ্বল শহর। সেখানে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টার বেশি সূর্যের আলো থাকে।

প্রতিবছর প্রায় সূর্যের আলো থাকে প্রায় ৩ হাজার ৮৬৩ ঘণ্টা। এখানকার প্রাচীন শহর এলিফ্যান্টাইন হেলেনিস্টিক যুগ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল।

রাজুকান, নরওয়ে

নরওয়ের দক্ষিণে একটি উপত্যকায় অবস্থিত ছোট গ্রাম রাজুকান। এর প্রাকৃতিক সম্পদ নানা কারণে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে রাজুকান এলাকাটি বছরের ৬ মাস সূর্যের আলোও দেখতে পায় না। সেপ্টেম্বর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে সূর্যের রশ্মি সবচেয়ে কম পড়ে।

ব্যারো, আলাস্কা

আলাস্কার এই ব্যারো অঞ্চলে সূর্য অস্ত যায় না। তবে নভেম্বর মাস থেকে শুরু করে পরবর্তী ৩০ দিন সূর্যের বিন্দুমাত্র আলোও দেখা যায় না।

এই স্থান পোলার নাইটস নামেও পরিচিত। প্রচণ্ড শীতেও এই অঞ্চল পুরোপুরি অন্ধকারে ঢাকা থাকে।
তুষারে ঢাকা পাহাড় ও মনমুগ্ধকারী হিমবাহ দেখতে যেতে পারেন বিখ্যাত আলাস্কার ব্যারোতে। গ্রীষ্ম বা শীতকাল যে কোনো সময়ই সেখানে যেতে পারেন পর্যটকরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

বিশ্বের যে স্থানে রাত হয় না!

আপডেট টাইম : 02:53:45 pm, Friday, 6 January 2023

ভ্রমণ ডেস্ক: বিশ্বের বেশ কয়েকটি স্থোন আছে যেখানে সূর্যের দেখা পাওয়াই মুশকিল। আবার এমনও কিছু স্থান আছে যেখানে সূর্য অস্ত যেতেই ভুলে যায়। বিশ্বে এমন কয়েকটি স্থান আছে, যেখানে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্তই কখনো কখনো দিন থাকে।

সেসব স্থান কখনো পুরোপুরি অন্ধকার হয় না। দিনের পরিমাণই হয় সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ টানা ২৪ ঘণ্টাই সেখানে আপনি কেবল দিন দেখতে পাবেন। জেনে নিন সেসব অদ্ভুত জায়গার তালিকা-

ইউমা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

ওয়ার্ল্ড মেটিওরো লজিক্যাল অর্গানাইজেশনের মতে, ইউমা (অ্যারিজোনা) হলো পৃথিবীর দীর্ঘতম দিনযুক্ত স্থান। এখানে শীতকালে মোট ১১ ঘণ্টা ও গ্রীষ্মে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত সূর্যের আলো দেখা যায়।

এর মানে হলো, ইউমা বছরে গড়ে চার হাজার ১৫ ঘণ্টা সূর্যালোক পায়। এখানকার ৯০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা শুষ্ক জলবায়ুর সম্মুখীন হন।

এই স্থানে বৃষ্টিপাত ২০০ মিলি মিটারের বেশি হয় না ও তাপমাত্রা বেশিরভাগ সময়ে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকে।

ফিনিক্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

পৃথিবীর দ্বিতীয় রৌদ্রজ্জ্বল স্থান হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিনিক্স। সেখানেও সূর্য অস্ত যায় না। ফিনিক্স কিন্তু আসলে অ্যারিজোনার রাজধানী।

এই স্থান বছরে ৩ হাজার ৮৭২ ঘণ্টা সূর্যালোক পায়। এ কারণে স্থানটি সূর্যের উপত্যকা নামে পরিচিত। এই স্থানের জনসংখ্যা প্রায় দেড় মিলিয়ন।

জুন ও সেপ্টেম্বর মাসে এখানকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে চলে যায়। ১৯৯০ সালে এখানকার তাপমাত্রা রেকর্ড ৫০ ডিগ্রিতে গিয়ে পৌঁছেছিল।

আসওয়ান, মিশর

নীল নদী উপত্যকা সম্পর্কে কথা বলা জরুরি। মিশরের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত আসওয়ান আফ্রিকার সবচেয়ে রৌদ্র করোজ্জ্বল শহর। সেখানে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টার বেশি সূর্যের আলো থাকে।

প্রতিবছর প্রায় সূর্যের আলো থাকে প্রায় ৩ হাজার ৮৬৩ ঘণ্টা। এখানকার প্রাচীন শহর এলিফ্যান্টাইন হেলেনিস্টিক যুগ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল।

রাজুকান, নরওয়ে

নরওয়ের দক্ষিণে একটি উপত্যকায় অবস্থিত ছোট গ্রাম রাজুকান। এর প্রাকৃতিক সম্পদ নানা কারণে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে রাজুকান এলাকাটি বছরের ৬ মাস সূর্যের আলোও দেখতে পায় না। সেপ্টেম্বর মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এখানে সূর্যের রশ্মি সবচেয়ে কম পড়ে।

ব্যারো, আলাস্কা

আলাস্কার এই ব্যারো অঞ্চলে সূর্য অস্ত যায় না। তবে নভেম্বর মাস থেকে শুরু করে পরবর্তী ৩০ দিন সূর্যের বিন্দুমাত্র আলোও দেখা যায় না।

এই স্থান পোলার নাইটস নামেও পরিচিত। প্রচণ্ড শীতেও এই অঞ্চল পুরোপুরি অন্ধকারে ঢাকা থাকে।
তুষারে ঢাকা পাহাড় ও মনমুগ্ধকারী হিমবাহ দেখতে যেতে পারেন বিখ্যাত আলাস্কার ব্যারোতে। গ্রীষ্ম বা শীতকাল যে কোনো সময়ই সেখানে যেতে পারেন পর্যটকরা।