Dhaka , Tuesday, 26 September 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

বাংলাদেশি নিখোঁজের ঘটনায় ৬০ দিনের রিমান্ডে মালদ্বীপের নাগরিক

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 02:14:05 pm, Sunday, 8 January 2023
  • 28 বার

প্রবাস ডেস্ক: এশিয়ার সবচেয়ে ছোট দেশ মালদ্বীপ। দেশটিতে পর্যটকদের আনাগোনাই বেশি। সেখানে থাকেন বাংলাদেশের এক রেমিট্যান্স যোদ্ধা মো. মোহাম্মদ লিটন (৩৫)। কিন্তু গত ১২ দিন ধরে নিখোঁজ তিনি। এদিকে নিখোঁজের ঘটনায় মালদ্বীপের এক নাগরিককে ৬০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

নিখোঁজ লিটন জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার আমানপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে।

তার পরিবার ও মালদ্বীপে থাকা খালাতো ভাই জিল্লুর রহমানের কাছ থেকে যানা যায়, লিটন গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ। তিনি জ্বালানি তেল সরবরাহ করা বোটে (নৌকা) কাজ করতেন। সমুদ্র পথে এক দ্বীপ থেকে অন্য অন্য দ্বীপে তেল সরবরাহ করতেন তিনি।

এ বিষয়ে আরও খোঁজ নিতে গিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে যানা যায়, মালদ্বীপের নাগরিক মোহাম্মদ নিজাম (৪৫) ও নিখোঁজ লিটন এক সঙ্গে ওই জ্বালানি তেলের বোটে কাজ করতেন। এই দুজন নিখোঁজ হলে ৩১ ডিসেম্বর স্থানীয় পুলিশ তাদের সন্ধানে একটি টুইট করে।

সবশেষ ৫ জানুয়ারি মালদ্বীপের রাজধানীর একটি গেস্ট হাউজে নিজামকে পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিক লিটনের খোঁজ মেলেনি।

মালদ্বীপের পুলিশ বলছে, নিজামকে যেদিন পাওয়া যায় সেদিনই তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এখন লিটনের নিখোঁজ মামলাটি হত্যার তদন্তে পরিণত হয়েছে। এ মামলার প্রধান সন্দেহভাজন মালদ্বীপের নাগরিক নিজাম।

পুলিশ বলছে, এর আগে ২০০৮ সালে থিনাধু থেকে মাদক ও চুরির জন্য নিজামকে প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই বছর তাকে মাদক সংক্রান্ত মামলায় তিনবার গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২০১৪ সালে চুরি এবং মাদকের জন্য দুবার গ্রেফতার হয়েছিলেন নিজাম। ২০১৫ সালে মাদক সেবনের জন্য এবং ২০২০, ২১ ও ২২ সালে চুরির জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

পুলিশ জানিয়েছে, নিজাম এখন টাকা চুরির জন্য লিটনকে হত্যা করতে পারেন। তাই রহস্য উদঘাটনে তাকে ৬০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনার অফিসে যোগাযোগ করা হলে মিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) সোহেল পারভেজ বলেন, আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আশা করি তদন্তে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

বাংলাদেশি নিখোঁজের ঘটনায় ৬০ দিনের রিমান্ডে মালদ্বীপের নাগরিক

আপডেট টাইম : 02:14:05 pm, Sunday, 8 January 2023

প্রবাস ডেস্ক: এশিয়ার সবচেয়ে ছোট দেশ মালদ্বীপ। দেশটিতে পর্যটকদের আনাগোনাই বেশি। সেখানে থাকেন বাংলাদেশের এক রেমিট্যান্স যোদ্ধা মো. মোহাম্মদ লিটন (৩৫)। কিন্তু গত ১২ দিন ধরে নিখোঁজ তিনি। এদিকে নিখোঁজের ঘটনায় মালদ্বীপের এক নাগরিককে ৬০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

নিখোঁজ লিটন জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার আমানপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে।

তার পরিবার ও মালদ্বীপে থাকা খালাতো ভাই জিল্লুর রহমানের কাছ থেকে যানা যায়, লিটন গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ। তিনি জ্বালানি তেল সরবরাহ করা বোটে (নৌকা) কাজ করতেন। সমুদ্র পথে এক দ্বীপ থেকে অন্য অন্য দ্বীপে তেল সরবরাহ করতেন তিনি।

এ বিষয়ে আরও খোঁজ নিতে গিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে যানা যায়, মালদ্বীপের নাগরিক মোহাম্মদ নিজাম (৪৫) ও নিখোঁজ লিটন এক সঙ্গে ওই জ্বালানি তেলের বোটে কাজ করতেন। এই দুজন নিখোঁজ হলে ৩১ ডিসেম্বর স্থানীয় পুলিশ তাদের সন্ধানে একটি টুইট করে।

সবশেষ ৫ জানুয়ারি মালদ্বীপের রাজধানীর একটি গেস্ট হাউজে নিজামকে পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিক লিটনের খোঁজ মেলেনি।

মালদ্বীপের পুলিশ বলছে, নিজামকে যেদিন পাওয়া যায় সেদিনই তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এখন লিটনের নিখোঁজ মামলাটি হত্যার তদন্তে পরিণত হয়েছে। এ মামলার প্রধান সন্দেহভাজন মালদ্বীপের নাগরিক নিজাম।

পুলিশ বলছে, এর আগে ২০০৮ সালে থিনাধু থেকে মাদক ও চুরির জন্য নিজামকে প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই বছর তাকে মাদক সংক্রান্ত মামলায় তিনবার গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২০১৪ সালে চুরি এবং মাদকের জন্য দুবার গ্রেফতার হয়েছিলেন নিজাম। ২০১৫ সালে মাদক সেবনের জন্য এবং ২০২০, ২১ ও ২২ সালে চুরির জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

পুলিশ জানিয়েছে, নিজাম এখন টাকা চুরির জন্য লিটনকে হত্যা করতে পারেন। তাই রহস্য উদঘাটনে তাকে ৬০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনার অফিসে যোগাযোগ করা হলে মিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) সোহেল পারভেজ বলেন, আমরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আশা করি তদন্তে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।