Dhaka , Friday, 19 April 2024

রোজার পণ্য আমদানি ব্যাহতের শঙ্কা

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 08:16:16 am, Tuesday, 10 January 2023
  • 44 বার

অর্থনীতি ডেস্ক: ডলার সংকটের কারণে বিদেশ থেকে রমজানের ছয়টি নিত্যপণ্য (ভোজ্যতেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা, খেজুর ও পেঁয়াজ) আমদানি ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। ব্যাংকগুলো এলসি খুলতে চাচ্ছে না। এতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদেশি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে রোজার পণ্য আমদানির চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডলার সংস্থান রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে ব্যবসায়ীরা রমজানের পণ্য আমদানির জন্য আলাদাভাবে ডলার মজুত রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দেন। প্রসঙ্গত রোজা সামনে রেখে ভোজ্যতেল চিনিসহ নিত্যপণ্য আমদানির জন্য ডলারের সংস্থান রাখার এবং এলসি খোলার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশ দেয়। কিন্তু মাঠপর্যায়ে অনেক ব্যাংক ডলার সংকট দেখিয়ে এলসি খুলতে অনীহা প্রকাশ করে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলে মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরেক দফা অনুরোধ জানায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এ তথ্য।

সূত্রমতে, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি-এ দুই মাস এবং পরবর্তী রোজার এক মাসের চাহিদা অনুযায়ী ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মসুর ডাল, পেঁয়াজ ও খেজুর আমদানিতে সম্ভাব্য ১৫৩ কোটি মার্কিন ডলারের প্রয়োজন হবে। আর শুধু রোজার এক মাসের চাহিদা পূরণে এসব পণ্য আমদানিতে প্রয়োজন ৫৬ কোটি মার্কিন ডলার।

জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপনকান্তি ঘোষ জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বছরে যে ডলার ব্যয় হয় তার ১০ থেকে ২০ শতাংশ রমজানের পণ্য আমদানির চাহিদা পূরণে আলাদাভাবে রাখতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে কত শতাংশ ডলার রাখবে, সেটি নির্ধারণ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কারণ এখানে অনেক হিসাবনিকাশের বিষয় আছে। তিনি আরও বলেন, সাধারণ নিত্যপণ্য, মেশিনারিজসহ অনেক কিছু বিদেশ থেকে আনা হয়। গত কয়েক বছর নিত্যপণ্য আমদানিতে এলসি খোলা এবং বিপরীতে ডলার ব্যয়ের গড় হিসাব বের করে দেখতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ রোজার জন্য বেশি ডলার সংস্থান রাখা হলে সেটি আবার অন্যদিকে ঘাটতি পড়তে পরে।

আগামী মার্চের শেষ সপ্তাহ রোজা শুরু হচ্ছে। ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে রমজানকেন্দ্রিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির এলসি খোলা। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার অপ্রতুলতার কারণে নিত্যপণ্য আমদানি বিল পরিশোধ বিলম্ব ও এলসি খোলা জটিলতা দেখা দিয়েছে। এতে গত তিন মাস (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এলসি খোলার হারও কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অপরিশোধিত চিনির ঋণপত্র খোলার পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে ২৮ শতাংশ কমেছে। এছাড়া অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের ৪৭ শতাংশ, সয়াবিন বীজ ৮৩ শতাংশ, অপরিশোধিত পাম তেল ৯৯ শতাংশ, ছোলা ৪৭ শতাংশ ও খেজুর আমদানির ঋণপত্র খোলা কমেছে ৩০ শতাংশ।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার এনে আমদানিকারকদের দিচ্ছে। আমদানিকারকরা ১০৭ টাকা মূল্য দিয়েও ডলার পাচ্ছেন না। ফলে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কও খারাপ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে অতিপ্রয়োজনীয় ৬টি নিত্যপণ্য আমদানির জন্য যে পরিমাণ ডলারের প্রয়োজন, তা আলাদাভাবে রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে। বুধবার দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত টাস্কফোর্স বৈঠকে এসব সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে রমজানের পণ্য আমদানির জন্য ডলারের সংস্থান রাখার ব্যাপারে একমত পোষণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে রোজায় বাজার স্বাভাবিক রাখতে চলতি জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৭ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল, ৬ লাখ মেট্রিক টন চিনি, ২ লাখ মেট্রিক টন মসুর ডাল, ৬ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ, ১ লাখ মেট্রিক টন ছোলা ও ৭৫ হাজার টন খেজুর আমদানি করতে হবে। আর এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ব্যয় হবে ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ভোজ্যতেল আমদানিতে সম্ভাব্য ডলার প্রয়োজন ৭৭ কোটি মার্কিন ডলার। বর্তমান বিশ্ববাজারে এক মেট্রিক টন সয়াবিনের মূল্য ১ হাজার ২১৭ মার্কিন ডলার এবং পাম অয়েল ৯৮০ ডলার। যেহেতু দেশে সয়াবিন ও পাম উভয় ধরনের ভোজ্যতেল আমদানি হয়, সে হিসাবে ভোজ্যতেল আমদানির গড় মূল্য ধরা হয় প্রতি টন ১ হাজার ৯৯ ডলার। একইভাবে চিনিতে ২৭ কোটি, মসুর ডালে ১০ কোটি, পেঁয়াজে ১২ কোটি, ছোলায় ৭ কোটি এবং খেজুর আমদানিতে প্রয়োজন ৫ কোটি মার্কিন ডলার। শুধু রোজার এক মাসের জন্য প্রয়োজন হয় ভোজ্যতেল ৩ লাখ, চিনি ৩ লাখ, পেঁয়াজ ৪ লাখ, মসুর ডাল ১ লাখ, ছোলা ১ লাখ এবং খেজুর ৫০ হাজার মেট্রিক টন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, রমজানের আগে নিত্যপণ্য আমদানির এলসি খোলার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তা করতে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জবাবে বলেছে, শিশুখাদ্য, নিত্যপণ্য, ওষুধ ও সরঞ্জাম এবং চিকিৎসা কাজে ব্যবহার সরঞ্জামে এলসি খোলার ক্ষেত্রে কোনো মার্জিন আরোপ করা হয়নি। পাশাপাশি এলসি খুলতে নিরুৎসাহিত করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জবাবে আরও বলেছে, বিধ্যমান বিধিবিধান ও ব্যাংক ঋণ নীতিমালার আওতায় ঋণপত্র স্থাপনে ব্যাংক অনিয়ম করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে। এখন আরও জোরালো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের এলসি গ্রহণ করতে না চাইলে তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে পারবে। প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলা হবে। নিত্যপণ্য আমদানি যাতে ব্যাহত না হয়, সেটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

রোজার পণ্য আমদানি ব্যাহতের শঙ্কা

আপডেট টাইম : 08:16:16 am, Tuesday, 10 January 2023

অর্থনীতি ডেস্ক: ডলার সংকটের কারণে বিদেশ থেকে রমজানের ছয়টি নিত্যপণ্য (ভোজ্যতেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা, খেজুর ও পেঁয়াজ) আমদানি ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীরা আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। ব্যাংকগুলো এলসি খুলতে চাচ্ছে না। এতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদেশি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে রোজার পণ্য আমদানির চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডলার সংস্থান রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে ব্যবসায়ীরা রমজানের পণ্য আমদানির জন্য আলাদাভাবে ডলার মজুত রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দেন। প্রসঙ্গত রোজা সামনে রেখে ভোজ্যতেল চিনিসহ নিত্যপণ্য আমদানির জন্য ডলারের সংস্থান রাখার এবং এলসি খোলার জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশ দেয়। কিন্তু মাঠপর্যায়ে অনেক ব্যাংক ডলার সংকট দেখিয়ে এলসি খুলতে অনীহা প্রকাশ করে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলে মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরেক দফা অনুরোধ জানায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এ তথ্য।

সূত্রমতে, জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি-এ দুই মাস এবং পরবর্তী রোজার এক মাসের চাহিদা অনুযায়ী ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মসুর ডাল, পেঁয়াজ ও খেজুর আমদানিতে সম্ভাব্য ১৫৩ কোটি মার্কিন ডলারের প্রয়োজন হবে। আর শুধু রোজার এক মাসের চাহিদা পূরণে এসব পণ্য আমদানিতে প্রয়োজন ৫৬ কোটি মার্কিন ডলার।

জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপনকান্তি ঘোষ জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে বছরে যে ডলার ব্যয় হয় তার ১০ থেকে ২০ শতাংশ রমজানের পণ্য আমদানির চাহিদা পূরণে আলাদাভাবে রাখতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে কত শতাংশ ডলার রাখবে, সেটি নির্ধারণ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কারণ এখানে অনেক হিসাবনিকাশের বিষয় আছে। তিনি আরও বলেন, সাধারণ নিত্যপণ্য, মেশিনারিজসহ অনেক কিছু বিদেশ থেকে আনা হয়। গত কয়েক বছর নিত্যপণ্য আমদানিতে এলসি খোলা এবং বিপরীতে ডলার ব্যয়ের গড় হিসাব বের করে দেখতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ রোজার জন্য বেশি ডলার সংস্থান রাখা হলে সেটি আবার অন্যদিকে ঘাটতি পড়তে পরে।

আগামী মার্চের শেষ সপ্তাহ রোজা শুরু হচ্ছে। ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে রমজানকেন্দ্রিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির এলসি খোলা। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার অপ্রতুলতার কারণে নিত্যপণ্য আমদানি বিল পরিশোধ বিলম্ব ও এলসি খোলা জটিলতা দেখা দিয়েছে। এতে গত তিন মাস (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এলসি খোলার হারও কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অপরিশোধিত চিনির ঋণপত্র খোলার পরিমাণ আগের বছরের চেয়ে ২৮ শতাংশ কমেছে। এছাড়া অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের ৪৭ শতাংশ, সয়াবিন বীজ ৮৩ শতাংশ, অপরিশোধিত পাম তেল ৯৯ শতাংশ, ছোলা ৪৭ শতাংশ ও খেজুর আমদানির ঋণপত্র খোলা কমেছে ৩০ শতাংশ।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার এনে আমদানিকারকদের দিচ্ছে। আমদানিকারকরা ১০৭ টাকা মূল্য দিয়েও ডলার পাচ্ছেন না। ফলে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কও খারাপ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে অতিপ্রয়োজনীয় ৬টি নিত্যপণ্য আমদানির জন্য যে পরিমাণ ডলারের প্রয়োজন, তা আলাদাভাবে রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে। বুধবার দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত টাস্কফোর্স বৈঠকে এসব সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে রমজানের পণ্য আমদানির জন্য ডলারের সংস্থান রাখার ব্যাপারে একমত পোষণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে রোজায় বাজার স্বাভাবিক রাখতে চলতি জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৭ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল, ৬ লাখ মেট্রিক টন চিনি, ২ লাখ মেট্রিক টন মসুর ডাল, ৬ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ, ১ লাখ মেট্রিক টন ছোলা ও ৭৫ হাজার টন খেজুর আমদানি করতে হবে। আর এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ব্যয় হবে ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ভোজ্যতেল আমদানিতে সম্ভাব্য ডলার প্রয়োজন ৭৭ কোটি মার্কিন ডলার। বর্তমান বিশ্ববাজারে এক মেট্রিক টন সয়াবিনের মূল্য ১ হাজার ২১৭ মার্কিন ডলার এবং পাম অয়েল ৯৮০ ডলার। যেহেতু দেশে সয়াবিন ও পাম উভয় ধরনের ভোজ্যতেল আমদানি হয়, সে হিসাবে ভোজ্যতেল আমদানির গড় মূল্য ধরা হয় প্রতি টন ১ হাজার ৯৯ ডলার। একইভাবে চিনিতে ২৭ কোটি, মসুর ডালে ১০ কোটি, পেঁয়াজে ১২ কোটি, ছোলায় ৭ কোটি এবং খেজুর আমদানিতে প্রয়োজন ৫ কোটি মার্কিন ডলার। শুধু রোজার এক মাসের জন্য প্রয়োজন হয় ভোজ্যতেল ৩ লাখ, চিনি ৩ লাখ, পেঁয়াজ ৪ লাখ, মসুর ডাল ১ লাখ, ছোলা ১ লাখ এবং খেজুর ৫০ হাজার মেট্রিক টন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, রমজানের আগে নিত্যপণ্য আমদানির এলসি খোলার ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তা করতে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জবাবে বলেছে, শিশুখাদ্য, নিত্যপণ্য, ওষুধ ও সরঞ্জাম এবং চিকিৎসা কাজে ব্যবহার সরঞ্জামে এলসি খোলার ক্ষেত্রে কোনো মার্জিন আরোপ করা হয়নি। পাশাপাশি এলসি খুলতে নিরুৎসাহিত করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জবাবে আরও বলেছে, বিধ্যমান বিধিবিধান ও ব্যাংক ঋণ নীতিমালার আওতায় ঋণপত্র স্থাপনে ব্যাংক অনিয়ম করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে। এখন আরও জোরালো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের এলসি গ্রহণ করতে না চাইলে তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে পারবে। প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলা হবে। নিত্যপণ্য আমদানি যাতে ব্যাহত না হয়, সেটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।