Dhaka , Tuesday, 26 September 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

গুনাহের পর ক্ষমা সম্পর্কে যা বলেছেন নবিজি (সা.)

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 08:15:34 am, Sunday, 22 January 2023
  • 38 বার

ইসলাম ডেস্ক: পরিশুদ্ধ জীবনের জন্য তাওবাহ-ইসতেগফারের বিকল্প নেই। প্রতিদিনই মানুষ শয়তানের কুমন্ত্রণায় অহরহ গুনাহ করে বসে। চলার পথে মানুষ বুঝে না বুঝে, ইচ্ছা-অনিচ্ছায় অনেক জঘন্যতম অপরাধও করে বসে। তাই সাধারণ কিংবা জঘন্যতম কোনো কারণে অপরাধ সংঘটিত হয়ে গেলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা জরুরি। দেরি না করে ক্ষমা প্রার্থনা সম্পর্কে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী বলেছেন?

হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বান্দাকে দেরি না করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলেছেন। আবার দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা প্রার্থনার কারণও উল্লেখ করেছেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বাম পাশের ফেরেশতারা বান্দার গুনাহ লেখার আগে ৬ ঘণ্টা কলম তুলে রাখেন (অর্থাৎ গুনাহ লেখেন না)। এই সময়ে মধ্যে যদি সে তার গুনাহের কারণে লজ্জিত হয় এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় তাহলে ফেরেশতা তা না লিখে ছুড়ে ফেলে দেন। কিন্তু যদি সে এমনটা না করে তাহলে তার আমলনামায় একটি গুনাহ লেখা হয়।’ (আল-মুজামুল কাবির, সিলসিলাতুল আহাদিস আস-সাহিহা)

হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, অন্যায় বা অপরাধ সংঘটিত হলে ক্ষমা প্রার্থনা বা তাওবাহ করতে দেরি করা আরেকটি মারাত্মক ভুল বা অন্যায়।

কারণ, অন্যায় বা অপরাধী ব্যক্তি নিজেও জানে না সে কখন মৃত্যু বরণ করবে। আবার এ গুনাহের জন্য পরে ক্ষমা প্রার্থনা বা তাওবাহ করার সুযোগ মিলবে কিনা তাও সে নিশ্চিত নয়। সে কারণে যখনই কোনো অপরাধ সংঘটিত হবে তখনই দেরি না করে তাওবাহ-ইসতেগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করা একান্ত জরুরি।

উল্লেখিত হাদিসে দেরি না করে ক্ষমা প্রার্থনার সে বিষয়টিই ফুটে উঠেছে। রাসুলে আরাবির এ হাদিস উম্মতে হাম্মাদির জন্য অন্যতম নেয়ামত।

সুতরাং মানুষের উচিত একটা অন্যায় করে শয়তানকে খুশি করার পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা না চেয়ে দ্বিতীয় আরেকটি অন্যায় করে শয়তানকে দ্বিগুণ খুশি করা উচিত নয়।

তাই প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের জান্য একান্ত আবশ্যক যে, গুনাহ করার পর পরই দেরি না করে আল্লাহর পথে ফিরে আসতে তাওবাহ-ইসতেগফার করা। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করে গুনাহমুক্ত জীবন গঠন করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। গুনাহ করার পর দেরি না করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

গুনাহের পর ক্ষমা সম্পর্কে যা বলেছেন নবিজি (সা.)

আপডেট টাইম : 08:15:34 am, Sunday, 22 January 2023

ইসলাম ডেস্ক: পরিশুদ্ধ জীবনের জন্য তাওবাহ-ইসতেগফারের বিকল্প নেই। প্রতিদিনই মানুষ শয়তানের কুমন্ত্রণায় অহরহ গুনাহ করে বসে। চলার পথে মানুষ বুঝে না বুঝে, ইচ্ছা-অনিচ্ছায় অনেক জঘন্যতম অপরাধও করে বসে। তাই সাধারণ কিংবা জঘন্যতম কোনো কারণে অপরাধ সংঘটিত হয়ে গেলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা জরুরি। দেরি না করে ক্ষমা প্রার্থনা সম্পর্কে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী বলেছেন?

হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বান্দাকে দেরি না করে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলেছেন। আবার দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা প্রার্থনার কারণও উল্লেখ করেছেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বাম পাশের ফেরেশতারা বান্দার গুনাহ লেখার আগে ৬ ঘণ্টা কলম তুলে রাখেন (অর্থাৎ গুনাহ লেখেন না)। এই সময়ে মধ্যে যদি সে তার গুনাহের কারণে লজ্জিত হয় এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় তাহলে ফেরেশতা তা না লিখে ছুড়ে ফেলে দেন। কিন্তু যদি সে এমনটা না করে তাহলে তার আমলনামায় একটি গুনাহ লেখা হয়।’ (আল-মুজামুল কাবির, সিলসিলাতুল আহাদিস আস-সাহিহা)

হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, অন্যায় বা অপরাধ সংঘটিত হলে ক্ষমা প্রার্থনা বা তাওবাহ করতে দেরি করা আরেকটি মারাত্মক ভুল বা অন্যায়।

কারণ, অন্যায় বা অপরাধী ব্যক্তি নিজেও জানে না সে কখন মৃত্যু বরণ করবে। আবার এ গুনাহের জন্য পরে ক্ষমা প্রার্থনা বা তাওবাহ করার সুযোগ মিলবে কিনা তাও সে নিশ্চিত নয়। সে কারণে যখনই কোনো অপরাধ সংঘটিত হবে তখনই দেরি না করে তাওবাহ-ইসতেগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করা একান্ত জরুরি।

উল্লেখিত হাদিসে দেরি না করে ক্ষমা প্রার্থনার সে বিষয়টিই ফুটে উঠেছে। রাসুলে আরাবির এ হাদিস উম্মতে হাম্মাদির জন্য অন্যতম নেয়ামত।

সুতরাং মানুষের উচিত একটা অন্যায় করে শয়তানকে খুশি করার পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা না চেয়ে দ্বিতীয় আরেকটি অন্যায় করে শয়তানকে দ্বিগুণ খুশি করা উচিত নয়।

তাই প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের জান্য একান্ত আবশ্যক যে, গুনাহ করার পর পরই দেরি না করে আল্লাহর পথে ফিরে আসতে তাওবাহ-ইসতেগফার করা। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করে গুনাহমুক্ত জীবন গঠন করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। গুনাহ করার পর দেরি না করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।