Dhaka , Thursday, 30 November 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

কিয়েভকে অস্ত্র দিলে কী হবে জানাল রাশিয়া

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 08:12:08 am, Tuesday, 24 January 2023
  • 29 বার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে কিয়েভকে বিধ্বংসী অস্ত্র সরবরাহ করতে নিষেধ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক ঘনিষ্ঠ মিত্র। তিনি বলেছেন, কিয়েভকে বিধ্বংসী অস্ত্র দিলে তা যদি রাশিয়ার জন্য হুমকি বলে মনে হয়, তবে বৈশ্বিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। তিনি গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার না করার পক্ষে যুক্তি দেন।

রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমার স্পিকার ব্যাচেস্লাভ ভোলোদিন সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সমর্থন বিশ্বকে একটি ভয়ানক যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে ভোলোদিন বলেন, ওয়াশিংটন ও ন্যাটোর সরবরাহ করা অস্ত্র যদি তাদের দেওয়া হুমকি অনুযায়ী বেসামরিক শহরগুলোতে আঘাত হানতে এবং নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যবহার করা হয়, তবে আরও শক্তিশালী অস্ত্র দিয়ে এর পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। পারমাণবিক শক্তিধর কোনো দেশ আগে স্থানীয় সংঘাতে গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করেনি, এমন যুক্তি এখানে অকার্যকর। কারণ, এসব দেশ আগে এ ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়েনি, যেখানে তাদের জনগণের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়েছিল।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার সেনাদের হামলার পাল্টা-জবাব দিতে কিয়েভকে কয়েক শ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। তবে জার্মানির পক্ষ থেকে তাদের লেপার্ড ট্যাংক কিয়েভকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে রাশিয়ার সেনারা দেশটির এক-পঞ্চমাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। মস্কো বলেছে, এ অঞ্চল আর ফেরত দেবে না তারা। কিয়েভের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শান্তি আলোচনায় বসতে হলে ইউক্রেন থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে।

গত সপ্তাহে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্র মেদভেদেভের কণ্ঠেও ছিল ভোলোদিনের কথার সুর। তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার বাহিনীর পরাজয় হলে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে।

বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সমর্থন নিয়ে আলোচনা করেন মেদভেদেভ। তিনি বলেন, পারমাণবিক শক্তিগুলো কখনো বড় যুদ্ধে হারে না। কারণ, এর ওপর তাদের ভাগ্য নির্ভর করে। মেদভেদেভ ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

কিয়েভকে অস্ত্র দিলে কী হবে জানাল রাশিয়া

আপডেট টাইম : 08:12:08 am, Tuesday, 24 January 2023

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে কিয়েভকে বিধ্বংসী অস্ত্র সরবরাহ করতে নিষেধ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক ঘনিষ্ঠ মিত্র। তিনি বলেছেন, কিয়েভকে বিধ্বংসী অস্ত্র দিলে তা যদি রাশিয়ার জন্য হুমকি বলে মনে হয়, তবে বৈশ্বিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। তিনি গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার না করার পক্ষে যুক্তি দেন।

রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমার স্পিকার ব্যাচেস্লাভ ভোলোদিন সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সমর্থন বিশ্বকে একটি ভয়ানক যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে ভোলোদিন বলেন, ওয়াশিংটন ও ন্যাটোর সরবরাহ করা অস্ত্র যদি তাদের দেওয়া হুমকি অনুযায়ী বেসামরিক শহরগুলোতে আঘাত হানতে এবং নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যবহার করা হয়, তবে আরও শক্তিশালী অস্ত্র দিয়ে এর পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। পারমাণবিক শক্তিধর কোনো দেশ আগে স্থানীয় সংঘাতে গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করেনি, এমন যুক্তি এখানে অকার্যকর। কারণ, এসব দেশ আগে এ ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়েনি, যেখানে তাদের জনগণের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়েছিল।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার সেনাদের হামলার পাল্টা-জবাব দিতে কিয়েভকে কয়েক শ কোটি মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। তবে জার্মানির পক্ষ থেকে তাদের লেপার্ড ট্যাংক কিয়েভকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে রাশিয়ার সেনারা দেশটির এক-পঞ্চমাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। মস্কো বলেছে, এ অঞ্চল আর ফেরত দেবে না তারা। কিয়েভের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শান্তি আলোচনায় বসতে হলে ইউক্রেন থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে।

গত সপ্তাহে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্র মেদভেদেভের কণ্ঠেও ছিল ভোলোদিনের কথার সুর। তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার বাহিনীর পরাজয় হলে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে।

বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সমর্থন নিয়ে আলোচনা করেন মেদভেদেভ। তিনি বলেন, পারমাণবিক শক্তিগুলো কখনো বড় যুদ্ধে হারে না। কারণ, এর ওপর তাদের ভাগ্য নির্ভর করে। মেদভেদেভ ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।