Dhaka , Friday, 22 September 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

১৩ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠিয়েছে জার্মানি

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 02:22:55 pm, Saturday, 28 January 2023
  • 36 বার

প্রবাস ডেস্ক: ২০২২ সালে জার্মানিতে আশ্রয় চাওয়া প্রায় ১৩ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠিয়েছে জার্মান সরকার। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হয় নিজ নিজ দেশে অথবা যে দেশটিতে তারা প্রথম আশ্রয় আবেদন করেছিলেন সেই দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ২০২২ সালে মোট ১২ হাজার নয়শ ৪৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ফেরত পাঠানোর এই সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি বলে জানায় সরকার।

এই মুখপাত্র আরও জানান, ২০২১ সালে মোট ১১ হাজার নয়শ ৮২ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। তবে ২০২০ সালে মোট ২২ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

জার্মানিসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলো অভিবাসনপ্রত্যাশী যাদের আবেদন বাতিল হয়েছে কিংবা আশ্রয় আবেদনের যোগ্য নন অথবা কোনো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাদের দেশে পাঠানোর ব্যাপারে তৎপর।

এদিকে জার্মানির সংসদের বিরোধী দল সিডিইউ বলছে, ফেরত পাঠানোর এই সংখ্যা যে সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন বাতিল হয়েছে সেই তুলনায় খুবই কম।

তবে বামপন্থি দল ডি লিংকে বলছে, দেশে ফেরত পাঠানোর সংখ্যা না বাড়িয়ে এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য কোনো নীতিমালা গ্রহণ করা যেতে পারে যেন তারা জার্মান সমাজে অবদান রাখতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যত গড়তে পারে।

পরিসংখ্যান বলছে, জার্মানিতে মোট তিন লাখ চার হাজার তিনশ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে দেশ ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ ৪৮ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ডাবলিন আইন অনুযায়ী তাদের প্রত্যাবাসনের নির্দেশ সাময়িকভাবে রহিত করেছে।

নানা কারণেই অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠানো যেতে পারে। যেমন কেউ কেউ বহিষ্কারের আদেশ পেয়েছেন কিংবা থাকার অনুমতির মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। তাছাড়া এমনও অনেকে আছেন যারা কখনোই আইন অনুযায়ী জার্মানিতে থাকার অনুমতি পাবেন না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

১৩ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠিয়েছে জার্মানি

আপডেট টাইম : 02:22:55 pm, Saturday, 28 January 2023

প্রবাস ডেস্ক: ২০২২ সালে জার্মানিতে আশ্রয় চাওয়া প্রায় ১৩ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠিয়েছে জার্মান সরকার। এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হয় নিজ নিজ দেশে অথবা যে দেশটিতে তারা প্রথম আশ্রয় আবেদন করেছিলেন সেই দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ২০২২ সালে মোট ১২ হাজার নয়শ ৪৫ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ফেরত পাঠানোর এই সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি বলে জানায় সরকার।

এই মুখপাত্র আরও জানান, ২০২১ সালে মোট ১১ হাজার নয়শ ৮২ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। তবে ২০২০ সালে মোট ২২ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

জার্মানিসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলো অভিবাসনপ্রত্যাশী যাদের আবেদন বাতিল হয়েছে কিংবা আশ্রয় আবেদনের যোগ্য নন অথবা কোনো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাদের দেশে পাঠানোর ব্যাপারে তৎপর।

এদিকে জার্মানির সংসদের বিরোধী দল সিডিইউ বলছে, ফেরত পাঠানোর এই সংখ্যা যে সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন বাতিল হয়েছে সেই তুলনায় খুবই কম।

তবে বামপন্থি দল ডি লিংকে বলছে, দেশে ফেরত পাঠানোর সংখ্যা না বাড়িয়ে এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য কোনো নীতিমালা গ্রহণ করা যেতে পারে যেন তারা জার্মান সমাজে অবদান রাখতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যত গড়তে পারে।

পরিসংখ্যান বলছে, জার্মানিতে মোট তিন লাখ চার হাজার তিনশ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে দেশ ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে দুই লাখ ৪৮ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ডাবলিন আইন অনুযায়ী তাদের প্রত্যাবাসনের নির্দেশ সাময়িকভাবে রহিত করেছে।

নানা কারণেই অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফেরত পাঠানো যেতে পারে। যেমন কেউ কেউ বহিষ্কারের আদেশ পেয়েছেন কিংবা থাকার অনুমতির মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। তাছাড়া এমনও অনেকে আছেন যারা কখনোই আইন অনুযায়ী জার্মানিতে থাকার অনুমতি পাবেন না।