মালয়েশিয়া ডেস্ক: মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটমুক্ত করার সভায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক হট্টগোল হয়েছে। এমনকি সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন উত্তেজিত সদস্যরা। দেয়া হয় হুমকি-ধমকি।
হট্টগোলে হেনস্তা করা হয় সময় টেলিভিশনের সাংবাদিককে। দেখে নেয়ার হুমকি দেন চিহ্নিত কয়েকজন।
রিক্রুটিং এজেন্সির সংগঠন বায়রার আয়োজনে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটমুক্ত করে সব বৈধ এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত করতে মতবিনিময় সভা হট্টগোল দিয়েই শুরু হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে একবার শান্ত হলেও, আবারও দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
এক পর্যায়ে মঞ্চে থাকা টেলিভিশনের মাইক্রোফোন ফেলে দেয় উত্তেজিত কয়েকজন সদস্য। এনিয়ে কথা বললে সময় টেলিভিশনের সাংবাদিককেও হেনস্তা করা হয়। দেখে নেয়ার হুমকি দেন তারা। এর প্রতিবাদ করেন উপস্থিত সাংবাদকর্মীরা।
পরিস্থিতি শান্ত হলে, ভিডিও ফুটেজ দেখে আইনি পদক্ষেপ এবং লাইসেন্স বাতিল করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন বায়রার সভাপতি আব্দুল বাসার।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে যদি আপনারা ভিডিও ফুটেজ দিতে পারেন, আমি কথা দিলাম আমি তার বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। সে যেই থাকুক না কেন, আমি প্রশাসনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। তাদের লাইসেন্স বাতিল করে কিভাবে এ ব্যবসা থেকে বিতারিত করা যায়, সে ব্যবস্থাও নিব।’
এর আগে মতবিনিময় সভায় ১০০ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর বিরোধিতা করে সিন্ডিকেটবিরোধী সদস্যরা বক্তব্য দেন।
সভায় উপস্থিতদের উদ্দেশে তারা বলেন, ‘আপনারা দয়া করে কেউ উত্তেজিত না হয়ে আলোচনার পথ খোলা রাখেন। আমরা আশা করি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আসবে। আপনারা যারা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত আছেন, আপনারা এখানে কথা দেন যে আজকে এই মুহূর্ত থেকে আর সিন্ডিকেট থাকবে না।’
উল্লেখ্য, গত বছরে ২ লাখের বেশি শ্রমিক মালয়শিয়ায় পাঠানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এরইমধ্যে ৭০ হাজার কর্মী মালয়শিয়াতে গেছেন।