Dhaka , Wednesday, 29 November 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 08:20:31 am, Thursday, 9 February 2023
  • 23 বার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে।

ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া তুরস্কের শহরগুলোতে উদ্ধারকারীদের প্রতিনিয়ত মর্মান্তিক দৃশ্যের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বুধবার ধ্বংসস্তুপ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এক নবজাতককে। তবে তার বাবা-মাকে পাওয়া যায়নি। বেঁচে যাওয়া এক বাবাকে ভাঙ্গা হাতে জড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে মৃত কন্যা সন্তানকে।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে তুর্কি শহর কাহরামানমারাসের বাসিন্দা মেসুত হ্যান্সারকে বুধবার ধ্বংসস্তূপের উপর বসেছিলেন। তিনি তার ১৫ বছর বয়সী মেয়ে ইরমাকের হাতটি ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছিলেন। ইরমাকের দেহটি কংক্রিটের স্ল্যাব এবং পেঁচানো রডের মধ্যে মধ্যে প্রাণহীন অবস্থায় পড়েছিল।

কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সোমবারের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কে ৮ হাজার ৫৭৪ জন এবং সিরিয়ায় ২ হাজার ৬৬২ জন মারা গেছে। এর ফলে মোট সংখ্যা ১১ হাজার ২৩৬ জনে পৌঁছেছে। ভূমিকম্পের পর থেকে দুই দিন ও রাত ধরে উদ্ধারকারীরা হিমাঙ্কের তাপমাত্রায় কাজ করছে।

বেঁচে যাওয়া মানুষগুলোকে বুধবারও প্রচণ্ড ঠান্ডায় খোলা আকাশের নিচে থাকতে দেখা গেছে। অনেকে মসজিদ, স্কুল ও বাসস্ট্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। ধ্বংসস্তুপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় দুর্গত এলাকায় ত্রাণও আসতে দেরি হচ্ছে।

কাহরামানমারাসের বাসিন্দা আলি সাগিরোগলু বলেছেন, ‘আমি আমার ভাইকে ধ্বংসাবশেষ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারব না। আমি আমার ভাতিজাকে ফিরিয়ে আনতে পারব না। এদিকে তাকাও। এখানে কোন রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা নেই, ঈশ্বরের দোহাই।’

তিনি বলেন, ‘দুই দিন ধরে আমরা রাষ্ট্রীয় কোনও সহযোগিতা পাইনি, শিশুরা ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে।’

আশেপাশের গাজিয়ানটেপ এলাকাতে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বিস্ফোরণ এড়াতে এলাকাগুলোতে গ্যাসের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে এবং পেট্রোল খুঁজে পাওয়া কঠি। ফলে বেঁচে থাকা মানুষগুলোকে তীব্র শীতের মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে

আপডেট টাইম : 08:20:31 am, Thursday, 9 February 2023

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে।

ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া তুরস্কের শহরগুলোতে উদ্ধারকারীদের প্রতিনিয়ত মর্মান্তিক দৃশ্যের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বুধবার ধ্বংসস্তুপ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে এক নবজাতককে। তবে তার বাবা-মাকে পাওয়া যায়নি। বেঁচে যাওয়া এক বাবাকে ভাঙ্গা হাতে জড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে মৃত কন্যা সন্তানকে।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছে তুর্কি শহর কাহরামানমারাসের বাসিন্দা মেসুত হ্যান্সারকে বুধবার ধ্বংসস্তূপের উপর বসেছিলেন। তিনি তার ১৫ বছর বয়সী মেয়ে ইরমাকের হাতটি ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছিলেন। ইরমাকের দেহটি কংক্রিটের স্ল্যাব এবং পেঁচানো রডের মধ্যে মধ্যে প্রাণহীন অবস্থায় পড়েছিল।

কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সোমবারের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তুরস্কে ৮ হাজার ৫৭৪ জন এবং সিরিয়ায় ২ হাজার ৬৬২ জন মারা গেছে। এর ফলে মোট সংখ্যা ১১ হাজার ২৩৬ জনে পৌঁছেছে। ভূমিকম্পের পর থেকে দুই দিন ও রাত ধরে উদ্ধারকারীরা হিমাঙ্কের তাপমাত্রায় কাজ করছে।

বেঁচে যাওয়া মানুষগুলোকে বুধবারও প্রচণ্ড ঠান্ডায় খোলা আকাশের নিচে থাকতে দেখা গেছে। অনেকে মসজিদ, স্কুল ও বাসস্ট্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। ধ্বংসস্তুপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় দুর্গত এলাকায় ত্রাণও আসতে দেরি হচ্ছে।

কাহরামানমারাসের বাসিন্দা আলি সাগিরোগলু বলেছেন, ‘আমি আমার ভাইকে ধ্বংসাবশেষ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারব না। আমি আমার ভাতিজাকে ফিরিয়ে আনতে পারব না। এদিকে তাকাও। এখানে কোন রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা নেই, ঈশ্বরের দোহাই।’

তিনি বলেন, ‘দুই দিন ধরে আমরা রাষ্ট্রীয় কোনও সহযোগিতা পাইনি, শিশুরা ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে।’

আশেপাশের গাজিয়ানটেপ এলাকাতে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বিস্ফোরণ এড়াতে এলাকাগুলোতে গ্যাসের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে এবং পেট্রোল খুঁজে পাওয়া কঠি। ফলে বেঁচে থাকা মানুষগুলোকে তীব্র শীতের মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।