নিউজ ডেস্ক: রাজধানী রোম থেকে তুষার ভ্রমণ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য দেখতে এদিন জড়ো হন দেশটির মনতে আমিয়াতা সিয়েনায়।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) মেঘদূতের ১১তম আয়োজনে স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ছেড়ে যায় দুটি বাস। বাসের মধ্যে গান বাজনায় সবাই হৈ-হুল্লোড় করে বিনোদনে মেতে উঠেন। বাস চলার পথিমধ্যে একটি অটো গ্রিলে সকালের নাস্তা সম্পন্ন করা হয়।
পরে আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টায় আবার গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা করলে প্রায় দুপুর ১টায় গন্তব্যে পৌঁছায়। দিনব্যাপী প্রাকৃতিক বরফের সৌন্দর্য উপভোগ করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বেশ আনন্দের উল্লাসে মেতে উঠেন। এ যেন বিদেশের মাটিতে একখণ্ড স্বদেশ ভূমি।
শুভ্র তুষারে চারদিকে ধবধবে সাদা দেখা গেছে, তুষারের ওপর পথচলা বাড়তি আনন্দ যোগায় উপস্থিতিদের। মাইনাস ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে প্রকৃতির সৌন্দর্য তুষার দেখতে মেঘদূতের আয়োজনে রোম ও এর আশপাশের এলাকা থেকে ছুটে আসেন বিভিন্ন বয়সের নর-নারী।
জানা গেছে, দুটি বাসে একশ বিশ জনের মতো ভ্রমণ-পিয়াসুযাত্রী ছিলেন। আনন্দঘন যাত্রার আয়োজক মেঘদূতের কর্ণধার ও শতরূপা মানবিক ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা মোজাম্মেল হোসেন মোল্লা বলেন, সিয়েনা চমৎকার একটি এলাকা বিশেষ করে তুষারের আবরণে গাছপালা সবই সাদা দেখা যায়। রোম থেকে আমরা যারা এসেছি সত্যি খুব আনন্দ উপভোগ করছি। প্রকৃতির বিরল দৃষ্টান্ত একে আছে শুভ্র সাদায়।
তিনি বলেন, মনতে আমিয়াতা সিয়েনা কেউ আসলে ক্রস না দেখতে না গেলে মন ভোলানো প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য অবিশিষ্ট থেকে যাবে। দুই ইউরোর বিনিময়ে ক্যাবল কারের মাধ্যমে সেখানে যেতে হয়। যার উচ্চতা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫০০ মিটার। সেখান থেকে প্রকৃতিকে খুব কাছ হতে দেখা যায়। ক্লান্তির পর স্বস্তি চলে আসে।
ওই এলাকায় সাত বছর ধরে বসবাস করা শেখ মাসুম বলেন, এখানে আসলে সবার মন ভালো হয়ে যায়। রাতভর তুষার পড়ে চারদিক ধবধবে সাদা হয়ে যায়। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য দেখতে শতশত পর্যটন আসেন সিয়েনায়। এখানে আসলে প্রকৃতির রূপ সৌন্দর্য মন ভালো করে দেয়। পরে লটারির ড্র করা হয়। এর মধ্যে কয়েকজন প্রবাসী পুরস্কার জিতে নেন।