Dhaka , Friday, 22 September 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

বিমানবন্দর থেকে ১৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 04:08:31 pm, Saturday, 18 February 2023
  • 15 বার

মালয়েশিয়া ডেস্ক: বিমানবন্দর থেকে ১৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন। মালয়েশিয়ায় কোম্পানি রিসিভ করতে না আসায় দুইদিন বিমানবন্দরে রেখে ১৭ ফেব্রুয়ারি এয়ার এশিয়ার সাড়ে ৬টার ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর থেকে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজ’ ঢাকা থেকে এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে মালয়েশিয়ার এভারলেনটেন এসডিএন বিএইচডি কোম্পানির ২৯ জন বাংলাদেশি কর্মী পাঠায়। কোম্পানি ২৯ জনের মধ্যে ১০ জনকে রিসিভ করলেও বাকি ১৯ জনকে রিসিভ না করেই ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন।

রিক্রটিং এজেন্সি গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজ (আরএলনং-৪০) প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মালয়েশিয়ান কোম্পানি এভারলেনটেন এসডিএন, বিএইচডিতে আমরা বৃহস্পতিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২৯ জন কর্মী পাঠায়। এ সময় কোম্পানি থেকে রিসিভ করতে গেলে মালয়েশিয়ান এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন বিভাগ ১০ জন কর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দিলেও বাকি ১৯ জনের ইমিগেশন ডাটা সঠিক না থাকায় তাদের ফেরত পাঠায়।

মামুন জানান, এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এর আগে এই কোম্পানিতে ৪০ জন কর্মী পাঠিয়েছি। এটা ছিলো আমাদের দ্বিতীয় ফ্লাইট। তবে আমরা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি তারা জানিয়েছেন, ১৯ জনের তথ্য সার্ভারে পাওয়া গেছে, সেক্ষেত্রে কর্মীরা আবার মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন।

যেসব কর্মীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে পুনরায় পাঠাতে যে খরচ হয় তা আমাদের কোম্পানি বহন করবে সেক্ষেত্রে কর্মীদের কোনো অর্থ দিতে হবে না বলেও জানিয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার মিনিস্টার নাজমুছ সাদাত সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে বাংলাদেশ থেকে ও মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন থেকে আমাদের কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে তাদের কেন ফেরত পাঠানো হয়েছে তা খোঁজ নেওয়া হবে।

এদিকে ১৯ জন কর্মী দেশে ফেরত যাওয়ার বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে মালয়েশিয়ায় থাকা প্রবাসীরা বলছেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার। এ বাজারটি অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে সাধারণ কর্মীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে দুই দেশের সংশ্লিষ্টদের তদারকি বাড়াতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

বিমানবন্দর থেকে ১৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া

আপডেট টাইম : 04:08:31 pm, Saturday, 18 February 2023

মালয়েশিয়া ডেস্ক: বিমানবন্দর থেকে ১৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন। মালয়েশিয়ায় কোম্পানি রিসিভ করতে না আসায় দুইদিন বিমানবন্দরে রেখে ১৭ ফেব্রুয়ারি এয়ার এশিয়ার সাড়ে ৬টার ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর থেকে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।

জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজ’ ঢাকা থেকে এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে মালয়েশিয়ার এভারলেনটেন এসডিএন বিএইচডি কোম্পানির ২৯ জন বাংলাদেশি কর্মী পাঠায়। কোম্পানি ২৯ জনের মধ্যে ১০ জনকে রিসিভ করলেও বাকি ১৯ জনকে রিসিভ না করেই ফেরত পাঠিয়েছে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন।

রিক্রটিং এজেন্সি গ্রিনল্যান্ড ওভারসিজ (আরএলনং-৪০) প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মালয়েশিয়ান কোম্পানি এভারলেনটেন এসডিএন, বিএইচডিতে আমরা বৃহস্পতিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২৯ জন কর্মী পাঠায়। এ সময় কোম্পানি থেকে রিসিভ করতে গেলে মালয়েশিয়ান এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন বিভাগ ১০ জন কর্মীকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দিলেও বাকি ১৯ জনের ইমিগেশন ডাটা সঠিক না থাকায় তাদের ফেরত পাঠায়।

মামুন জানান, এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এর আগে এই কোম্পানিতে ৪০ জন কর্মী পাঠিয়েছি। এটা ছিলো আমাদের দ্বিতীয় ফ্লাইট। তবে আমরা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি তারা জানিয়েছেন, ১৯ জনের তথ্য সার্ভারে পাওয়া গেছে, সেক্ষেত্রে কর্মীরা আবার মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন।

যেসব কর্মীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে পুনরায় পাঠাতে যে খরচ হয় তা আমাদের কোম্পানি বহন করবে সেক্ষেত্রে কর্মীদের কোনো অর্থ দিতে হবে না বলেও জানিয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার মিনিস্টার নাজমুছ সাদাত সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে বাংলাদেশ থেকে ও মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন থেকে আমাদের কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে তাদের কেন ফেরত পাঠানো হয়েছে তা খোঁজ নেওয়া হবে।

এদিকে ১৯ জন কর্মী দেশে ফেরত যাওয়ার বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে মালয়েশিয়ায় থাকা প্রবাসীরা বলছেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার। এ বাজারটি অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে সাধারণ কর্মীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে দুই দেশের সংশ্লিষ্টদের তদারকি বাড়াতে হবে।