মালয়েশিয়া ডেস্ক: মালয়েশিয়ার একটি আদালতে কাজী মনির (৩৫) নামে একজন প্রবাসী বাংলাদেশিকে বাংলাদেশ দূতাবাসের পাসপোর্ট নবায়নের নথি জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পেনাংয়ের একটি আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট হারিথ মোহাম্মদ মাযলানের সামনে পাসপোর্ট নবায়নের নথি জালিয়াতির অভিযোগগুলো আসামি কাজী মনিরকে পড়ে শোনানো হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৬ বছর ধরে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাসপোর্ট নবায়নের আবেদনের জন্য কাজী মনির (৩৫) মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের অফিসিয়াল রিসিপ্ট এবং মাইজি কোম্পানীর পুলিশ রিপোর্ট, রসিদ ও ট্যাক্স চালান জাল করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পেনাং রাজ্যের বুকিত মারতাজামের তামান উসাহানিয়াগার একটি বাড়িতে বসে তিনি এ অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে, যেখানে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের বেশি জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কাজী মনির ১৬ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন। তিনি প্রথমে ক্লিনার হিসাবে কাজ শুরু করেন এরপর স্থানীয় একটি মানি চেঞ্জারে কাজ শুরু করেন।
এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী ভি পুষ্পা আদালতে অপরাধের বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন। বাংলাদেশে থাকা তার বাবা-মা উভয়কে দেখভালের পাশাপাশি অভিযুক্তের স্ত্রী বাংলাদেশে সদ্য প্রথম সন্তান জন্ম দিয়েছেন এবং আরও বেশ কয়েকটি কারণে জামিনের আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী।
এর আগে, নথি জালিয়াতির অপরাধকে গুরুতর বলে বর্ণনা করে নর শাকিলা আদালতে আসামিকে জামিন না দেয়ার আবেদন করেছিলেন মামলা পরিচালনাকারী ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর নর শাকিলা দাহারী।
উভয়পক্ষের যুক্তি খতিয়ে দেখে বিচারক হারিথ মোহাম্মদ মাযলান অভিযুক্তকে ২ স্থানীয় নাগরিকের জিম্মায় ১০ হাজার রিঙ্গিত এ জামিন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একইসঙ্গে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে তার পাসপোর্ট আদালতে হস্তান্তর এবং প্রতি ২ সপ্তাহে তার বাসার নিকটস্থ থানায় রিপোর্ট করার নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট নথিপত্র জমা দেয়ার জন্য আগামী ২২ মার্চ পরবর্তি শুনানির দিন ধার্য করা হয়।