Dhaka , Wednesday, 7 June 2023

নিউইয়র্কে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 08:02:43 am, Tuesday, 28 February 2023
  • 19 বার

প্রবাস ডেস্ক: ৬১ রকমের পিঠার সমাহার ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলো ‘ফাগুন ও পিঠা উৎসব’। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রবাসীরা জড়ো হয়েছিলেন কুইন্স প্যালেসে ‘শো-টাইম মিউজিক’র বর্ণাঢ্য এ উৎসবে।

বিপুল করতালির মধ্য দিয়ে ফিতা কেটে বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন যৌথভাবে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর আবু বকর হানিফ এবং ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার এ্যাট লার্জ এটর্নী মঈন চৌধুরী। এসময় হোস্ট সংগঠনের কর্ণধার আলমগীর খান আলমসহ সহযোগিতাকারিরাও সেখানে ছিলেন।

এই উৎসবের অতিথি খ্যাতনামা এটর্নী ও ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতা মঈন চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতি সুদূর এই প্রবাসে সমুন্নত রাখতে শো-টাইম মিউজিকের মত যারা নিরন্তরভাবে সচেষ্ট রয়েছেন আমি সবসময় তাদের সাথে রয়েছি। এক্ষেত্রে আমি বাংলা ভাষার মিডিয়াগুলোরও অকৃপণ পৃষ্ঠপোষকতার কথা পরম আনন্দে স্মরণ করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, কুইন্স কাউন্টিতে ১৯০টি দেশের ৩৬৫টিরও অধিক ভাষার মানুষ বাস করছে। অর্থাৎ বর্ণাঢ্য সংস্কৃতির তীর্থ ভূমি হচ্ছে আমাদের এই কুইন্স। এমন একটি বহুজাতিক সমাজে বাঙালিদের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে শো-টাইম মিউজিকের সকল কর্মকাণ্ডে আমার সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

পিঠা উৎসবের অন্যতম অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রথম ইউনিভার্সিটি ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি’র চ্যান্সেলর আবু বকর হানিফ বলেন, এ উৎসব বাঙালি সংস্কৃতির ধারা ভিন্ন ভাষার মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে সক্ষম বলে মনে করছি।

তিনি উল্লেখ করেন, শো-টাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলম নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে আমাদের বাংলা সংস্কৃতি, মূল্যবোধকে আমেরিকার মূলধারায় বিকাশ ঘটাতে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। এজন্যে সকলেরই উচিত তাকে সহায়তা দিয়ে যাওয়া। সোনিয়ার সঞ্চালনায় এ আয়োজনে স্বাগত বক্তব্যে সর্বস্তরের প্রবাসীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান আলমগীর খান আলম।

উৎসবে বিকেল থেকে মধ্যরাত অবধি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা এতে অংশ নেন। ছিল শাড়ি-কাপড়ের স্টলও। অর্থাৎ পিঠার আমেজে গৃহিনীরা কেনাকাটাও করেছেন ভিন্ন এক আমেজে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

নিউইয়র্কে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : 08:02:43 am, Tuesday, 28 February 2023

প্রবাস ডেস্ক: ৬১ রকমের পিঠার সমাহার ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলো ‘ফাগুন ও পিঠা উৎসব’। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রবাসীরা জড়ো হয়েছিলেন কুইন্স প্যালেসে ‘শো-টাইম মিউজিক’র বর্ণাঢ্য এ উৎসবে।

বিপুল করতালির মধ্য দিয়ে ফিতা কেটে বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন যৌথভাবে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর আবু বকর হানিফ এবং ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার এ্যাট লার্জ এটর্নী মঈন চৌধুরী। এসময় হোস্ট সংগঠনের কর্ণধার আলমগীর খান আলমসহ সহযোগিতাকারিরাও সেখানে ছিলেন।

এই উৎসবের অতিথি খ্যাতনামা এটর্নী ও ডেমক্র্যাটিক পার্টির নেতা মঈন চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতি সুদূর এই প্রবাসে সমুন্নত রাখতে শো-টাইম মিউজিকের মত যারা নিরন্তরভাবে সচেষ্ট রয়েছেন আমি সবসময় তাদের সাথে রয়েছি। এক্ষেত্রে আমি বাংলা ভাষার মিডিয়াগুলোরও অকৃপণ পৃষ্ঠপোষকতার কথা পরম আনন্দে স্মরণ করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, কুইন্স কাউন্টিতে ১৯০টি দেশের ৩৬৫টিরও অধিক ভাষার মানুষ বাস করছে। অর্থাৎ বর্ণাঢ্য সংস্কৃতির তীর্থ ভূমি হচ্ছে আমাদের এই কুইন্স। এমন একটি বহুজাতিক সমাজে বাঙালিদের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে শো-টাইম মিউজিকের সকল কর্মকাণ্ডে আমার সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

পিঠা উৎসবের অন্যতম অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রথম ইউনিভার্সিটি ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি’র চ্যান্সেলর আবু বকর হানিফ বলেন, এ উৎসব বাঙালি সংস্কৃতির ধারা ভিন্ন ভাষার মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে সক্ষম বলে মনে করছি।

তিনি উল্লেখ করেন, শো-টাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলম নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে আমাদের বাংলা সংস্কৃতি, মূল্যবোধকে আমেরিকার মূলধারায় বিকাশ ঘটাতে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। এজন্যে সকলেরই উচিত তাকে সহায়তা দিয়ে যাওয়া। সোনিয়ার সঞ্চালনায় এ আয়োজনে স্বাগত বক্তব্যে সর্বস্তরের প্রবাসীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান আলমগীর খান আলম।

উৎসবে বিকেল থেকে মধ্যরাত অবধি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা এতে অংশ নেন। ছিল শাড়ি-কাপড়ের স্টলও। অর্থাৎ পিঠার আমেজে গৃহিনীরা কেনাকাটাও করেছেন ভিন্ন এক আমেজে।