মালয়েশিয়া ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিল (ওয়ানএমডিবি) অডিট দুর্নীতি মামলায় খালাস পেয়েছেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। তবে এ মামলায় খালাস পেলেও এখনই কারামুক্ত হতে পারছেন না তিনি। কারণ, ওয়ানএমডিবি সংক্রান্ত আরেকটি মামলায় তার ১২ বছর কারাদণ্ডাদেশ রয়েছে।
ওয়ানএমডিবি অডিট দুর্নীতি মামলায় পর্যাপ্ত প্রমাণ না পাওয়ায় মালয়েশিয়ার সর্বোচ্চ আদালত নাজিব রাজাককে খালাস দিয়েছেন।
মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট বলেছেন, কৌঁসুলিরা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন যে, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা নাজিব ওয়ানএমডিবির একটি অফিশিয়াল অডিট রিপোর্টে হস্তক্ষেপ করেছিলেন।
বিচারপতি মোহাম্মদ জাইনি মাজলান তার রায়ে বলেন, ‘প্রথম অভিযুক্তকে (আরুল কান্দা) অভিযোগ থেকে মুক্তি এবং খালাস দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় অভিযুক্ত (নাজিব রাজাক) তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ থেকে মুক্তি ও খালাস পেয়েছেন।’
তবে ওয়ানএমডিবির অন্য আরেকটি মামলায় মালয়েশিয়ার শীর্ষ আদালতও বহাল রেখেছেন নাজিব রাজাকের ১২ বছরের কারাদণ্ড। রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিল (ওয়ানএমডিবি) আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় ২৩ আগস্ট তার শাস্তি বহাল রেখে রায় দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
পাঁচ সদস্যের বিচারক প্যানেলের পক্ষে বহুল আলোচিত মামলাটির রায় দেন প্রধান বিচারপতি মাইমুন তুয়ান মাত। রায়ে তিনি বলেন, ‘মামলায় আপিল আবেদনের কোনো ভিত্তি নেই। মামলার আগের রায় ও দণ্ড সঠিক।’
বিচারপতি আরও বলেন, ‘আগের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে আমাদের সর্বসম্মত মত হচ্ছে, বিচার প্রক্রিয়ায় প্রমাণ সাপেক্ষে সাতটি অভিযোগের সব কটিই আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।’
চলতি সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় নাজিব রাজাকের দাবির পক্ষে নতুন করে তথ্য-উপাত্ত হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত। এরপরই চূড়ান্ত রায় দিলেন দেশটির শীর্ষ আদালত। এ রায়ের মাধ্যমে এই মামলার আপিলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হলো। এখন শিগগিরই কয়েদি হতে হবে নাজিব রাজাককে।
এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে নাজিবের বিরুদ্ধে আনা সাত অভিযোগের প্রতিটিতেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ২১ কোটি রিঙ্গিত জরিমানা করেন।