প্রবাস ডেস্ক: কানাডার টরন্টোয় সড়ক দুর্ঘটনায় কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড়ের লাইসেন্স বৈধ ছিল।পুলিশের দেওয়া এক প্রতিবেদনে ‘প্রপার লাইসেন্স টু ড্রাইভ ক্লাশ অব ভিহিকলে’ উল্লেখ করা হয়েছে ‘ইয়েস’। সাসপেনডেন্ট ড্রাইভারের উত্তরে লেখা আছে ‘নো’। প্রতিবেদন অনুসারে নিবিড় কুমার দে বৈধ লাইসেন্স নিয়েই গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিবিড় কুমার যে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন সেটি হচ্ছে ‘2017 BMW M3S’ দুর্ঘটনার পর প্রভিন্সিয়াল পুলিশের কলিশন প্রতিবেদনে গাড়ির বিবরণ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, গাড়িটি ১০০+ কি.মি/ঘণ্টা গতিতে চলছিল। মোট ৪ জন যাত্রী ছিলেন যাদের তিনজন মারা গেছেন।
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার দে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। টরোন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। কুমার বিশ্বজিৎ দম্পতি বর্তমানে টরোন্টোতে অবস্থান করছেন।
কানাডার ‘নতুন দেশ’ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর জানান, দুর্ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন জন নানা ধরনের কথা বলছে যা প্রমাণিত কোনো সত্য তথ্য নয়। ‘আন ফাউন্ডেড কোনো তথ্য’ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে নিজেদের অসংবেদনশীলতাকে নগ্ন না করার আহ্বান ও জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে নিবিড়ের চাচা অভিজিৎ দে ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল পুলিশ তাদের কলিশন প্রতিবেদনের কপি দিয়েছে। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা মার্ক বলেছেন, এটি একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা, দুর্ঘটনায় তারা মাদক বা ড্রাগের কোনো সম্পৃক্ততা পাননি। পুলিশ আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন বলেও অভিজিৎ দে জানিয়েছেন।
কানাডার স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় টরেন্টোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। এতে আহত হন কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার। টরন্টোর হাইওয়ে ৪২৭-এর দুনদাস স্ট্রিট ওয়েস্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় গাড়িটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। সড়ক বিভাজকে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি উল্টে আগুন ধরে যায় বলে দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এরই মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শাহরিয়ার খান ও আরিয়ান দীপ্তর মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।