Dhaka , Saturday, 20 April 2024

সত্যিই কি ওপেক থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে আরব আমিরাত?

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 10:01:48 am, Saturday, 4 March 2023
  • 37 বার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা চলছে। নিষেধাজ্ঞা পাল্টা নিষেধাজ্ঞার জেরে এই খাতে সংকট দেখা দিয়েছে বেশ কিছু দিন ধরেই। কিছু দিন আগে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট (ওপেক) এর সিদ্ধান্ত নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও।

কেননা, মূল্য কম পাওয়ায় তেলের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছিল সংস্থাটি। আমেরিকার অভিযোগ ছিল, রাশিয়াকে সহযোগিতা করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেক। যদিও ওপেক সেই অভিযোগ প্রত্যাখান করেছিল। এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারের অস্থিরতা চলছেই।

এর মাঝেই গুঞ্জন উঠেছে- ওপেক থেকে বেরিয়ে যেতে পারে সংস্থাটির অন্যতম সদস্য আরব সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইতোমধ্যে এ নিয়ে দেশটির অভ্যন্তরে নাকি বিতর্কও শুরু হয়ে গেছে।

সদ্য বিষয়টি সামনে এনেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এ খবরের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি পণ্যের দাম কমেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, শুক্রবার আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৭১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের দর স্থির হয়েছে ৮৪ ডলার ০৪ সেন্টে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) সরবরাহ মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে ৫৭ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। টনপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৭৭ ডলার ৫৯ সেন্টে।

সবমিলিয়ে এদিন উভয় বেঞ্চমার্কের দরপতন ঘটেছে ২ ডলারেরও বেশি।

কিন্তু বিষয়টির সঙ্গে সরাসরি জড়িত এক সূত্র বলেন, ওপেক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই রিপোর্ট সত্য থেকে অনেক দূরে।

কিছুদিন আগে শক্তিশালী অর্থনীতির তথ্য প্রকাশ করে চীন। তাতে দেশটিতে তেলের চাহিদা বৃদ্ধির আভাস পাওয়া যায়। ফলে জ্বালানি পণ্যটির দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়। অবশেষে তাতে ছেদ পড়ল।

ইউবিএসের বিশ্লেষক জিওভান্নি স্তাউনোভো বলেন, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবর চালক হিসেবে কাজ করবে। তেল উৎপাদনকারী দেশ এবং তাদের মিত্রদের জোটের (ওপেক প্লাস) উত্তোলন (হ্রাস) চুক্তিতে যা অবশ্যই প্রভাব ফেলবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

সত্যিই কি ওপেক থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে আরব আমিরাত?

আপডেট টাইম : 10:01:48 am, Saturday, 4 March 2023

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা চলছে। নিষেধাজ্ঞা পাল্টা নিষেধাজ্ঞার জেরে এই খাতে সংকট দেখা দিয়েছে বেশ কিছু দিন ধরেই। কিছু দিন আগে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট (ওপেক) এর সিদ্ধান্ত নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও।

কেননা, মূল্য কম পাওয়ায় তেলের উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছিল সংস্থাটি। আমেরিকার অভিযোগ ছিল, রাশিয়াকে সহযোগিতা করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওপেক। যদিও ওপেক সেই অভিযোগ প্রত্যাখান করেছিল। এরপর থেকে বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারের অস্থিরতা চলছেই।

এর মাঝেই গুঞ্জন উঠেছে- ওপেক থেকে বেরিয়ে যেতে পারে সংস্থাটির অন্যতম সদস্য আরব সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইতোমধ্যে এ নিয়ে দেশটির অভ্যন্তরে নাকি বিতর্কও শুরু হয়ে গেছে।

সদ্য বিষয়টি সামনে এনেছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসাভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এ খবরের পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি পণ্যের দাম কমেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, শুক্রবার আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ব্রেন্টের মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৭১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। প্রতি ব্যারেলের দর স্থির হয়েছে ৮৪ ডলার ০৪ সেন্টে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) সরবরাহ মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে ৫৭ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ। টনপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ৭৭ ডলার ৫৯ সেন্টে।

সবমিলিয়ে এদিন উভয় বেঞ্চমার্কের দরপতন ঘটেছে ২ ডলারেরও বেশি।

কিন্তু বিষয়টির সঙ্গে সরাসরি জড়িত এক সূত্র বলেন, ওপেক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই রিপোর্ট সত্য থেকে অনেক দূরে।

কিছুদিন আগে শক্তিশালী অর্থনীতির তথ্য প্রকাশ করে চীন। তাতে দেশটিতে তেলের চাহিদা বৃদ্ধির আভাস পাওয়া যায়। ফলে জ্বালানি পণ্যটির দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়। অবশেষে তাতে ছেদ পড়ল।

ইউবিএসের বিশ্লেষক জিওভান্নি স্তাউনোভো বলেন, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবর চালক হিসেবে কাজ করবে। তেল উৎপাদনকারী দেশ এবং তাদের মিত্রদের জোটের (ওপেক প্লাস) উত্তোলন (হ্রাস) চুক্তিতে যা অবশ্যই প্রভাব ফেলবে।