Dhaka , Wednesday, 7 June 2023

প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় গ্রেপ্তার ২

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 08:39:30 pm, Sunday, 5 March 2023
  • 19 বার

প্রবাস ডেস্ক: মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, গত শুক্রবার রাতে ওই গৃহবধূ নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। সকালে তার বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিবচর থানায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে পুলিশ তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করে একই এলাকার নুরু কাজীর ছেলে আতিয়ার কাজীকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, আতিয়ার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যমতে, তোতা মোল্লার ছেলে শহীদকে গ্রেপ্তার করা হয়ে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও একজন জড়িত আছেন বলে জানিয়েছেন তারা।’

মাসুদ আলম বলেন, ‘আতিয়ারের সঙ্গে ওই গৃহবধূর পরকীয় সম্পর্ক ছিল। প্রায়ই আতিয়ারের কাছ থেকে টাকা নিতেন তিনি। একপর্যায়ে আতিয়ারের স্ত্রী বিষয়টি জেনে গেলে তাদের সংসারে কলহের সৃষ্টি হয়। এ কারণে আতিয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে ওই গৃহবধূকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে ওই গৃহবধূকে প্রথমে ধর্ষণ করেন আতিয়ার। পরে পালাক্রমে আরও দুজন ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে তিনজনে মিলে ওই গৃহবধূকে হত্যা করে পালিয়ে যান।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় গ্রেপ্তার ২

আপডেট টাইম : 08:39:30 pm, Sunday, 5 March 2023

প্রবাস ডেস্ক: মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, গত শুক্রবার রাতে ওই গৃহবধূ নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। সকালে তার বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিবচর থানায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে পুলিশ তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করে একই এলাকার নুরু কাজীর ছেলে আতিয়ার কাজীকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, আতিয়ার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যমতে, তোতা মোল্লার ছেলে শহীদকে গ্রেপ্তার করা হয়ে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও একজন জড়িত আছেন বলে জানিয়েছেন তারা।’

মাসুদ আলম বলেন, ‘আতিয়ারের সঙ্গে ওই গৃহবধূর পরকীয় সম্পর্ক ছিল। প্রায়ই আতিয়ারের কাছ থেকে টাকা নিতেন তিনি। একপর্যায়ে আতিয়ারের স্ত্রী বিষয়টি জেনে গেলে তাদের সংসারে কলহের সৃষ্টি হয়। এ কারণে আতিয়ার ক্ষুব্ধ হয়ে ওই গৃহবধূকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে ওই গৃহবধূকে প্রথমে ধর্ষণ করেন আতিয়ার। পরে পালাক্রমে আরও দুজন ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি জানিয়ে দেওয়ার হুমকি দিলে তিনজনে মিলে ওই গৃহবধূকে হত্যা করে পালিয়ে যান।’