Dhaka , Friday, 22 September 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

কানাডায় ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে আলোচনা সভা

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 02:22:23 pm, Tuesday, 7 March 2023
  • 28 বার

প্রবাস ডেস্ক: কানাডার ক্যালগেরির বাংলাদেশ সেন্টারে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ: বাঙালির মুক্তি সনদ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলবার্টার প্রথম বাংলা অনলাইন পোর্টাল ‘প্রবাস বাংলা ভয়েস’ এর আয়োজনে প্রধান সম্পাদক আহসান রাজীব বুলবুলের সঞ্চালনায় আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সভাপতি কয়েস চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আবদুল্লা রফিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এখন শুধু বাঙালির নয়, সারাবিশ্বের তথা মানব সভ্যতার অহংকার। এ ভাষণ কালোত্তীর্ণ বিশ্ব ক্ল্যাসিক, যা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ করে নিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

বক্তারা আরও বলেন, ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের পরই সারাবিশ্বে প্রবাসীরা জেগে ওঠে। ঐতিহাসিক ওই ভাষণে দিকনির্দেশনা পেয়েই পরোক্ষভাবে প্রবাসীরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

আলোচনায় অংশ নেন রুপক দত্ত, রাসেল রুপক, উম্মে তানিয়া, মৌ ইসলাম, তানভীর আহমেদ জয় এবং মোশারেফ হোসেন মাসুদ।

প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সভাপতি কয়েস চৌধুরী বলেন, ৫২ বছর আগের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে গর্জে উঠেছিল উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী স্লোগানে উত্তাল বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পতপত করে উড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। সেদিন শপথের লক্ষ বজ্রমুষ্ঠি উত্থিত হয় আকাশে। বঙ্গবন্ধু সেদিন শুধু স্বাধীনতার চূড়ান্ত আহ্বানটি দিয়েই চুপ থাকেননি, স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখাও দিয়েছিলেন। মূলত বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণেই ছিল ৯ মাসব্যাপী বাংলার মুক্তি সংগ্রামের ঘোষণা ও মূলভিত্তি।

বিশেষ অতিথি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ রফিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তিমূল, উজ্জ্বল ও প্রেরণাভূমি। ঐতিহাসিক সেই ভাষণ আজও বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার অনির্বাণ শিখা হয়ে অফুরন্ত শক্তি ও সাহস জুগিয়ে আসছে।

কলামিস্ট, উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তি সংগ্রামে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করে যারা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণই ছিল মুক্তিকামী জনতার প্রেরণার উৎস স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা।

সিলেট অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সভাপতি রূপক দত্ত বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণটির আবেদন এখনো কমেনি। ৫২ বছর ধরে একই আবেদন নিয়ে টানা কোনো ভাষণ এভাবে শ্রবণের নজির বিশ্বের ইতিহাসে নেই। ঐতিহাসিক ওই ভাষণের পরেই জাতি সেদিন উদ্বুদ্ধ হয়েছিল, স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

আথাবাচকা ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি রাসেল রূপক বলেন, ঐতিহাসিক ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন। ওই ভাষণই ছিল দেশপ্রেমের আদর্শে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে ওঠার।

বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সাংস্কৃতিক সম্পাদক উম্মে তানিয়া বলেন, বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এমন একটি ভাষণ, যা যুগের পর যুগ, বছরের পর বছর, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বেজে চলেছে। যা মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণার হাতিয়ার ছিল।

নৃত্যশিল্পী ও নাট্যকমী মৌ ইসলাম বলেন, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ থেকে পরবর্তী প্রজন্ম বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমি জানার সুযোগ পেয়েছে। তাই তো ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছে।

কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব তানভীর আহমেদ জয় বলেন, দূর প্রবাসে বসে আজও আমরা দেশের কথা ভাবছি। মুক্তিযুদ্ধে যারা সরাসরি ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, প্রত্যেকের প্রতি আমার সশ্রদ্ধ সালাম ও কৃতজ্ঞতা।

বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির পরিকল্পনা সম্পাদক মোশারেফ হোসেন মাসুদ বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়েও আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস’র প্রধান সম্পাদক আহসান রাজীব বুলবুল বলেন, দলমত নির্বিশেষে আমরা সবাই একবাক্যে স্বীকার করব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক সেদিনের ওই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ছিল মুক্তির ভাষণ, পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে দেশকে স্বাধীন করার ভাষণ। মূলত এই ভাষণের পরপরই সারা বিশ্বের প্রবাসীরা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

কানাডায় ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে আলোচনা সভা

আপডেট টাইম : 02:22:23 pm, Tuesday, 7 March 2023

প্রবাস ডেস্ক: কানাডার ক্যালগেরির বাংলাদেশ সেন্টারে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ: বাঙালির মুক্তি সনদ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলবার্টার প্রথম বাংলা অনলাইন পোর্টাল ‘প্রবাস বাংলা ভয়েস’ এর আয়োজনে প্রধান সম্পাদক আহসান রাজীব বুলবুলের সঞ্চালনায় আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সভাপতি কয়েস চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আবদুল্লা রফিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এখন শুধু বাঙালির নয়, সারাবিশ্বের তথা মানব সভ্যতার অহংকার। এ ভাষণ কালোত্তীর্ণ বিশ্ব ক্ল্যাসিক, যা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ করে নিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

বক্তারা আরও বলেন, ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের পরই সারাবিশ্বে প্রবাসীরা জেগে ওঠে। ঐতিহাসিক ওই ভাষণে দিকনির্দেশনা পেয়েই পরোক্ষভাবে প্রবাসীরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

আলোচনায় অংশ নেন রুপক দত্ত, রাসেল রুপক, উম্মে তানিয়া, মৌ ইসলাম, তানভীর আহমেদ জয় এবং মোশারেফ হোসেন মাসুদ।

প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সভাপতি কয়েস চৌধুরী বলেন, ৫২ বছর আগের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে গর্জে উঠেছিল উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী স্লোগানে উত্তাল বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পতপত করে উড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা। সেদিন শপথের লক্ষ বজ্রমুষ্ঠি উত্থিত হয় আকাশে। বঙ্গবন্ধু সেদিন শুধু স্বাধীনতার চূড়ান্ত আহ্বানটি দিয়েই চুপ থাকেননি, স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখাও দিয়েছিলেন। মূলত বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণেই ছিল ৯ মাসব্যাপী বাংলার মুক্তি সংগ্রামের ঘোষণা ও মূলভিত্তি।

বিশেষ অতিথি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ রফিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তিমূল, উজ্জ্বল ও প্রেরণাভূমি। ঐতিহাসিক সেই ভাষণ আজও বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার অনির্বাণ শিখা হয়ে অফুরন্ত শক্তি ও সাহস জুগিয়ে আসছে।

কলামিস্ট, উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তি সংগ্রামে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করে যারা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণই ছিল মুক্তিকামী জনতার প্রেরণার উৎস স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা।

সিলেট অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সভাপতি রূপক দত্ত বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণটির আবেদন এখনো কমেনি। ৫২ বছর ধরে একই আবেদন নিয়ে টানা কোনো ভাষণ এভাবে শ্রবণের নজির বিশ্বের ইতিহাসে নেই। ঐতিহাসিক ওই ভাষণের পরেই জাতি সেদিন উদ্বুদ্ধ হয়েছিল, স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

আথাবাচকা ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি রাসেল রূপক বলেন, ঐতিহাসিক ওই ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন। ওই ভাষণই ছিল দেশপ্রেমের আদর্শে আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে ওঠার।

বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সাংস্কৃতিক সম্পাদক উম্মে তানিয়া বলেন, বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এমন একটি ভাষণ, যা যুগের পর যুগ, বছরের পর বছর, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বেজে চলেছে। যা মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণার হাতিয়ার ছিল।

নৃত্যশিল্পী ও নাট্যকমী মৌ ইসলাম বলেন, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ থেকে পরবর্তী প্রজন্ম বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমি জানার সুযোগ পেয়েছে। তাই তো ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছে।

কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব তানভীর আহমেদ জয় বলেন, দূর প্রবাসে বসে আজও আমরা দেশের কথা ভাবছি। মুক্তিযুদ্ধে যারা সরাসরি ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, প্রত্যেকের প্রতি আমার সশ্রদ্ধ সালাম ও কৃতজ্ঞতা।

বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির পরিকল্পনা সম্পাদক মোশারেফ হোসেন মাসুদ বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়েও আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

প্রবাস বাংলা ভয়েস’র প্রধান সম্পাদক আহসান রাজীব বুলবুল বলেন, দলমত নির্বিশেষে আমরা সবাই একবাক্যে স্বীকার করব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক সেদিনের ওই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ছিল মুক্তির ভাষণ, পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে দেশকে স্বাধীন করার ভাষণ। মূলত এই ভাষণের পরপরই সারা বিশ্বের প্রবাসীরা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।