Dhaka , Saturday, 3 June 2023

গ্রিসে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের একজন বাংলাদেশি

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 08:02:36 am, Tuesday, 7 March 2023
  • 21 বার

প্রবাস ডেস্ক: ইউরোপের দেশ গ্রিসের ইতিহাসে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭ জনের তালিকার মাঝে এক প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। গত ১ মার্চ গভীর রাতে গ্রিসের লারিসা শহরের কাছে মর্মান্তিক এ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মো. ইদ্রিস (৪০) নামের এই ব্যক্তি।

সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গ্রিসে অবস্থিত বাংলাশে দূতাবাস। গ্রিসের লারিসা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিহত ইদ্রিসের কাপড়ের আলামত থেকে ও ডিএনএসহ বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করে। পরে লারিসা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দূতাবাসকে নিশ্চিত করে।

নিহত ইদ্রিস চট্টগ্রাম হাটহাজারী উপজেলার ৮ নম্বর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মৃত সাহেব মিঞার ছেলে।
জানা গেছে, গত ১ মার্চ স্থানীয় সময় মধ্যরাতের আগে প্রায় ৩০০ জন যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে একটি ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনটির প্রথম দুটি বগিতে আগুন ধরে যায়। এতে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বাগি দুটি। এ ঘটনাকে গ্রিসের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটিকে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

ঘটনার পরপরই ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন দেশটির অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস। এছাড়াও ঘটনার পরপরই লারিসা শহরের স্টেশন মাস্টারকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে গাফিলতির কারণে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না বাংলাদেশি প্রবাসী মো. ইদ্রিসের। তার সহকর্মীরা তাকে না পেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। পরে গ্রিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও অবগত করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাস তাৎক্ষণিক গ্রিসের লারিসা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন হাসপাতাল মর্গে বেশ কয়েকটি অজ্ঞাত মরদেহ ছিল। গ্রিসের একটি টিভি চ্যানেলও তার ছবি দিয়ে সংবাদ প্রচার করে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাস এথেন্সের প্রথম সচিব বিশ্বজিৎ কুমার পাল বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করি। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বিভিন্ন তথ্য ও ব্যবহৃত কাপড় সংগ্রহ করে। পরে তারা কাপড় নিয়ে ডিএনএ টেস্ট করে নিশ্চিত হয়। পরিচয় শনাক্ত করে দূতাবাসে জানিয়েছে। তার লাশ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

গ্রিসে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের একজন বাংলাদেশি

আপডেট টাইম : 08:02:36 am, Tuesday, 7 March 2023

প্রবাস ডেস্ক: ইউরোপের দেশ গ্রিসের ইতিহাসে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭ জনের তালিকার মাঝে এক প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। গত ১ মার্চ গভীর রাতে গ্রিসের লারিসা শহরের কাছে মর্মান্তিক এ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মো. ইদ্রিস (৪০) নামের এই ব্যক্তি।

সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে গ্রিসে অবস্থিত বাংলাশে দূতাবাস। গ্রিসের লারিসা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিহত ইদ্রিসের কাপড়ের আলামত থেকে ও ডিএনএসহ বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করে। পরে লারিসা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ দূতাবাসকে নিশ্চিত করে।

নিহত ইদ্রিস চট্টগ্রাম হাটহাজারী উপজেলার ৮ নম্বর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মৃত সাহেব মিঞার ছেলে।
জানা গেছে, গত ১ মার্চ স্থানীয় সময় মধ্যরাতের আগে প্রায় ৩০০ জন যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে একটি ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনটির প্রথম দুটি বগিতে আগুন ধরে যায়। এতে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বাগি দুটি। এ ঘটনাকে গ্রিসের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এটিকে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।

ঘটনার পরপরই ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন দেশটির অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস। এছাড়াও ঘটনার পরপরই লারিসা শহরের স্টেশন মাস্টারকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে গাফিলতির কারণে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছিল না বাংলাদেশি প্রবাসী মো. ইদ্রিসের। তার সহকর্মীরা তাকে না পেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। পরে গ্রিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও অবগত করা হয়। বাংলাদেশ দূতাবাস তাৎক্ষণিক গ্রিসের লারিসা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখন হাসপাতাল মর্গে বেশ কয়েকটি অজ্ঞাত মরদেহ ছিল। গ্রিসের একটি টিভি চ্যানেলও তার ছবি দিয়ে সংবাদ প্রচার করে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাস এথেন্সের প্রথম সচিব বিশ্বজিৎ কুমার পাল বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করি। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বিভিন্ন তথ্য ও ব্যবহৃত কাপড় সংগ্রহ করে। পরে তারা কাপড় নিয়ে ডিএনএ টেস্ট করে নিশ্চিত হয়। পরিচয় শনাক্ত করে দূতাবাসে জানিয়েছে। তার লাশ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান।