Dhaka , Tuesday, 26 September 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

তুরস্কের আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 08:00:49 am, Thursday, 9 March 2023
  • 27 বার

প্রবাস ডেস্ক: তুরস্কের আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাস ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করেছে। তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক দুতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।

রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গ এবং দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাশেদ ইকবাল। এরপরপরই মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের উপর নির্মিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য প্রদান করেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা রাশেদ ইকবাল। পরে রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক তার সমাপনী বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।

রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত স্বাধীনতার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণই ছিল প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। ৭ মার্চের ভাষণের পরপরই সারাদেশে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ সংগঠিত হতে শুরু করে ও স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ-এর ভাষণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব পৃথিবীতে বিরল এবং এ ভাষণের অন্তর্নিহিত সম্বোহনী শক্তির বিকাশ এতই প্রখর ছিল যার ফলে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর UNESCO কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণকে “Memory of the World International Register, a list of world’s important documentary heritage” হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে আনে।

পরিশেষে, তিনি দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সকলকে বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনের আহ্বান জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

তুরস্কের আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন

আপডেট টাইম : 08:00:49 am, Thursday, 9 March 2023

প্রবাস ডেস্ক: তুরস্কের আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাস ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করেছে। তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক দুতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।

রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গ এবং দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাশেদ ইকবাল। এরপরপরই মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের উপর নির্মিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য প্রদান করেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা রাশেদ ইকবাল। পরে রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক তার সমাপনী বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।

রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত স্বাধীনতার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণই ছিল প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। ৭ মার্চের ভাষণের পরপরই সারাদেশে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ সংগঠিত হতে শুরু করে ও স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ-এর ভাষণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব পৃথিবীতে বিরল এবং এ ভাষণের অন্তর্নিহিত সম্বোহনী শক্তির বিকাশ এতই প্রখর ছিল যার ফলে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর UNESCO কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণকে “Memory of the World International Register, a list of world’s important documentary heritage” হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে আনে।

পরিশেষে, তিনি দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সকলকে বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনের আহ্বান জানান।