Dhaka , Wednesday, 7 June 2023

মালয়েশিয়ায় ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 08:05:56 am, Friday, 10 March 2023
  • 17 বার

মালয়েশিয়া ডেস্ক: জাতির পিতার সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে প্রবাসীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিনার মো. গোলাম সারোয়ার।

কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ পালন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রা এবং বাংলাদেশের অর্জনসমূহ উপস্থাপন করেন তিনি।

কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ পালন অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।

হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন

৭ মার্চ সকালে হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ারের নেতৃত্বে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত সহযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।

হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে হাই কমিশনার জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত, দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া পাঠ করা হয়। এরপর হাই কমিশনের কর্মকর্তারা এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

হাই কমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিতা বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল এবং মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল।

হাইকমিশনার বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ আমাদের জাতির জন্য এক গর্বের বিষয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

মালয়েশিয়ায় ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন

আপডেট টাইম : 08:05:56 am, Friday, 10 March 2023

মালয়েশিয়া ডেস্ক: জাতির পিতার সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে প্রবাসীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিনার মো. গোলাম সারোয়ার।

কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ পালন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রা এবং বাংলাদেশের অর্জনসমূহ উপস্থাপন করেন তিনি।

কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’ পালন অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।

হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন

৭ মার্চ সকালে হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ারের নেতৃত্বে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত সহযোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।

হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে হাই কমিশনার জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত, দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া পাঠ করা হয়। এরপর হাই কমিশনের কর্মকর্তারা এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

হাই কমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিতা বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল এবং মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল।

হাইকমিশনার বলেন, জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ আমাদের জাতির জন্য এক গর্বের বিষয়।