আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরান ও সৌদি আরব চীনের মধ্যস্থতায় কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সম্মত হয়েছে। শুক্রবার বেইজিংয়ে বৈঠক শেষে সৌদি আরবের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুসাদ বিন মোহাম্মদ আল আইবান এবং ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান আলী শামখানি এ ঘোষণা দেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমানে দেশটির সেন্ট্রাল ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশনের পরিচালক ওয়াং-ই।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের চুক্তি হয়েছে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, তাদের সঙ্গে সকল মত-পার্থক্য শেষ হয়ে গেছে।
সৌদি আরব ও ইরান কূটনৈতিক এবং ব্যবসায়িক সম্পর্কে ফেরার মাধ্যমে ৭ বছরের দ্বন্দ্বের আপাতত অবসান হলো। শিয়া ইরানের সঙ্গে সুন্নি সৌদি আরবের মৌলিক ধর্মীয় মত-পার্থক্য ছাড়াও গত এক দশকে ইয়েমেন যুদ্ধে দুই দেশ পরস্পরের বিপরীত পক্ষকে সমর্থন দেয়। ২০১৭ সালে সৌদি আরব বেশ কয়েকজন ধর্মীয় নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। এরমধ্যে একজন প্রভাবশালী শিয়া নেতাও ছিলেন। এই ঘটনার জেরে সৌদি আরবের দূতাবাসে ইরানের বিক্ষুব্ধরা হামলা করে। এরপর ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে রিয়াদ।
এক সাক্ষাৎকারে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, ‘ইরানের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ এবং সংলাপের মাধ্যমে পারস্পারিক পার্থক্য সমাধানে একমত হয়েছি। কিন্তু এর মানে-‘দুই দেশের মধ্যে সকল মত-পার্থক্য শেষ হয়ে গেছে তা নয়।’