Dhaka , Saturday, 23 September 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

অচল শহরে রাস্তায় ইফতার

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 08:23:15 am, Wednesday, 29 March 2023
  • 23 বার

নিউজ ডেস্ক: নগরজুড়ে তীব্র্র যানজটে গতকাল প্রায় অচল ছিল ঢাকা। নগরীর প্রতিটি সড়কে ছিল যানবাহনের জট। উত্তরা থেকে মহাখালী, পল্টন থেকে কুড়িল বিশ্বরোড, মিরপুর থেকে ফার্মগেট, বিজয় সরণি থেকে মহাখালী, মহাখালী থেকে সাতরাস্তা এবং কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মালিবাগ পর্যন্ত ছিল ভয়াবহ যানজট। প্রতিটি সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে ছিল যানবাহন। ফলে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরও এ অবস্থা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন অফিসফেরত মানুষ। অনেককে রাস্তায়ই করতে হয়েছে ইফতার।

বিশেষ করে বিজয় সরণি টু জাহাঙ্গীর গেট যেতে অনেকের ঘাম ছুটেছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভবনের সামনে গেলেই থমকে যাচ্ছিল প্রতিটি যানবাহন। এক ঘণ্টা অপেক্ষা ছাড়া কোনো বাস জায়গা ছেড়ে যেতে পারেনি। বিশেষ করে উত্তরাগামী বিভিন্ন সড়কে এ যানজটের মাত্রাটা বেশি লক্ষ করা গেছে। এ ছাড়া বাড্ডার প্রগতি সরণির দুই লেন, রামপুরা, রমনার সার্কিট হাউস রোড, কাকরাইলের সড়কে বাড়তি যানবাহনের চাপ ছিল।

কারওয়ান বাজার থেকে মিরপুর যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষা করছিলেন রায়হান নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক চাকরিজীবী। তিনি বলেন, ‘অফিস শেষ করে ইফতারের আগে বাসায় যাওয়ার তাড়া থাকে সবারই। কিন্তু অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়িতে ওঠার অবস্থা নেই। এমন নয় যে সড়কে গাড়ি নেই। কোনোরকমে আবার গাড়িতে উঠলেও যানজটে আটতে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দিনের পর দিন রাজধানীর সড়কগুলোতে একই অবস্থা চলছে। রমজানে তা যেন আরও বেড়ে গেছে। রোজা রেখে গরমে সড়কের এমন ভোগান্তি আসলে বলে বোঝানো সম্ভব নয়।’

শামীম নামে আরেকজন বলেন, ‘গাড়িতে উঠতে না পারলে কেউ যে সিএনজিতে করে বা বাইকে করে যাবে, সে উপায়ও নেই। সুযোগ বুঝে চালকরা দ্বিগুণের বেশি ভাড়া দাবি করছেন। এর বাইরে রাস্তায় যানজটের ভোগান্তি তো আছেই।’

ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, গতকাল সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া রোজার কারণে মানুষের রাস্তায় নামার সময় বদলেছে। সকালের বদলে ৯টার পর থেকে চাপ পড়ছে সড়কে। একযোগে মানুষ গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামায় চাপটা ভয়াবহ হয়েছে।

ডিএমপির ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের শেরেবাংলানগর এলাকার সহকারী পুলিশ কমিশনার তারেক সেকান্দার বলেন, আগারগাঁও থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো ওখানে এসে চাপে পড়ছে। এ ছাড়া বিজয় সরণির সিগন্যালের চাপ তো থাকেই।

ডিএমপির ট্রাফিক মহাখালীর সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হোসেন বলেন, মহাখালী গাউসুল আজম মসজিদের ওখানে রাস্তা কাটা ছিল, যে কারণে বেশ তালগোল পাকিয়েছিল। তবে লাভ রোডে যানবাহনের চাপ বেশি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

অচল শহরে রাস্তায় ইফতার

আপডেট টাইম : 08:23:15 am, Wednesday, 29 March 2023

নিউজ ডেস্ক: নগরজুড়ে তীব্র্র যানজটে গতকাল প্রায় অচল ছিল ঢাকা। নগরীর প্রতিটি সড়কে ছিল যানবাহনের জট। উত্তরা থেকে মহাখালী, পল্টন থেকে কুড়িল বিশ্বরোড, মিরপুর থেকে ফার্মগেট, বিজয় সরণি থেকে মহাখালী, মহাখালী থেকে সাতরাস্তা এবং কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মালিবাগ পর্যন্ত ছিল ভয়াবহ যানজট। প্রতিটি সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে ছিল যানবাহন। ফলে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরও এ অবস্থা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন অফিসফেরত মানুষ। অনেককে রাস্তায়ই করতে হয়েছে ইফতার।

বিশেষ করে বিজয় সরণি টু জাহাঙ্গীর গেট যেতে অনেকের ঘাম ছুটেছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভবনের সামনে গেলেই থমকে যাচ্ছিল প্রতিটি যানবাহন। এক ঘণ্টা অপেক্ষা ছাড়া কোনো বাস জায়গা ছেড়ে যেতে পারেনি। বিশেষ করে উত্তরাগামী বিভিন্ন সড়কে এ যানজটের মাত্রাটা বেশি লক্ষ করা গেছে। এ ছাড়া বাড্ডার প্রগতি সরণির দুই লেন, রামপুরা, রমনার সার্কিট হাউস রোড, কাকরাইলের সড়কে বাড়তি যানবাহনের চাপ ছিল।

কারওয়ান বাজার থেকে মিরপুর যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষা করছিলেন রায়হান নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক চাকরিজীবী। তিনি বলেন, ‘অফিস শেষ করে ইফতারের আগে বাসায় যাওয়ার তাড়া থাকে সবারই। কিন্তু অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়িতে ওঠার অবস্থা নেই। এমন নয় যে সড়কে গাড়ি নেই। কোনোরকমে আবার গাড়িতে উঠলেও যানজটে আটতে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দিনের পর দিন রাজধানীর সড়কগুলোতে একই অবস্থা চলছে। রমজানে তা যেন আরও বেড়ে গেছে। রোজা রেখে গরমে সড়কের এমন ভোগান্তি আসলে বলে বোঝানো সম্ভব নয়।’

শামীম নামে আরেকজন বলেন, ‘গাড়িতে উঠতে না পারলে কেউ যে সিএনজিতে করে বা বাইকে করে যাবে, সে উপায়ও নেই। সুযোগ বুঝে চালকরা দ্বিগুণের বেশি ভাড়া দাবি করছেন। এর বাইরে রাস্তায় যানজটের ভোগান্তি তো আছেই।’

ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, গতকাল সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া রোজার কারণে মানুষের রাস্তায় নামার সময় বদলেছে। সকালের বদলে ৯টার পর থেকে চাপ পড়ছে সড়কে। একযোগে মানুষ গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামায় চাপটা ভয়াবহ হয়েছে।

ডিএমপির ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের শেরেবাংলানগর এলাকার সহকারী পুলিশ কমিশনার তারেক সেকান্দার বলেন, আগারগাঁও থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো ওখানে এসে চাপে পড়ছে। এ ছাড়া বিজয় সরণির সিগন্যালের চাপ তো থাকেই।

ডিএমপির ট্রাফিক মহাখালীর সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হোসেন বলেন, মহাখালী গাউসুল আজম মসজিদের ওখানে রাস্তা কাটা ছিল, যে কারণে বেশ তালগোল পাকিয়েছিল। তবে লাভ রোডে যানবাহনের চাপ বেশি।