Dhaka , Thursday, 28 March 2024

কলম্বিয়ার ছাত্র-শিক্ষকেরাও অভিভূত বাংলাদেশের অগ্রগতিতে

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 08:19:35 am, Thursday, 30 March 2023
  • 35 বার

প্রবাস ডেস্ক: ‘সোসাইটি অব ফরেন কনসাল জেনারেল’র প্রেসিডেন্ট মারিতা ল্যান্ডাভেরি প্রচণ্ড উচ্ছ্বাসের সাথে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রশংসা করলেন এবং ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কূটনৈতিক সমাবেশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশকেই দৃশ্যমান করলো বলে মন্তব্য করেন।

পেরুর কনসাল জেনারেল মারিতা আরো বলেন, এই কনস্যুলেটের আতিথেয়তায় আমি সবসময় মনে করি যে, এটা আমারই অফিস। নিজের বাড়ি। এজন্যে আমি ভাবছি খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ সফরে যাবো।

রাষ্ট্রদূতের মর্যাদায় কর্মরত এই কনসাল জেনারেল বলেন, সাউথ আমেরিকার দেশ পেরুর সাথে বাংলাদেশের অনেক কিছুরই মিল রয়েছে। এজন্যে দীর্ঘদিন যাবতই পেরু ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতা, সামাজিক অগ্রগতি ও মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার দীগন্ত প্রসারিত করেছে।

বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলামের এ আয়োজনে এসেছিলেন কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি মেলিন্ডা ক্যাটজ। তিনি বলেন, কুইন্সে সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশি বাস করছে। তাই বাংলাদেশের সাথে স্বাভাবিকভাবেই আমারও একটি সম্পর্ক রচিত হয়েছে। সেই ভাবনা থেকেই দেশটির স্বাধীনতা দিবসকে উদযাপনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি।

অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিশ্বখ্যাত কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ল্যামন রিসার্চ প্রফেসর ড. মাইকেল এস স্টিকলার এবং অতি সম্প্রতি গবেষণার কাজে বাংলাদেশ সফর করে আসা দুই শিক্ষার্থী অ্যানা এবং নিকলাস।

ড. স্টিকলার বললেন, শিক্ষা এবং গবেষণার প্রয়োজনে গত ২০ বছর যাবতই আমি বাংলাদেশে যাতায়াত করছি। আগে ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে বেশ বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বেশ কটি ফেরিতে চড়তে হয়েছে। এখন পদ্মা সেতু এবং আরো সড়ক-সেতু নির্মিত হওয়ায় সে সব বিড়ম্বনা নেই বললেই চলে। এধরনের বহু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য দেখিয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই ঢাকা সফরে গিয়ে মেট্রোরেলে উঠবো। ১৫ বছর আগে এমন অবস্থা কেউ কল্পনা করেছেন বলে শুনিনি।

কলম্বিয়ার ছাত্র নিকলাস বললেন, খুবই ভালো লেগেছে বাংলাদেশকে। যে কদিন ছিলাম সকলেই আপন করে নিয়ে সহযোগিতা দিয়েছেন। আমরা পুরান ঢাকা ঘুরেছি বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-জীবনযাপনের ঘটনাবলি প্রত্যক্ষ করছে।

কলম্বিয়ার ছাত্রী অ্যানা বললেন, যেখানেই গেছি, সকলেই স্বাগত জানিয়েছেন এবং আমাদের কৌতুহল মেটাতে সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন। যে উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম তা সফল হয়েছে বলে মনে করছি। এজন্যে ড. স্টিকলারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এমন চমৎকার একটি দেশে নিয়ে যাবার জন্যে। প্রতিটি মানুষই আতিথেয়তায় উদগ্রীব ছিলেন। আমি কখনো কখনো ভুলেই গেছি যে, সেটি আমার নিজের দেশ নয়।

মাইকেল স্টিকলার বললেন, আমি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ কতটা ঝুঁকির মুখে রয়েছে, ভূমিকম্প এবং জলোচ্ছ্বাসজনিত পরিস্থিতি ইত্যাদি পরিস্থিতি দেখতে যাই। সরকার কি করছে, আন্তর্জাতিক সমাজের ভূমিকা কতটা-সে সবও কৌতুহলে থাকে। অ্যানা এবং নিকলাসকে নিয়ে সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, খুলনা ও সুন্দরবন প্রভৃতি এলাকা পরিভ্রমণ করেছি। এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলেছি। ঢাকা ইউনিভার্সিটির সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের ছাত্র-শিক্ষকদের সাথেও মিলিত হয়েছি। সর্বত্র প্রাণচাঞ্চল্য দেখে আমরা অভিভূত। সামনে এগিয়ে চলার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নাগরিক সমাজের এই যে দৃঢ়চেতা-তা বাংলাদেশকে আজকের পর্যায়ে উপনীত হতে সাহায্য করেছে এই সমাবেশের অপর কূটনীতিকরা উল্লেখ করেন।

কথা হয় কুয়েত, পোল্যান্ড ও ভারতের কনসাল জেনারেলদের সাথেও। তারা ৫২ বছরের বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। সমাবেশে এসেছিলেন ডজন তিনেক কূটনীতিক। কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরাও ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিও অভিবাদন জানিয়েছেন আয়োজক কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম। একেবারেই শেষে হাজির হয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্যে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রায় সকল সূচকে অভাবনীয় উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার উপর জোর গুরুত্ব আরোপ করেন। নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার সাথে সম্পৃক্ততা ও সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি দু’দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর ও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলা এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভূমিকা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে বলে কনসাল জেনারেল মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গভীরতা বর্ণনা করতে গিয়ে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক দিনে দিনে আরো গভীর, বিস্তৃত ও মজবুত হচ্ছে বলে তিনি যোগ করেন। কনসাল জেনারেল দু’দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

তিনি বঙ্গবন্ধু প্রণীত পররাষ্ট্রনীতির মূলভিত্তি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে বিশ্বশান্তি ও সমৃদ্ধিতে এই নীতির গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতার কথা পুনঃব্যক্ত করেন। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মেলিন্ডা ক্যাটজ ও নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিশনার এডওয়ার্ড মার্মেলস্টেইন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

কলম্বিয়ার ছাত্র-শিক্ষকেরাও অভিভূত বাংলাদেশের অগ্রগতিতে

আপডেট টাইম : 08:19:35 am, Thursday, 30 March 2023

প্রবাস ডেস্ক: ‘সোসাইটি অব ফরেন কনসাল জেনারেল’র প্রেসিডেন্ট মারিতা ল্যান্ডাভেরি প্রচণ্ড উচ্ছ্বাসের সাথে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রশংসা করলেন এবং ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কূটনৈতিক সমাবেশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশকেই দৃশ্যমান করলো বলে মন্তব্য করেন।

পেরুর কনসাল জেনারেল মারিতা আরো বলেন, এই কনস্যুলেটের আতিথেয়তায় আমি সবসময় মনে করি যে, এটা আমারই অফিস। নিজের বাড়ি। এজন্যে আমি ভাবছি খুব শীঘ্রই বাংলাদেশ সফরে যাবো।

রাষ্ট্রদূতের মর্যাদায় কর্মরত এই কনসাল জেনারেল বলেন, সাউথ আমেরিকার দেশ পেরুর সাথে বাংলাদেশের অনেক কিছুরই মিল রয়েছে। এজন্যে দীর্ঘদিন যাবতই পেরু ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতা, সামাজিক অগ্রগতি ও মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার দীগন্ত প্রসারিত করেছে।

বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলামের এ আয়োজনে এসেছিলেন কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি মেলিন্ডা ক্যাটজ। তিনি বলেন, কুইন্সে সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশি বাস করছে। তাই বাংলাদেশের সাথে স্বাভাবিকভাবেই আমারও একটি সম্পর্ক রচিত হয়েছে। সেই ভাবনা থেকেই দেশটির স্বাধীনতা দিবসকে উদযাপনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি।

অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিশ্বখ্যাত কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ল্যামন রিসার্চ প্রফেসর ড. মাইকেল এস স্টিকলার এবং অতি সম্প্রতি গবেষণার কাজে বাংলাদেশ সফর করে আসা দুই শিক্ষার্থী অ্যানা এবং নিকলাস।

ড. স্টিকলার বললেন, শিক্ষা এবং গবেষণার প্রয়োজনে গত ২০ বছর যাবতই আমি বাংলাদেশে যাতায়াত করছি। আগে ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে বেশ বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বেশ কটি ফেরিতে চড়তে হয়েছে। এখন পদ্মা সেতু এবং আরো সড়ক-সেতু নির্মিত হওয়ায় সে সব বিড়ম্বনা নেই বললেই চলে। এধরনের বহু ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য দেখিয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই ঢাকা সফরে গিয়ে মেট্রোরেলে উঠবো। ১৫ বছর আগে এমন অবস্থা কেউ কল্পনা করেছেন বলে শুনিনি।

কলম্বিয়ার ছাত্র নিকলাস বললেন, খুবই ভালো লেগেছে বাংলাদেশকে। যে কদিন ছিলাম সকলেই আপন করে নিয়ে সহযোগিতা দিয়েছেন। আমরা পুরান ঢাকা ঘুরেছি বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য-জীবনযাপনের ঘটনাবলি প্রত্যক্ষ করছে।

কলম্বিয়ার ছাত্রী অ্যানা বললেন, যেখানেই গেছি, সকলেই স্বাগত জানিয়েছেন এবং আমাদের কৌতুহল মেটাতে সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন। যে উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম তা সফল হয়েছে বলে মনে করছি। এজন্যে ড. স্টিকলারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এমন চমৎকার একটি দেশে নিয়ে যাবার জন্যে। প্রতিটি মানুষই আতিথেয়তায় উদগ্রীব ছিলেন। আমি কখনো কখনো ভুলেই গেছি যে, সেটি আমার নিজের দেশ নয়।

মাইকেল স্টিকলার বললেন, আমি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ কতটা ঝুঁকির মুখে রয়েছে, ভূমিকম্প এবং জলোচ্ছ্বাসজনিত পরিস্থিতি ইত্যাদি পরিস্থিতি দেখতে যাই। সরকার কি করছে, আন্তর্জাতিক সমাজের ভূমিকা কতটা-সে সবও কৌতুহলে থাকে। অ্যানা এবং নিকলাসকে নিয়ে সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, খুলনা ও সুন্দরবন প্রভৃতি এলাকা পরিভ্রমণ করেছি। এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলেছি। ঢাকা ইউনিভার্সিটির সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের ছাত্র-শিক্ষকদের সাথেও মিলিত হয়েছি। সর্বত্র প্রাণচাঞ্চল্য দেখে আমরা অভিভূত। সামনে এগিয়ে চলার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নাগরিক সমাজের এই যে দৃঢ়চেতা-তা বাংলাদেশকে আজকের পর্যায়ে উপনীত হতে সাহায্য করেছে এই সমাবেশের অপর কূটনীতিকরা উল্লেখ করেন।

কথা হয় কুয়েত, পোল্যান্ড ও ভারতের কনসাল জেনারেলদের সাথেও। তারা ৫২ বছরের বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। সমাবেশে এসেছিলেন ডজন তিনেক কূটনীতিক। কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরাও ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিও অভিবাদন জানিয়েছেন আয়োজক কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম। একেবারেই শেষে হাজির হয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্যে।

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রায় সকল সূচকে অভাবনীয় উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার উপর জোর গুরুত্ব আরোপ করেন। নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার সাথে সম্পৃক্ততা ও সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি দু’দেশের জনগণের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর ও সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলা এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভূমিকা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে বলে কনসাল জেনারেল মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গভীরতা বর্ণনা করতে গিয়ে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক দিনে দিনে আরো গভীর, বিস্তৃত ও মজবুত হচ্ছে বলে তিনি যোগ করেন। কনসাল জেনারেল দু’দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

তিনি বঙ্গবন্ধু প্রণীত পররাষ্ট্রনীতির মূলভিত্তি ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে বিশ্বশান্তি ও সমৃদ্ধিতে এই নীতির গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতার কথা পুনঃব্যক্ত করেন। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মেলিন্ডা ক্যাটজ ও নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিশনার এডওয়ার্ড মার্মেলস্টেইন।