Dhaka , Saturday, 23 September 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

মালয়েশিয়ায় জুয়া সিন্ডিকেটের বাংলাদেশি হোতাসহ গ্রেফতার ১৫

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 02:52:03 pm, Friday, 31 March 2023
  • 13 বার

মালয়েশিয়া ডেস্ক: মালয়েশিয়ায় অনলাইন জুয়া সিন্ডিকেটের বাংলাদেশি হোতাসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। গ্রেফতারদের মধ্যে ১৪ জনই বিদেশি নাগরিক।

দেশটির সেলাংগর রাজ্যের ক্লাং ও রাজধানী কুয়ালালামপুরে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ অনলাইন জুয়া সিন্ডিকেটের অফিস বন্ধ করে দেয়।

ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ বলেছেন, সিন্ডিকেটটি একটি স্নোকার পার্লারের গোপন কক্ষে জুয়া কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। ২৫ এবং ৪০ বছর বয়সী দুই ইন্দোনেশিয়ান নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা জুয়া খেলার যন্ত্রপাতি পরিচালনা করতেন এবং তাদের কোনো বৈধ কাজের পাস ছিল না। যেখানে একজন ৪০ বছর বয়সী স্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন জুয়ার তত্ত্বাবধায়ক।

বৃস্পতিবার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক সরকারি বার্তা সংস্থা বারনামাকে জানিয়েছেন, গোপন কক্ষে প্রবেশের ক্ষেত্রে গ্রাহক সিন্ডিকেটের একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হত।

এছাড়া ইমিগ্রেশন বিভাগ রাজধানী কুয়ালালামপুরে পৃথক আরও কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ছয় বাংলাদেশি, একজন নেপালি এবং একজন ইন্দোনেশিয়ান নারীকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে ৪০ বছর বয়সী একজন হোতা, যিনি স্থানীয় এক নারীর প্রবাসী স্বামী। একটি ক্লিনার কোম্পানির মালিকও তিনি। তাদের কাছ থেকে ৪৬টি কম্পিউটার, ৩৭টি পাসপোর্ট এবং নগদ ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৫০ রিঙ্গিত জব্দ করা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, জব্দ করা নগদ অর্থের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে এই সিন্ডিকেট প্রতি বছর ১ দমমিক ৩ থেকে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন রিঙ্গিত ইনকাম করতো।

জানা গেছে, গ্রেফতারদের ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে এবং তাদের কাজে সহায়তা করায় স্থানীয় এক ব্যক্তিকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারদের বিষয়ে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে আরও অধিকতর তদন্ত করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

মালয়েশিয়ায় জুয়া সিন্ডিকেটের বাংলাদেশি হোতাসহ গ্রেফতার ১৫

আপডেট টাইম : 02:52:03 pm, Friday, 31 March 2023

মালয়েশিয়া ডেস্ক: মালয়েশিয়ায় অনলাইন জুয়া সিন্ডিকেটের বাংলাদেশি হোতাসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। গ্রেফতারদের মধ্যে ১৪ জনই বিদেশি নাগরিক।

দেশটির সেলাংগর রাজ্যের ক্লাং ও রাজধানী কুয়ালালামপুরে পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ অনলাইন জুয়া সিন্ডিকেটের অফিস বন্ধ করে দেয়।

ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক রুসলিন জুসোহ বলেছেন, সিন্ডিকেটটি একটি স্নোকার পার্লারের গোপন কক্ষে জুয়া কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। ২৫ এবং ৪০ বছর বয়সী দুই ইন্দোনেশিয়ান নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা জুয়া খেলার যন্ত্রপাতি পরিচালনা করতেন এবং তাদের কোনো বৈধ কাজের পাস ছিল না। যেখানে একজন ৪০ বছর বয়সী স্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন জুয়ার তত্ত্বাবধায়ক।

বৃস্পতিবার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক সরকারি বার্তা সংস্থা বারনামাকে জানিয়েছেন, গোপন কক্ষে প্রবেশের ক্ষেত্রে গ্রাহক সিন্ডিকেটের একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হত।

এছাড়া ইমিগ্রেশন বিভাগ রাজধানী কুয়ালালামপুরে পৃথক আরও কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে ছয় বাংলাদেশি, একজন নেপালি এবং একজন ইন্দোনেশিয়ান নারীকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে ৪০ বছর বয়সী একজন হোতা, যিনি স্থানীয় এক নারীর প্রবাসী স্বামী। একটি ক্লিনার কোম্পানির মালিকও তিনি। তাদের কাছ থেকে ৪৬টি কম্পিউটার, ৩৭টি পাসপোর্ট এবং নগদ ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৫০ রিঙ্গিত জব্দ করা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, জব্দ করা নগদ অর্থের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে এই সিন্ডিকেট প্রতি বছর ১ দমমিক ৩ থেকে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন রিঙ্গিত ইনকাম করতো।

জানা গেছে, গ্রেফতারদের ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে এবং তাদের কাজে সহায়তা করায় স্থানীয় এক ব্যক্তিকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারদের বিষয়ে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর অধীনে আরও অধিকতর তদন্ত করা হবে।