Dhaka , Friday, 22 September 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাইকে হারিয়ে গুজরাটের জয়

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 07:59:30 am, Saturday, 1 April 2023
  • 26 বার

স্পোর্টস ডেস্ক: বিস্ফোরক ইনিংসে চেন্নাই সুপার কিংসকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তবে সম্মিলিত চেষ্টায় শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে দারুণ শুরু করল গুজরাট লায়ন্স। নতুন আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে শুক্রবার (৩১ মার্চ) ৫ উইকেটে জিতেছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। চেন্নাইয়ের ১৭৮ রান তারা পেরিয়ে গেছে ৪ বল বাকি থাকতে।

অনেক পরিবর্তন এসেছে ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের নিয়মে। দুই দলই ব্যবহার করেছে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার। দেখা গেছে ওয়াইডের রিভিউ নিতেও।

ম্যাচের প্রথমভাগে সব আলো কেড়ে নেন রুতুরাজ। টস হেরে ব্যাট করতে নামা দলকে এই ওপেনারই এনে দেন ভালো একটা সংগ্রহ। অন্য পাশ থেকে সেভাবে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। তাই এক সময়ে অনেক বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা জাগিয়েও চেন্নাই থেমে যায় ১৭৮ রানে। ৫০ বলে ৯ ছক্কা ও চারটি চারে ৯২ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন রুতুরাজ। তিনি ছাড়া বিশ ছাড়াতে পারেন কেবল মইন আলি (২৩)। ক্যারিয়ারে প্রথমবার আট নম্বরে নেমে একটি করে ছক্কা ও চারে ৭ বলে অপরাজিত ১৪ রান করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। গুজরাটের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন রশিদ খান, মোহাম্মদ শামি ও আলজারি জোসেফ।

রান তাড়ায় মোটামুটি অবদান রাখেন গুজরাটের প্রায় সবাই। অধিনায়ক পান্ডিয়া ছাড়া দুই অঙ্কে যান ক্রিজে যাওয়া বাকি সব ব্যাটসম্যান। আম্বাতি রায়ডুর জায়গায় তুষার দেশপান্ডেকে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলায় চেন্নাই। এই পেসারের উপর দিযেই যায় ঝড়ের সবচেয়ে বড় ঝাপটা। ৩ ওভার ২ বল করে ৫১ রান দিয়ে তিনি নেন ১ উইকেট। হজম করেন চারটি করে ছক্কা ও চার। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম দুই বলে ১০ রান দেওয়ার পর আর ছন্দ খুঁজে পাননি দেশপান্ডে। অন্যকেউও প্রভাব রাখতে পারেননি সেভাবে।

১৬ বলে দুটি করে ছক্কা ও চারে ২৫ রানের ইনিংসে গুজরাটকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ঋদ্ধিমান সাহা। ফিল্ডিংয়ের সময় হাঁটুতে চোট পাওয়া কেন উইলিয়ামসন ব্যাটিংয়ে নামেননি, তার জায়গায় তিনে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামেন সাই সুদর্শন। তিন চারে তিনি করেন ২২ রান। রানের গতিতে দম দেওয়ার কাজটা মূলত করেন শুবমান গিল। ৩৬ বলে তিন ছক্কা ও ছয় চারে ৬৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে গড়ে দেন জয়ের ভিত।

শেষ ৫ ওভারে গুজরাটের প্রয়োজন ছিল ৪১ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট। দুটি আঁটসাঁট ওভারে কঠিন হতে বসেছিল সমীকরণ। তবে রশিদ (৩ বলে ১০) ও রাহুল তেওয়াতিয়া (১৪ বলে ১৫) দলকে অনায়াসেই নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাইকে হারিয়ে গুজরাটের জয়

আপডেট টাইম : 07:59:30 am, Saturday, 1 April 2023

স্পোর্টস ডেস্ক: বিস্ফোরক ইনিংসে চেন্নাই সুপার কিংসকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তবে সম্মিলিত চেষ্টায় শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে দারুণ শুরু করল গুজরাট লায়ন্স। নতুন আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে শুক্রবার (৩১ মার্চ) ৫ উইকেটে জিতেছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। চেন্নাইয়ের ১৭৮ রান তারা পেরিয়ে গেছে ৪ বল বাকি থাকতে।

অনেক পরিবর্তন এসেছে ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের নিয়মে। দুই দলই ব্যবহার করেছে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার। দেখা গেছে ওয়াইডের রিভিউ নিতেও।

ম্যাচের প্রথমভাগে সব আলো কেড়ে নেন রুতুরাজ। টস হেরে ব্যাট করতে নামা দলকে এই ওপেনারই এনে দেন ভালো একটা সংগ্রহ। অন্য পাশ থেকে সেভাবে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। তাই এক সময়ে অনেক বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা জাগিয়েও চেন্নাই থেমে যায় ১৭৮ রানে। ৫০ বলে ৯ ছক্কা ও চারটি চারে ৯২ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন রুতুরাজ। তিনি ছাড়া বিশ ছাড়াতে পারেন কেবল মইন আলি (২৩)। ক্যারিয়ারে প্রথমবার আট নম্বরে নেমে একটি করে ছক্কা ও চারে ৭ বলে অপরাজিত ১৪ রান করেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। গুজরাটের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন রশিদ খান, মোহাম্মদ শামি ও আলজারি জোসেফ।

রান তাড়ায় মোটামুটি অবদান রাখেন গুজরাটের প্রায় সবাই। অধিনায়ক পান্ডিয়া ছাড়া দুই অঙ্কে যান ক্রিজে যাওয়া বাকি সব ব্যাটসম্যান। আম্বাতি রায়ডুর জায়গায় তুষার দেশপান্ডেকে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলায় চেন্নাই। এই পেসারের উপর দিযেই যায় ঝড়ের সবচেয়ে বড় ঝাপটা। ৩ ওভার ২ বল করে ৫১ রান দিয়ে তিনি নেন ১ উইকেট। হজম করেন চারটি করে ছক্কা ও চার। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম দুই বলে ১০ রান দেওয়ার পর আর ছন্দ খুঁজে পাননি দেশপান্ডে। অন্যকেউও প্রভাব রাখতে পারেননি সেভাবে।

১৬ বলে দুটি করে ছক্কা ও চারে ২৫ রানের ইনিংসে গুজরাটকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ঋদ্ধিমান সাহা। ফিল্ডিংয়ের সময় হাঁটুতে চোট পাওয়া কেন উইলিয়ামসন ব্যাটিংয়ে নামেননি, তার জায়গায় তিনে ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামেন সাই সুদর্শন। তিন চারে তিনি করেন ২২ রান। রানের গতিতে দম দেওয়ার কাজটা মূলত করেন শুবমান গিল। ৩৬ বলে তিন ছক্কা ও ছয় চারে ৬৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে গড়ে দেন জয়ের ভিত।

শেষ ৫ ওভারে গুজরাটের প্রয়োজন ছিল ৪১ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট। দুটি আঁটসাঁট ওভারে কঠিন হতে বসেছিল সমীকরণ। তবে রশিদ (৩ বলে ১০) ও রাহুল তেওয়াতিয়া (১৪ বলে ১৫) দলকে অনায়াসেই নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।