Dhaka , Saturday, 23 September 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

কুয়েতে কামান দাগিয়ে ইফতারের সংকেত

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 08:31:33 am, Monday, 17 April 2023
  • 23 বার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশে ইফতারের সময় হলেই আমরা দেখি বিভিন্ন মসজিদে সাইরেন কিংবা ‘ইফতারের সময় হয়েছে, আপনারা ইফতার করে নিন’ বলে দেওয়া হয়। এই রীতি অনেক আগ থেকে চালু রয়েছে। অন্যদিকে কুয়েতে ইফতারের সময় জানাতে কামানের গোলা ছোড়ার আওয়াজ শোনানো হয়। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিডফা আল ইফতার’।

রোজাদারদের জানাতে দেশটির শাসক শেখ মোবারক আল সাবাহ এই রীতি চালু করেন বলে জানা যায়। এটি কুয়েতের ঐতিহ্যও বটে। ইফতারের সময় হলেই দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এই দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করে। যেটা দেখে রোজাদাররা ইফতার শুরু করেন। কুয়েত ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশে এই রীতি চালু আছে।

কুয়েত সিটির লিবারেশন টাওয়ারের পাশেই নায়েফ প্রাসাদে এই কামান বসানো হয়েছে। নায়েফ প্রাসাদটি ১৯১৯ সালে শেখ সালেম আল-মুবারক আল-সাবাহ-এর শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল। কুয়েতে প্রথম কামানটি ১৯০৭ সালে শেখ মুবারক আল-সাবাহ-এর শাসনের অধীনে আসে।

কামানটি সেই সময়ে ইরানের গভর্নরের কাছ থেকে একটি উপহার ছিল। নায়েফ প্রাসাদের বর্তমান কামানটি ১৯৯২ সালে বাহরাইন রাজা থেকে প্রতিশ্রুতি হিসাবে এসেছে। এই কামান দাগাতে তিনজন ইউনিফর্মধারী গার্ড কাজ করে।

কামানের গোলা ছোড়ার এই দৃশ্য দেখতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন স্থানীয় নাগরিক ও প্রবাসীরা। তাদের কাছে এটি মনোমুগ্ধকরও বটে।

বলা হয়েছে, মিশরের তৎকালীন শাসক খোস কাদাম একদিন সূর্যাস্তের সময় নতুন একটি কামান পরীক্ষা করার সময় ঘটনাক্রমে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফেলেন। সেটা ছিল রমজানের মাগরিবের সময়।

সমগ্র কায়রোয় শব্দটি শোনা গিয়েছিল। তারা মনে করেছিল, ইফতারের সময় হয়েছে, তা জানানোর জন্য বুঝি এটি নতুন শাসকের নতুন পদ্ধতি। বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সমাজের অভিজাত ব্যক্তিরা সুলতানের কাছে গিয়েছিলেন এবং তার সদয় অঙ্গভঙ্গির জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান। তখন থেকে এই ঐতিহ্য আজ অবধি অব্যাহত রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

কুয়েতে কামান দাগিয়ে ইফতারের সংকেত

আপডেট টাইম : 08:31:33 am, Monday, 17 April 2023

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশে ইফতারের সময় হলেই আমরা দেখি বিভিন্ন মসজিদে সাইরেন কিংবা ‘ইফতারের সময় হয়েছে, আপনারা ইফতার করে নিন’ বলে দেওয়া হয়। এই রীতি অনেক আগ থেকে চালু রয়েছে। অন্যদিকে কুয়েতে ইফতারের সময় জানাতে কামানের গোলা ছোড়ার আওয়াজ শোনানো হয়। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিডফা আল ইফতার’।

রোজাদারদের জানাতে দেশটির শাসক শেখ মোবারক আল সাবাহ এই রীতি চালু করেন বলে জানা যায়। এটি কুয়েতের ঐতিহ্যও বটে। ইফতারের সময় হলেই দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এই দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করে। যেটা দেখে রোজাদাররা ইফতার শুরু করেন। কুয়েত ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশে এই রীতি চালু আছে।

কুয়েত সিটির লিবারেশন টাওয়ারের পাশেই নায়েফ প্রাসাদে এই কামান বসানো হয়েছে। নায়েফ প্রাসাদটি ১৯১৯ সালে শেখ সালেম আল-মুবারক আল-সাবাহ-এর শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল। কুয়েতে প্রথম কামানটি ১৯০৭ সালে শেখ মুবারক আল-সাবাহ-এর শাসনের অধীনে আসে।

কামানটি সেই সময়ে ইরানের গভর্নরের কাছ থেকে একটি উপহার ছিল। নায়েফ প্রাসাদের বর্তমান কামানটি ১৯৯২ সালে বাহরাইন রাজা থেকে প্রতিশ্রুতি হিসাবে এসেছে। এই কামান দাগাতে তিনজন ইউনিফর্মধারী গার্ড কাজ করে।

কামানের গোলা ছোড়ার এই দৃশ্য দেখতে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন স্থানীয় নাগরিক ও প্রবাসীরা। তাদের কাছে এটি মনোমুগ্ধকরও বটে।

বলা হয়েছে, মিশরের তৎকালীন শাসক খোস কাদাম একদিন সূর্যাস্তের সময় নতুন একটি কামান পরীক্ষা করার সময় ঘটনাক্রমে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফেলেন। সেটা ছিল রমজানের মাগরিবের সময়।

সমগ্র কায়রোয় শব্দটি শোনা গিয়েছিল। তারা মনে করেছিল, ইফতারের সময় হয়েছে, তা জানানোর জন্য বুঝি এটি নতুন শাসকের নতুন পদ্ধতি। বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সমাজের অভিজাত ব্যক্তিরা সুলতানের কাছে গিয়েছিলেন এবং তার সদয় অঙ্গভঙ্গির জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান। তখন থেকে এই ঐতিহ্য আজ অবধি অব্যাহত রয়েছে।