Dhaka , Thursday, 30 November 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

ভূত ভবিষ্যৎ ও অদৃশ্যের খবর জানেন শুধু আল্লাহ

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 08:07:44 am, Wednesday, 10 May 2023
  • 41 বার

ইসলাম ডেস্ক: গণক ও জ্যোতিষরা অদৃশ্যের খবর জানেন, মানুষের ভূত ও ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারেন এতে বিশ্বাস করাও কবিরা গুনাহ। যারা গণক ও জ্যোতিষের কথায় বিশ্বাস রাখে তারা প্রকারান্তরে শিরক করেন। শিরক অতি অবশ্যই এক কবিরা গুনাহ। সোজা কথায় মহাপাপ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে, সব ধরনের ভূত-ভবিষ্যৎ ও অদৃশ্যের খবর একমাত্র আল্লাহই জানেন (সূরা আনআম ৫৯, সূরা নামল ৬৫)।

আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ গায়েবি খবর জানে বলে বিশ্বাস করলে মুমিন ইমান থেকে খারিজ হয়ে যেতে পারে। আল্লাহতায়ালা তারকা রাজিকে আকাশমন্ডলীর সৌন্দর্য ও সুশোভনতার উপকরণ, গোপনে আসমানি তথ্য সংগ্রহকারী শয়তান দলকে বিতাড়িত করার জন্য তাদের প্রতি ক্ষেপণীয় অস্ত্র (উল্কা) স্বরূপ এবং অন্ধকারে জল ও স্থলপথের পথিকদের জন্য পথ-নির্দেশক ও দিক নির্ণায়ক স্বরূপ সৃষ্টি করেছেন (সূরা আনআম ৯৭, নাহল ১৬, সূরা সাফফাত ৬-১০, মুলক-৫)। পৃথিবীর মঙ্গলামঙ্গল ঘটনাঘটনের সঙ্গে তাঁর এই সৃষ্টি বিচিত্রের কোনো সম্পর্ক নেই।

তাই মুসলিম জ্যোতিষবিদ্যার শুভাশুভ বিচারে বিশ্বাসী নয়। বৃষ্টি-বর্ষা ও ফল-ফসলের বিধাতাও আল্লাহই। কোনো রাশিচক্রের বলে না বৃষ্টি হয়, না ফসল ফলে। সবকিছু তাঁরই ইঙ্গিতে ঘটে থাকে, মানুষ অনুমান ও ধারণা করে মাত্র। কারও হস্তরেখা দেখে ভাগ্য ও ভবিষ্যৎ নিরূপণ, দৈহিক কোনো লক্ষণ যেমন- টেরা চক্ষু, জোড়া ভ্রƒ, কূপগাল, ছয় আঙ্গুল, তিল, জড়ুল প্রভৃতি দেখে ভাগ্য বা চরিত্র বিচার, আবজাদি হিসাব জুড়ে, ফালনামা খুলে, শুভাশুভের অক্ষর বা হরফ নির্দিষ্ট করে চক্ষু বুজে হাত দিয়ে, ফালকাঠি টেনে বা পাখি উড়িয়ে ভাগ্য-ভবিষ্যৎ বা যাত্রাকর্ম ইত্যাদির শুভাশুভ নির্ধারণ জাহেলিয়াতি ও মূর্খতা। ইসলাম এসবকে সমর্থন করে না (সূরা মায়েদা ৯০)।

মুসলিম এসবে বিশ্বাস করে না। তদনুরূপ হাত চালিয়ে, বদনা ঘুরিয়ে সাপ দেখা, চোর ধরা বা কিছু বলাও অনুমান মাত্র। বলাবাহুল্য, হাতগনা, ভাগ্য গণনা ও ভাগ্যরাশির জ্যোতিষীর পেশার উপার্জন ইসলামে বৈধ নয়। প্রকাশ থাকে, দিনপঞ্জিকার সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত, সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ প্রভৃতি হিসাবের জ্যোতিষ অবৈধ নয়। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে গণকের কাছে যাবে এবং তার কথা বলবে ও গণকের কথা সত্যি বলবে তার ৪০ দিনের নামাজ কবুল হবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে গণক ও জ্যোতিষ থেকে দূরে থাকার তাওফিক দিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

ভূত ভবিষ্যৎ ও অদৃশ্যের খবর জানেন শুধু আল্লাহ

আপডেট টাইম : 08:07:44 am, Wednesday, 10 May 2023

ইসলাম ডেস্ক: গণক ও জ্যোতিষরা অদৃশ্যের খবর জানেন, মানুষের ভূত ও ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারেন এতে বিশ্বাস করাও কবিরা গুনাহ। যারা গণক ও জ্যোতিষের কথায় বিশ্বাস রাখে তারা প্রকারান্তরে শিরক করেন। শিরক অতি অবশ্যই এক কবিরা গুনাহ। সোজা কথায় মহাপাপ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করা হয়েছে, সব ধরনের ভূত-ভবিষ্যৎ ও অদৃশ্যের খবর একমাত্র আল্লাহই জানেন (সূরা আনআম ৫৯, সূরা নামল ৬৫)।

আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ গায়েবি খবর জানে বলে বিশ্বাস করলে মুমিন ইমান থেকে খারিজ হয়ে যেতে পারে। আল্লাহতায়ালা তারকা রাজিকে আকাশমন্ডলীর সৌন্দর্য ও সুশোভনতার উপকরণ, গোপনে আসমানি তথ্য সংগ্রহকারী শয়তান দলকে বিতাড়িত করার জন্য তাদের প্রতি ক্ষেপণীয় অস্ত্র (উল্কা) স্বরূপ এবং অন্ধকারে জল ও স্থলপথের পথিকদের জন্য পথ-নির্দেশক ও দিক নির্ণায়ক স্বরূপ সৃষ্টি করেছেন (সূরা আনআম ৯৭, নাহল ১৬, সূরা সাফফাত ৬-১০, মুলক-৫)। পৃথিবীর মঙ্গলামঙ্গল ঘটনাঘটনের সঙ্গে তাঁর এই সৃষ্টি বিচিত্রের কোনো সম্পর্ক নেই।

তাই মুসলিম জ্যোতিষবিদ্যার শুভাশুভ বিচারে বিশ্বাসী নয়। বৃষ্টি-বর্ষা ও ফল-ফসলের বিধাতাও আল্লাহই। কোনো রাশিচক্রের বলে না বৃষ্টি হয়, না ফসল ফলে। সবকিছু তাঁরই ইঙ্গিতে ঘটে থাকে, মানুষ অনুমান ও ধারণা করে মাত্র। কারও হস্তরেখা দেখে ভাগ্য ও ভবিষ্যৎ নিরূপণ, দৈহিক কোনো লক্ষণ যেমন- টেরা চক্ষু, জোড়া ভ্রƒ, কূপগাল, ছয় আঙ্গুল, তিল, জড়ুল প্রভৃতি দেখে ভাগ্য বা চরিত্র বিচার, আবজাদি হিসাব জুড়ে, ফালনামা খুলে, শুভাশুভের অক্ষর বা হরফ নির্দিষ্ট করে চক্ষু বুজে হাত দিয়ে, ফালকাঠি টেনে বা পাখি উড়িয়ে ভাগ্য-ভবিষ্যৎ বা যাত্রাকর্ম ইত্যাদির শুভাশুভ নির্ধারণ জাহেলিয়াতি ও মূর্খতা। ইসলাম এসবকে সমর্থন করে না (সূরা মায়েদা ৯০)।

মুসলিম এসবে বিশ্বাস করে না। তদনুরূপ হাত চালিয়ে, বদনা ঘুরিয়ে সাপ দেখা, চোর ধরা বা কিছু বলাও অনুমান মাত্র। বলাবাহুল্য, হাতগনা, ভাগ্য গণনা ও ভাগ্যরাশির জ্যোতিষীর পেশার উপার্জন ইসলামে বৈধ নয়। প্রকাশ থাকে, দিনপঞ্জিকার সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত, সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ প্রভৃতি হিসাবের জ্যোতিষ অবৈধ নয়। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে গণকের কাছে যাবে এবং তার কথা বলবে ও গণকের কথা সত্যি বলবে তার ৪০ দিনের নামাজ কবুল হবে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে গণক ও জ্যোতিষ থেকে দূরে থাকার তাওফিক দিন।