Dhaka , Monday, 5 June 2023

টেক্সাসে বৈশাখী মেলায় বাঙালি সংস্কৃতির জয়গান

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 08:22:50 am, Thursday, 25 May 2023
  • 26 বার

প্রবাস ডেস্ক: ডালাসের প্ল্যানো এমপি থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হলো বৈশাখী মেলা। ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস’ (বান্ট) আয়োজিত এই মেলায় প্রায় দু’হাজার দর্শকের উপস্থিতি ঘটে। সুন্দর-গোছানো বর্ণাঢ্য এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে খোলা জায়গায় সবুজের সমারোহে নির্মল আনন্দদায়ক পরিবেশে।

মেলায় ছিল বেশ কয়েকটি খাবার, শাড়ি-কাপড়ের স্টল এবং স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জমজমাট কানেকটিভিটি। মনোমুগ্ধকর বিভিন্ন পর্বে অংশ নেন স্থানীয় ৪০ জনের অধিক শিল্পী। নাচ-গান-সমবেত সংগীতের মূর্ছনায় পুরো মেলা ভিন্ন এক আমেজে আবিষ্ট ছিল।

বৈশাখ বরণের গান আর নাচে লাল-সবুজের পতাকা হাতে আনন্দ-শোভাযাত্রা মেলাকে চিরায়ত বাংলার প্রাঙ্গণে ফিরিয়ে নেয়। একেবারেই অপরিচিত সমাজে বাঙালি সংস্কৃতিকে বিকশিত করার ক্ষেত্রে এ মেলার গুরুত্ব অপরিসীম বলে অনেকে মনে করছেন। মেলার বৈচিত্র্যকে আরও আকর্ষণীয় করে ছোট বাচ্চাদের ফ্যাশন শো, যেখানে একাকার ছিলেন অভিভাবকরাও। আর এভাবেই সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া মেলা রাত ১১টায় সমাপ্তির ঘণ্টা বাজিয়েছে প্রবাসীদের অতৃপ্ত রেখেই।

মূল পরিকল্পনাকারী ও দিক-নির্দেশনায় ছিলেন ব্যান্টের সভাপতি হাসমত মবিন চৌধুরী। তা মঞ্চে বাস্তবায়ন করেন কালচারাল সেক্রেটারি শেখ রশিদ লিমন। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন ফারহানা জরেজা ও আর জে রাহি। এছাড়াও ব্যান্টের সহ-সভাপতি সাগর শামসুদ্দোহার নেতৃত্বে একটি দল মঞ্চ-সজ্জা, ভেন্ডারদের অবস্থান এবং অন্য সবকিছুর তদারকি করেন। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ অতিথি শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নি মেলাকে মাতিয়ে রাখতে অনন্য ভূমিকা পালন করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

টেক্সাসে বৈশাখী মেলায় বাঙালি সংস্কৃতির জয়গান

আপডেট টাইম : 08:22:50 am, Thursday, 25 May 2023

প্রবাস ডেস্ক: ডালাসের প্ল্যানো এমপি থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হলো বৈশাখী মেলা। ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস’ (বান্ট) আয়োজিত এই মেলায় প্রায় দু’হাজার দর্শকের উপস্থিতি ঘটে। সুন্দর-গোছানো বর্ণাঢ্য এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে খোলা জায়গায় সবুজের সমারোহে নির্মল আনন্দদায়ক পরিবেশে।

মেলায় ছিল বেশ কয়েকটি খাবার, শাড়ি-কাপড়ের স্টল এবং স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জমজমাট কানেকটিভিটি। মনোমুগ্ধকর বিভিন্ন পর্বে অংশ নেন স্থানীয় ৪০ জনের অধিক শিল্পী। নাচ-গান-সমবেত সংগীতের মূর্ছনায় পুরো মেলা ভিন্ন এক আমেজে আবিষ্ট ছিল।

বৈশাখ বরণের গান আর নাচে লাল-সবুজের পতাকা হাতে আনন্দ-শোভাযাত্রা মেলাকে চিরায়ত বাংলার প্রাঙ্গণে ফিরিয়ে নেয়। একেবারেই অপরিচিত সমাজে বাঙালি সংস্কৃতিকে বিকশিত করার ক্ষেত্রে এ মেলার গুরুত্ব অপরিসীম বলে অনেকে মনে করছেন। মেলার বৈচিত্র্যকে আরও আকর্ষণীয় করে ছোট বাচ্চাদের ফ্যাশন শো, যেখানে একাকার ছিলেন অভিভাবকরাও। আর এভাবেই সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া মেলা রাত ১১টায় সমাপ্তির ঘণ্টা বাজিয়েছে প্রবাসীদের অতৃপ্ত রেখেই।

মূল পরিকল্পনাকারী ও দিক-নির্দেশনায় ছিলেন ব্যান্টের সভাপতি হাসমত মবিন চৌধুরী। তা মঞ্চে বাস্তবায়ন করেন কালচারাল সেক্রেটারি শেখ রশিদ লিমন। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন ফারহানা জরেজা ও আর জে রাহি। এছাড়াও ব্যান্টের সহ-সভাপতি সাগর শামসুদ্দোহার নেতৃত্বে একটি দল মঞ্চ-সজ্জা, ভেন্ডারদের অবস্থান এবং অন্য সবকিছুর তদারকি করেন। অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ অতিথি শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নি মেলাকে মাতিয়ে রাখতে অনন্য ভূমিকা পালন করেন।