মালয়েশিয়া ডেস্ক: মার্কিন ডলারের বিপরীতে অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় মালয়েশিয়ার মুদ্রা রিঙ্গিতের আরও অবমূল্যায়ন হয়েছে। এতে হতাশ দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা, যুক্তরাষ্ট্রের দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা, পাশ্চাত্য বিশ্বে জ্বালানি চাহিদার আসন্ন হ্রাস এবং চীনে মুদ্রাস্ফীতি ও উৎপাদন স্থবিরতার কারণে ডলারের মান এবং প্রভাব কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও মালয়েশিয়ায় ঘটেছে ঠিক তার উল্টোটা।
রিঙ্গিতের মূল্য বর্তমানে সর্বনিম্নে। এখন ১ ডলারের বিপরীতে রিঙ্গিতের মূল্য ৪ দশমিক ৬০৯০ রিঙ্গিতে এসে ঠেকেছে। আর বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ রিঙ্গিতের মূল্য কমে দাঁড়িয়েছে ২৩.৫০ টাকায়। রিঙ্গিতের মান কমে যাওয়ায় দিন দিন কমছে প্রবাসীদের আয়। এতে হতাশ দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
জানা গেছে, জুনের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন সরকারের নগদ অর্থ ফুরিয়ে যাওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি রয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে খেলাপির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
এদিকে মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় মুয়ামালাত মালয়েশিয়া বিএইচডির প্রধান অর্থনীতিবিদ এবং সামাজিক অর্থ বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মাদ আফজানিজাম আব্দুল রশিদ বলেছেন, ‘ঝুঁকি-অফ মোড এখন কেন্দ্রীয় পর্যায়ে রয়েছে মার্কিন ঋণের সর্বোচ্চ সীমা মূল ইস্যুতে। ইউএস ডলার সূচক দিনের বেলায় ১০৩ দশমিক ৫২৭ পয়েন্টে পৌঁছেছে এবং বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ মুদ্রার দিকে সরে যাওয়ায় প্রধান মুদ্রাগুলোর তুলনায় রিঙ্গিত দুর্বল বলে মনে হচ্ছে।’
চীনা মুদ্রা ইউয়ানের মূল্যহ্রাসের প্রভাবও পড়েছে রিঙ্গিতের ওপর। এ ছাড়া তেল রফতানিতে ঘাটতির কারণেও মালয়েশিয়া সরকারের আয় কমে যায়।