Dhaka , Saturday, 23 September 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

মেক্সিকো সিটিতে এক টুকরো বাংলাদেশের প্রতিফলন

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 08:25:02 am, Monday, 29 May 2023
  • 29 বার

প্রবাস ডেস্ক: মেক্সিকোয় বাংলাদেশ দূতাবাসের বর্নিল আয়োজনের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়। পবিত্র মাহে রমজানের জন্য ১৪ এপ্রিল পরিবর্তে গত ২৭ মে (শনিবার) অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল শোভাযাত্রা দূতাবাস প্রাঙ্গণ হতে যাত্রা শুরু করে। এরপর তা দূতাবাস প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় ট্যাপা পুতুল, প্যাঁচা, বাঘ, ময়ূর, হাতির মুখোশসহ নানা ধরনের রঙিন ফেস্টুন ছিল। আমন্ত্রিত কূটনীতিক, প্রবাসী বাংলাদেশি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মঙ্গল শোভাযাত্রা আরো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশের ঐতিহ্য সম্পর্কে অবহিত করেন। ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানে গর্ববোধ করেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি আশা ব্যক্ত করেন যে, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং পরম্পরা রক্ষায় দূতাবাসের সাথে একাত্মতা রেখে বিদেশের মাটিতে কাজ করে যাবেন।
এছাড়া রাষ্ট্রদূত ইসলাম উপস্থিত সকলকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ব্যাকড্রপে ব্যবহৃত শীতল পাটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন, যা ইউনেস্কো কতৃক বিশ্ব মানবতার অমূল্য সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক।

অনুষ্ঠানটি আরো বর্ণাঢ্যময় ও পারস্পরিক সংগতিপূর্ণ করতে মেক্সিকান শিল্পীরা ‘ফ্রিদা কাহলোর’ মোটিফ সংবলিত শাড়ি পরে বাংলাদেশি নৃত্য পরিবেশন করেন, যা পুরো অনুষ্ঠানে এক অনন্য মাত্রা যোগ করে।

মেক্সিকো সিটিতে এক টুকরো বাংলাদেশের প্রতিফলন ঘটাতে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশনের মাধ্যমে একটি আনন্দঘণ মুহূর্তের অবতাড়না হয়। এছাড়া অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার যেমন: পিঠা-পুলি, পান্তা ভাত, বিভিন্নরকম ভর্তা, মাছ ভাজা, পায়েস উপস্থিত সকলের কাছে অত্যন্ত সমাদৃত হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

মেক্সিকো সিটিতে এক টুকরো বাংলাদেশের প্রতিফলন

আপডেট টাইম : 08:25:02 am, Monday, 29 May 2023

প্রবাস ডেস্ক: মেক্সিকোয় বাংলাদেশ দূতাবাসের বর্নিল আয়োজনের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়। পবিত্র মাহে রমজানের জন্য ১৪ এপ্রিল পরিবর্তে গত ২৭ মে (শনিবার) অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল শোভাযাত্রা দূতাবাস প্রাঙ্গণ হতে যাত্রা শুরু করে। এরপর তা দূতাবাস প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় ট্যাপা পুতুল, প্যাঁচা, বাঘ, ময়ূর, হাতির মুখোশসহ নানা ধরনের রঙিন ফেস্টুন ছিল। আমন্ত্রিত কূটনীতিক, প্রবাসী বাংলাদেশি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মঙ্গল শোভাযাত্রা আরো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশের ঐতিহ্য সম্পর্কে অবহিত করেন। ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানে গর্ববোধ করেন তিনি। সেইসঙ্গে তিনি আশা ব্যক্ত করেন যে, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং পরম্পরা রক্ষায় দূতাবাসের সাথে একাত্মতা রেখে বিদেশের মাটিতে কাজ করে যাবেন।
এছাড়া রাষ্ট্রদূত ইসলাম উপস্থিত সকলকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ব্যাকড্রপে ব্যবহৃত শীতল পাটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন, যা ইউনেস্কো কতৃক বিশ্ব মানবতার অমূল্য সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ সংস্কৃতির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক।

অনুষ্ঠানটি আরো বর্ণাঢ্যময় ও পারস্পরিক সংগতিপূর্ণ করতে মেক্সিকান শিল্পীরা ‘ফ্রিদা কাহলোর’ মোটিফ সংবলিত শাড়ি পরে বাংলাদেশি নৃত্য পরিবেশন করেন, যা পুরো অনুষ্ঠানে এক অনন্য মাত্রা যোগ করে।

মেক্সিকো সিটিতে এক টুকরো বাংলাদেশের প্রতিফলন ঘটাতে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশনের মাধ্যমে একটি আনন্দঘণ মুহূর্তের অবতাড়না হয়। এছাড়া অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার যেমন: পিঠা-পুলি, পান্তা ভাত, বিভিন্নরকম ভর্তা, মাছ ভাজা, পায়েস উপস্থিত সকলের কাছে অত্যন্ত সমাদৃত হয়।