Dhaka , Friday, 22 September 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

ঈদে রেলের অগ্রিম টিকিট ১৪ জুন থেকে, প্রতিদিন ২৯ হাজার

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 08:22:05 am, Wednesday, 31 May 2023
  • 40 বার

নিউজ ডেস্ক: আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে আগামী ১৪ জুন থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

তিনি বলেন, এবারও সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। কাউন্টার থেকে কোনও আসনের টিকিট পাওয়া যাবে না। ঈদযাত্রায় প্রতিদিন ২৯ হাজার যাত্রী বাংলাদেশ রেলওয়ের মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে। চলমান আন্তঃনগরের ২৫ হাজার টিকিটের সঙ্গে নতুন আটটি স্পেশাল ট্রেন যুক্ত হওয়ায় টিকেটের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার হয়েছে। বিক্রিত আগাম টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না।

রাজধানীর রেলভবনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এসব তথ্য জানান।

আগামী ২৯ জুন ঈদ ধরে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। ঈদকেন্দ্রিক রেলের কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৪ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সব আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হচ্ছে। এবার পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট আলাদা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হবে। আর পূর্বাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ১২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।

কর্ম পরিকল্পনা হচ্ছে, ১৪ জুন পাওয়া যাবে ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেওয়া হবে ২৫ জুনের, ১৬ জুন ২৬ জুনের, ১৭ জুন ২৭ জুনের এবং ১৮ জুন দেওয়া হবে ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট। ঈদ যাত্রার ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হবে ২২ জুন।

সেই হিসেবে ২২ জুন দেওয়া হতে পারে ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট দেওয়া হবে।

রেলের পূর্বাঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও ঢাকা। আর পশ্চিমাঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, পাবনা, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া।

৩ দিন পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার প্রস্তাব

২৬ জুন রাত ১২টা থেকে ২৯ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে ঈদের আগের পাঁচ দিন জয়দেবপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ঢাকামুখী (কমলাপুর) টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে।

আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর প্রস্তাব

রেলের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৬ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরদিন থেকে পাঁচ দিন চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ পথে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম পথে।

ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে শুধু ঈদের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে যাওয়ার জন্য। এ ছাড়া, আরও দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন ঈদের আগে ও পরে ছয় দিন চালানো হবে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটের উদ্দেশে। এই ঈদকে কেন্দ্র করে এক জোড়া নতুন ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা পথে।

শুধু চার কাউন্টারে স্ট্যান্ডিং টিকিট

ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন ৩২ হাজার আসনে যাত্রী পরিবহন করা হবে। মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট দাঁড়িয়ে (স্ট্যান্ডিং টিকিট) যাওয়া যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হবে। স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে শুধু ঢাকার কমলাপুর, ক্যান্টনমেন্ট ও বিমানবন্দর এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন থেকে। মাঝপথে বিরতি নেয় এমন কোনও স্টেশনের স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে না।

যুক্ত হবে অতিরিক্ত বগি ও ইঞ্জিন

রেলের অবহিতকরণ সভায় অতিরিক্ত ইঞ্জিন ও বগি যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, ঈদ যাত্রায় ৬৫টি অতিরিক্ত বগি যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ৪০টি মিটার গেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ২৫টি ব্রড গেজ বগি আনা হবে।

এ ছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে পূর্বাঞ্চলে ১১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ১০২টি মিলিয়ে মোট ২১৮ অতিরিক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

ঈদে রেলের অগ্রিম টিকিট ১৪ জুন থেকে, প্রতিদিন ২৯ হাজার

আপডেট টাইম : 08:22:05 am, Wednesday, 31 May 2023

নিউজ ডেস্ক: আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে আগামী ১৪ জুন থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

তিনি বলেন, এবারও সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। কাউন্টার থেকে কোনও আসনের টিকিট পাওয়া যাবে না। ঈদযাত্রায় প্রতিদিন ২৯ হাজার যাত্রী বাংলাদেশ রেলওয়ের মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে। চলমান আন্তঃনগরের ২৫ হাজার টিকিটের সঙ্গে নতুন আটটি স্পেশাল ট্রেন যুক্ত হওয়ায় টিকেটের সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার হয়েছে। বিক্রিত আগাম টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না।

রাজধানীর রেলভবনে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এসব তথ্য জানান।

আগামী ২৯ জুন ঈদ ধরে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। ঈদকেন্দ্রিক রেলের কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৪ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সব আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হচ্ছে। এবার পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট আলাদা বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হবে। আর পূর্বাঞ্চলে চলাচলরত সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দুপুর ১২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।

কর্ম পরিকল্পনা হচ্ছে, ১৪ জুন পাওয়া যাবে ২৪ জুনের টিকিট। একইভাবে ১৫ জুন দেওয়া হবে ২৫ জুনের, ১৬ জুন ২৬ জুনের, ১৭ জুন ২৭ জুনের এবং ১৮ জুন দেওয়া হবে ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট। ঈদ যাত্রার ট্রেনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হবে ২২ জুন।

সেই হিসেবে ২২ জুন দেওয়া হতে পারে ২ জুলাইয়ের টিকিট। যথাক্রমে ২৩ জুন ৩ জুলাইয়ের, ২৪ জুন ৪ জুলাইয়ের, ২৫ জুন ৫ জুলাইয়ের ও ২৬ জুন ৬ জুলাইয়ের টিকিট দেওয়া হবে।

রেলের পূর্বাঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর ও ঢাকা। আর পশ্চিমাঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত জেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, পাবনা, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া।

৩ দিন পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার প্রস্তাব

২৬ জুন রাত ১২টা থেকে ২৯ জুন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে ঈদের আগের পাঁচ দিন জয়দেবপুর ও বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ঢাকামুখী (কমলাপুর) টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে।

আট জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর প্রস্তাব

রেলের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২৬ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এবং ঈদের পরদিন থেকে পাঁচ দিন চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ পথে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম পথে।

ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে শুধু ঈদের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে যাওয়ার জন্য। এ ছাড়া, আরও দুই জোড়া বিশেষ ট্রেন ঈদের আগে ও পরে ছয় দিন চালানো হবে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটের উদ্দেশে। এই ঈদকে কেন্দ্র করে এক জোড়া নতুন ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে ঢাকা-চিলাহাটি-ঢাকা পথে।

শুধু চার কাউন্টারে স্ট্যান্ডিং টিকিট

ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন ৩২ হাজার আসনে যাত্রী পরিবহন করা হবে। মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট দাঁড়িয়ে (স্ট্যান্ডিং টিকিট) যাওয়া যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হবে। স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে শুধু ঢাকার কমলাপুর, ক্যান্টনমেন্ট ও বিমানবন্দর এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর স্টেশন থেকে। মাঝপথে বিরতি নেয় এমন কোনও স্টেশনের স্ট্যান্ডিং টিকিট পাওয়া যাবে না।

যুক্ত হবে অতিরিক্ত বগি ও ইঞ্জিন

রেলের অবহিতকরণ সভায় অতিরিক্ত ইঞ্জিন ও বগি যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, ঈদ যাত্রায় ৬৫টি অতিরিক্ত বগি যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ৪০টি মিটার গেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ২৫টি ব্রড গেজ বগি আনা হবে।

এ ছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে পূর্বাঞ্চলে ১১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ১০২টি মিলিয়ে মোট ২১৮ অতিরিক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।