Dhaka , Friday, 22 September 2023
শিরোনাম :
চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ মেক্সিকো সিটিতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী রাস্তা প্রশস্ত করতে ইরাকে ভাঙা হল তিনশ’ বছরের পুরনো মিনার, চারিদিকে নিন্দা অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে তিউনিসিয়া-ইইউ সমঝোতা শস্য চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা, ইউক্রেন ছাড়ল শেষ শস্যবাহী জাহাজ ফ্রাঙ্কফুর্টে সান বাঁধানো লেকের ধারে জমে উঠেছিল প্রবাসীদের ঈদ উৎসব দশ মাস পর আবারও রাস্তায় ইরানের বিতর্কিত ‘নীতি পুলিশ’ বার্সেলোনায় ঐতিহ্যবাহী ‘বাংলার মেলা’ মার্কিন গুচ্ছ বোমা ব্যবহার করলেই ইউক্রেনের ‘সর্বনাশ’, পুতিনের হুঁশিয়ারি ফ্রাঙ্কফুর্টে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের কনস্যুলার সেবা প্রদান কর্মসূচি পালিত

ভারত গিয়ে ঘুরে আসুন ছোট্ট ‘বাংলাদেশে’

  • Robiul Islam
  • আপডেট টাইম : 08:30:25 am, Wednesday, 31 May 2023
  • 31 বার

ভ্রমণ ডেস্ক: পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট বাংলাদেশ আছে ভারতেও, কোন রাজ্যে অবস্থিত জানেন? কাশ্মীরের কোলে অবস্থিত ছোট্ট এক গ্রামের নাম বাংলাদেশ। যদিও ১৯৭১ সালের আগে এই গ্রামের অস্তিত্ব ছিল না কাশ্মীরে।

১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশে মুক্তিযদ্ধ চলছিলো, তখন কাশ্মীরের জুরিমন গ্রামে হঠাৎ করেই আগুন লেগে যায়। তখন অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন। তারা ওই গ্রাম থেকে একটু দূরে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। একসঙ্গে গড়ে তোলেন ঘর।

যেহেতু ১৯৭১ সালে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশ গড়ে ওঠে, তাই নাম মিলিয়ে কাশ্মীরের এই গ্রামের নামও রাখা হয় বাংলাদেশ। কাশ্মীরের বান্ডিপুরা জেলায় অবস্থিত এই বাংলাদেশ গ্রাম।

পাকিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই পাহাড়ি গ্রামে প্রথমদিকে ৫-৬টি বসত বাড়ি ছিল। এখন সেখানে ৫০-৬০টিরও বেশি বসত বাড়ি আছে। প্রায় ৩০০ লোকের বাস এই বাংলাদেশে।

সেখানকার বেশিরভাগ মানুষই জীবিকা নির্বাহ করেন চাষ ও পশুপালন করে। ১৯৭১ সালে গ্রাম তৈরি হলেও দীর্ঘদিন সরকারি খাতে এই জায়গার কোনো অস্তিত্ব ছিল না। ২০১০ সালে বান্ডিপুরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের থেকে এই গ্রামকে মর্যাদা দেওয়া হয়।

এই গ্রামের ইতিহাস যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনই এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ মনোরম। বর্তমানে এই বাংলাদেশ গ্রাম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে এই বাংলাদেশ।

গুলমার্গ, সোনমার্গ, পহেলগাঁওয়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে বাংলাদেশও। পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে এই গ্রামে। শ্রীনগর থেকে বান্ডিপুরার দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। বান্ডিপুরা থেকে সোপুরের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি পথ ধরে পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে গেলেই পৌঁছে যাবেন বাংলাদেশে।

সেখানে আছে উলার নামক এক লেক। একে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পুরো বাংলাদেশ গ্রাম। মূলত এই লেকের টানেই পর্যটকদের ভিড়ও লক্ষ্য করা যায়।

কার্পেটের মতো সাজানো সবুজ বুগিয়াল, আর লেকের পানি যেন কাশ্মীরের বাংলাদেশের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। আর তার সঙ্গে দূরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে উঁচু পর্বত। তার চূড়া ঢাকা থাকে সাদা বরফের চাদরে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Robiul Islam

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ লাফানোও হতে পারে মারাত্মক অসুখ

ভারত গিয়ে ঘুরে আসুন ছোট্ট ‘বাংলাদেশে’

আপডেট টাইম : 08:30:25 am, Wednesday, 31 May 2023

ভ্রমণ ডেস্ক: পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট বাংলাদেশ আছে ভারতেও, কোন রাজ্যে অবস্থিত জানেন? কাশ্মীরের কোলে অবস্থিত ছোট্ট এক গ্রামের নাম বাংলাদেশ। যদিও ১৯৭১ সালের আগে এই গ্রামের অস্তিত্ব ছিল না কাশ্মীরে।

১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশে মুক্তিযদ্ধ চলছিলো, তখন কাশ্মীরের জুরিমন গ্রামে হঠাৎ করেই আগুন লেগে যায়। তখন অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন। তারা ওই গ্রাম থেকে একটু দূরে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। একসঙ্গে গড়ে তোলেন ঘর।

যেহেতু ১৯৭১ সালে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশ গড়ে ওঠে, তাই নাম মিলিয়ে কাশ্মীরের এই গ্রামের নামও রাখা হয় বাংলাদেশ। কাশ্মীরের বান্ডিপুরা জেলায় অবস্থিত এই বাংলাদেশ গ্রাম।

পাকিস্তান সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই পাহাড়ি গ্রামে প্রথমদিকে ৫-৬টি বসত বাড়ি ছিল। এখন সেখানে ৫০-৬০টিরও বেশি বসত বাড়ি আছে। প্রায় ৩০০ লোকের বাস এই বাংলাদেশে।

সেখানকার বেশিরভাগ মানুষই জীবিকা নির্বাহ করেন চাষ ও পশুপালন করে। ১৯৭১ সালে গ্রাম তৈরি হলেও দীর্ঘদিন সরকারি খাতে এই জায়গার কোনো অস্তিত্ব ছিল না। ২০১০ সালে বান্ডিপুরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের থেকে এই গ্রামকে মর্যাদা দেওয়া হয়।

এই গ্রামের ইতিহাস যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনই এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ মনোরম। বর্তমানে এই বাংলাদেশ গ্রাম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে এই বাংলাদেশ।

গুলমার্গ, সোনমার্গ, পহেলগাঁওয়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে বাংলাদেশও। পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে এই গ্রামে। শ্রীনগর থেকে বান্ডিপুরার দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। বান্ডিপুরা থেকে সোপুরের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি পথ ধরে পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে গেলেই পৌঁছে যাবেন বাংলাদেশে।

সেখানে আছে উলার নামক এক লেক। একে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পুরো বাংলাদেশ গ্রাম। মূলত এই লেকের টানেই পর্যটকদের ভিড়ও লক্ষ্য করা যায়।

কার্পেটের মতো সাজানো সবুজ বুগিয়াল, আর লেকের পানি যেন কাশ্মীরের বাংলাদেশের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। আর তার সঙ্গে দূরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে উঁচু পর্বত। তার চূড়া ঢাকা থাকে সাদা বরফের চাদরে।